পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

تة، যে বিদেশীয়ের প্রাসাদ অপেক্ষা সৰ্ব্বপ্রকারে বাঞ্ছনীয়, এ-কথা সহজেই অনুমেয়। বাঙালীর ধৰ্ম্মশালায় বাঙালী পৰ্য্যটক যে সশ্রদ্ধ ব্যবহার লাভ করে, অবাঙালীর’ ধৰ্ম্মশালায় সাধারণতঃ সে ব্যবহার আমরা আশাতীত মনে করি – এমন কি ক্ষেত্রবিশেষে শেষোক্ত ধৰ্ম্মশালায় আমাদের অপরিসীম লাঞ্ছনা ও ভোগ করিতে হয়, সে-কথা ভুক্তভোগ মাত্রেই অবগত আছেন। বাঙালীর এবম্বিধ বহু দুৰ্দ্দশার দৃষ্টান্ত স্বচক্ষে দেখিয়া এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেরা দুঃখ ভোগ করিয়া কতিপয় দানশীল মহামুভব বাঙালী ভদ্রলোক ভারতের বিভিন্ন স্থানে কতকগুলি ধৰ্ম্মশাল স্থাপন করিয়া স্বজাতিবাৎসল্যের পরিচয় দিয়াছেন। তাহাদের সং দৃষ্টাস্তে অনুপ্রাণিত হইয়া ঋহাতে জন্তান্ত ধনশালী বাঙালী আরও অনেক ধৰ্ম্মশালা স্থাপনে সচেষ্ট হন, সেই উদ্দেশ্বেই এই প্রবন্ধের অবতারণ। এই স্বত্রে তাহদের স্মরণ করাইয়া দিতে চাই যে মথুরা, বৃন্দাবন, বীরেশ্বর পাছে ধৰ্ম্মশাই!. প!গুণী বিষ্ক্যাচল প্রভৃতি তাপস্থানে বাঙালী-প্রতিষ্ঠিত স্থপরিচালিত ধৰ্ম্মশালার অভাবে বাঙালী ধাত্রীরা প্রায়ই বিপদগ্রস্ত হইয়া থাকেন । বঙ্গের বাঙ্গিরে একটি পৰ্ম্মশাল। স্থাপনের ইচ্ছা প্রথম উদয় হয় কলিকাভা চোরবাগানের সুবিখ্যাত রাজবাটীর কুমার যোগেন্দ্রনাথ মল্লিক মহাশয়ের মনে । প্রায় tিশ বৎসর পূর্কে তিনি কুরুক্ষেত্রে একটি ধৰ্ম্মশালা স্থাপন করেন । ধৰ্ম্মশালাটি আকারে খুব বৃহৎ মা হইলেণ্ড অথবা তাঙ্গর পরিচাল-- ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য বিশেষত্ব কিছু না থাকিলে , প্রথম বাঙালী ধৰ্ম্মশালা স্থাপনের সমস্ত গৌরব মল্পিক-মহাশয়েরই প্রাপ্য। কিন্তু যত দূর জানিতে পার। গিয়াছে, উক্ত iালার তত্ত্বাবধানের সমুদয় ভার স্থানীয় পাণ্ডাদের শ্বেই গুস্ত হওয়ায় যায়ীদের দুর্দশার বিশেষ কোন লাঘব হয় নাই । সংবাদটি সত্য হইলে বিশেষ দুঃখের বিষয় সন্দেহ নাই ।

  • আজমীর বাঙালী-ধৰ্ম্মশালা’ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়