পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশস্য * معهمقصدأت هة হায় ছায়াবৃতা, কালো ঘোমটার নিচে অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ - উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে । এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে, এল মানুষ-ধরার দল, গবেব যারা অন্ধ তোমার সূর্য্যহারা অরণ্যের চেয়ে । সভোর ববর্বর লোভ নগ্ন করল আপন নিলজি অমানুষতা । তোমার ভাষাহীন ক্ৰন্দনে বাম্পাকুল অরণ্যপথে পন্ধিল হোলো ধুলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে ; দস্থ্য-পায়ের কাটা-মারা জুতোর তলায় বীভৎস কাদার পিণ্ড চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে সমুদ্রপারে সেই মুহূৰ্ত্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে বাজছিল পুজার ঘণ্টা সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে ; শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে ; কবির সঙ্গীতে বেজে উঠছিল সুন্দরের আরাধনা ৷ আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে প্রদোষকাল ঝঞ্জাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস, যখন গুপ্তগহবর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল, অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অস্তিমকাল, এসে যুগাস্তের কবি আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে দাড়াও ঐ মান-হারা মানবীর দ্বারে, বলো, ক্ষমা করো,— হিংস্র প্রলাপের মধ্যে সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী । শক্তিনিকেতন २v घांच, २७a७