পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাজারিবাগে বাঙালী ঞ্জীঅশোক চৌধুরী ও শ্রীকল্যাণী দেবী বাঙালী যে সৰ্ব্বদাই ঘরের কোণে বসে থাকত না, তা বাংলা দেশের বাহিবে প্রবাসী বাঙালীর সংখ্যা, প্রভাব এবং পূর্বকাব প্রতিপবির ইতিহাস থেকে জানা যায়। বর্তমানে অবশু প্রাদেশিকতার চাপে অন্তান্ত প্রদেশে বাঙালীৰ প্রসাব কমে এসেছে এবং সেক্ট কাবণে নিজের দেশে গুতোগুতি কবা ছাড়া উপায় নেই । এখন বাংল। দেশ থেকে লোক অন্ত দেশে গিয়ে উপনিবেশ স্থাপন কর। দুলে থাকুক, স্বপূব পঞ্জাব, রাজপুতান, মাত্রাজ, বোম্বাহ প্রকৃতি স্থান থেকে অর্থোপার্জমেব উদ্দেশুে অ-বাঙালীর এসে দিন দিন বাংলা দেশ ছেয়ে ফেলছে । ব্রিটিশ বাজত্বের সূচনা আমাদেরই দেশে, এবং এই বাংলা দেশ থেকেই যেমন এই বাজত্ব ক্রমশঃ পরিব্যাপ্ত হয়েছিল, পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রাপ্ত বাঙালীব প্রসারও তেমনই সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল। রাজকার্ধ্যে এবং বাজনীতিতে বাঙালীর দানষ্ট সৰ্ব্বপ্রথম, সেই রকম ব্রিটিশ বীতিতে জাপিস, আদালত, স্কুল সমস্ত স্থানে ছড়িয়ে পড়াতে, বাঙালীই সর্বপ্রথম তাতে প্রতিপত্তি লাভ করে এবং উচ্চপদ লাভ করে দেশ বিদেশে স্বায় । অষ্টাদশ শতাব্দীতে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বাংলা অধিকার ক'রে ক্রমশঃ আসাম, বিহার, উড়িষ্যা, তার পর উত্তর ভারত, এই রকমে প্রায় সমস্ত ভারতবর্ধকেই গ্রাস করে । ছোট-নাগপুর প্রদেশও বাদ পড়ে নি। তখন হাজারিবাগ সামান্ত শহর । দেশীয় রাজা, নবাব এবং ভূস্বামীদের সঙ্গে কোম্পানীকে কম বুদ্ধ করতে হয় নি, এবং এমনি ধারা =* यf**श्वteा भव्शिg লামগড়ের বাজার সঙ্গেও গোলমাঙ্গ বেধেছিল। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ছোটনাগপুবের উওর ভাগটা— যেটাকে আজকাল ভাজারিবাগ জেলা বলা হয়--সেটাকে রামগড় ঞ্জেল নাম দিয়ে বহুদিন পয্যন্ত বাংলা-সরকারের এলাকায় রেখেছিল—তখনও এ শহরের দিকে দৃষ্টি পড়ে নি। ১৮৩১ সালে বাধল কোল-বিদ্রোহ, বিজোঙ্গ দমন কৰবাব জঙ্গ ক্যাপ্টেন টাঙ্গলারের অধীনে কলকাত থেকে এক দল সৈন্ত পাঠান হয়—এই সেনাদল রামগড়ের কাছে হাজাবিবাগ শহরের সর্বাপেক্ষ পুরাতন পল্পী ওকনীতে আস্তানা গাড়ে । এর পূর্বে ১ সালে উপযুক্ত দেখে এক ক্যান্টনমেন্ট ণ করা উত্তর-ছোটনাগপুরের শাভি রক্ষা করবার জ6। ক্যান্টনমেন্ট জবস্ত বহুদিন হ’ল তুলে দেওয়া হয়েছে, তার