পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উহার পাশে ঝি চাকরদের ঘর—হাজার বল-কহ৷ করিলেও নোংরামি উহাদের মজাগত প্রভাব—মিছামিছি ও-ঘরে গিয়া মাথা ধরাইয়া কি হইবে ? দোতলায় পিতলমণ্ডিত সিড়ি আর সিড়ির পাশে ছোট ছোট আয়না ও লতাফুলে আঁকা নকৃশা–কর্ভার সখ । বাড়ী তৈয়ারী করিবার সময় লখের দিকে চাহিয়া খরচের কথাটা একদম ভুলিয়া গিয়াছিলেন। কর্তা যদি সখ করিলেন লতায়, গুহিণীর সখ গেল স্নানঘরের পারিপাট্যসাধন । ঠাও ও গরম জলের বাখ-টব, ইসের ডিমের মত চন্দন কাঠের ফ্রেমে বাধানে বড় আয়ন, টয়লেটের জন্ত স্বল্বগু দেওয়াল-জালমারি, উচ্চশক্তিবিশিষ্ট বৈদ্যুতিক আলো, মেঝে ও দেওয়ালে দুগুধবল মর্শর প্রস্তর—এ-সব তারই ফরমাস-মত হইয়াছে। স্নানঘর ঠাকুরঘরের চেয়েও এক হিসাবে শ্রেষ্ঠ । দেহমন্দির স্বসংস্কৃত করিতে যেখানে সকালবিকালের অনেকগুলি মুহূর্ত প্রত্যহ ব্যয়িত হইয়া যায়, প্রসাধনে দেহের সজীবতা ও মনের প্রফুল্লতা যেখানে প্রজ্জলিত দীপশলাকার স্পর্শে পূর্ণ তৈল প্রদীপের মতই সমুজ্জল হইয়া উঠে। গুচিতায়, সৌগছে, তারুণ্যে ও নবীভূত আশায় যেখানে প্রাণের দলগুলি নিত্য বিকশিত হয়—তেমন স্থান এই স্থানাগার। জীবনে স্মরণীয় রাত্রির রেখা এই ঘরের প্রত্যেক পাথরের স্বল্পতায় দীপ্যমান এবং দিনের পুত্ৰীভূত আলস্তে সেগুলি মন্থর । কিন্তু স্নানঘরের এই বিস্তৃত বর্ণনার কোন প্রয়োজনই ছিল না, কেবল মাত্র গৃহিণীর সখের জিনিষ এবং গৃহিণীট বক্তগ বলিয়া নিরুপায় লেখক এবং ততোধিক নিরুপায় পাঠকের ধৈর্য্যকে আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার সব পথই बवत् । সেই নিরুপায়তার পথ ধরিয়া আমরা দোতলায় পৌছিলাম। এখানেও 'মোজেকের মেঝে পুরু গালিচায় ঢাক, ছবির ফ্রেমে ফুলের মালা ও বোম্বাই খাটে নেটের মশারি। এখানে জালন, আলমারি, প্রসাধন-টেবিল, শ্বেত পাথরের টিপা, বুককেস, প্রত্যেক ঘরে বিভিন্ন রকমের ঘড়ি, বিভিন্ন রকমের পুষ্পলারসৌরভ; বিদ্যুৎ-বাতিতেও বৈচিত্ৰ্য যথেষ্ট। রূপার মীন-করা ট্রেতে গোলাপী পান জানিয়া দাসী হাজির করিল ; ষ্ট্রের এক পাশে সোনার কোঁটার লক্ষ্মেী জয়দা ও কাশীর সুৰ্ত্তি । এষ্ট বাড়ীরই এক মেয়ে নাচিতে নাচিতে আসিয়া রূপার পিচকারীতে গোলাপজল ছিটাইয়া অতিথিদের জান করাইয়া দিল । সকলে জানালার ধারে জাসিয়া দাড়াইলেন। পর্দা সরাইয়া মুখ বাড়াইতেই রাস্তার এক ভিখারী মেয়ে হাত উচু করিয়া ভিক্ষা চাহিল। মেয়েটার বয়স অনুমান করা দুঃসাধ্য। কালো রং, ময়লা কাপড় ও বাকড়া চুলে তাকে বেশ কুৎসিত দেখাইতেছে। গৃহিণীর ছোট মেয়ে হাত তুলিয়া বলিল, “ভাগ । গৃহিণী তাহাকে মিষ্ট স্বরে ধমক দিলেন এবং আঁচলের গ্রন্থি খুলিয়া একটি টাকা ভিখারী মেয়ের প্রসারিত হাতের উপর ফেলিয়া দিয়া মেয়েকে বলিলেন, “ছি মা ! কাউকে কটু কথা বলতে নেই। ওরা হচ্ছে দরিদ্রনারায়ণ।" ভিখারী মেয়েটির উচ্ছ্বসিত কল্যাণকামনায় কান না দিয়া গৃহিণী সকলকে লইয়া চলিলেন ত্রিতলে । ত্রিতলে—ষে-ঘরে ফুলশয্যা হইবে সেই ঘরে জাসিয়া— একখানা গদি-জাটা চেয়ারে বসিয়া অন্ত সকলকে বসিতে অনুরোধ করিলেন। ঘরে আসবাব বেশী নাই-দেওয়াল হইতে কড়িকাঠ পৰ্যন্ত সমস্ত ফুলে ভাষা। ঘরের কোণে অর্গ্যান আর জানালার ধারে পালঙ্ক, কোথাও ফুলের অপ্রাচুর্ঘ্য নাই। ঘন কুমমসৌরভে বাতাসটুকু পৰ্যন্ত সেখানে নিশ্বাসের অল্পকূল নহে এবং পরস্পরের সান্নিধ্যে যে-টুকু পরিচয় জমিয়া উঠিল তাহাও ঘনতায় কুহুমগন্ধের মতই শ্বাসরোধক। আয়নায় হাই দিলে যেমন অস্বচ্ছতা জমিয়া উঠে কিংবা শীতের দিনে মেঘলা আকাশে মধ্যাছের সুৰ্য্যকে যেমন দেখায়, তেমনই এই পরিচয়ের প্রণয় এ-পিঠের পাশে ও-পিঠের প্রতিবিম্বকে ভাসাইয়া তুলে না। গৃহিণী শ্রোত্রীদের গল্প বলিতেছিলেন, “ওঁর ইচ্ছে বিলেত যান-বাড়ীর কর্তাদের আমত। তাদের প্রেজুডিস না থাকলেও কেমন একটা ভয় हिण-जecनब्र शं७बांब ७ cनालब्र ८छ्रजखजिब्र चखांब बांब বদলে । জামায় বললেন, “কি করি r ছোট মেয়ে আমি— কি-ই বা বুঝি। তৰু বুক বেঁধে বললুম, “বাও । মনে ভয় জার ভাবনা অবিশুি খুবই হয়েছিল, কিন্তু ওঁর যাবার জাগ্ৰহ দেখে না বলতে পারলুম না -•••••বিলেত থেকে ফিরে এলেন—এতটুকুও বদলে যান নি। খুজি প’রে বাবা-মাকে