উদ্দেশুে রওনা হইয়া পড়িলাম। স্থির করিলাম, সমস্ত কিছুর বিনিময়ে শ্ৰীমন্ত শৈলানের কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করিব । মধ্যাহ্নে বন-চাতকী আসিয়া পৌছিলাম। কি জানি, বুক আমার কেন জানি শঙ্কায় কঁাপিতেছিল। হয়ত শ্ৰীমন্ত পৈলান রূঢ় অবজ্ঞা প্রকাশ করিয়া আমার ইচ্ছায় বাদ সাধিবে। কিন্তু অবজ্ঞা অপমান কিছুই গ্রাহ করিলে চলিবে না। প্রয়োজন হইলে ঐ মন্ত পৈলানের পা জড়াইয়া ধরিয়াও তাহার মন গলাইতে চেষ্টা পাইব । ঐমন্ত পৈলানের বাড়ী চিনিতে আমার বিশেষ কোন অন্ধবিধা হইল না। গ্রামের যে-কোন লোককে জিজ্ঞাসা করিলাম সে-ই বলিয়া দিল । শ্ৰীমন্ত পৈলানের ছোট দুইটি চালাঘরওয়ালা বাড়ীর উঠানে প্রবেশ করিয়াই দেখিলাম, সে সেখানে দাড়াইয়া রহিয়াছে। আমি হাত তুলিয়া তাহাকে একটা নমস্কার জানাইয়া বলিলাম, পৈলান মশাই, আপনার কাছেই এলাম। আমাকে আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই ? সেই ষে জাধিজলের জমিদার শঙ্কু মুখুজ্যের বাড়ী বাবুইডাঙ্গা থেকে বরযাত্রী এসেছিল আমিও তাদের সঙ্গে এসেছিলাম। ঐমন্ত পৈলান আমাকে ভাল করিয়া নিরীক্ষণ করিয়া বলিল, ও, এসেছিলে নাকি ? ই্য, অনেকেই এসেছিল বটে, কাউকেই আমার মনে নেই। সাহস করিয়া আর বলিতে পারিলাম না যে, আমি গান গাহিয়াছিলাম। সে দুঃসাহসের কথা আর স্মরণ করাইয়া দিতে মন চাহিল না। বলিলাম, বহুদূর থেকে আমি আসছি আপনার কাছে। সেই বাবুইভাঙ্গা থেকেই আমি আসছি। আমার বড় ইচ্ছা যে আপনার কাছে বাজনা শিখি। শ্ৰীমন্ত পৈলান আমাকে একটা আসনে বারান্দায় বসিতে দিয়া নিজেও অার একটি আসনে বসিয়া বলিল, তা তোমার চেষ্টা আছে বুৰি, কিন্তু শ্ৰীমন্ত পৈলান ত কাউকে কখনও শেখায় না। তুমি এত কষ্ট স্বীকার করে এসে যে বড় ভুল করেছ। ८ङ गश् छ प्रश्चिय नै, डोइ ऋथहे भनाइ कब्रिम्न জাসিয়াছিলাম। কাজেই বলিলাম, তা না শেখান বেশ, কিন্তু আমি আপনার কাছে আপনার চাকরের মত দিনরাজি পড়ে থাকবে, আর তাতেই যা সম্ভব তাই শিখে নেব । জীমন্ত পৈলান মৃদ্ধ একটু হাসিয়া বলিল, না, তাও যে সম্ভব নয়। এ জিনিষ আমি কাউকে আর কখনও একটা অক্ষরও শেখাতে পারব না। অনেক পাপ ছিল জীবনে তারই শাস্তি আজ ভোগ করছি। নইলে এমন ঈশ্বরদত্ত জিনিষের ভাগ কাউকে দিতে পারছি না। ভগবান আমাকে মেরে রেখেছেন। আমার এই ভাঙা ঘরে এসে বহু জায়গার বহু লোক বাজনা গুনে গেছে, কিন্তু শিখতে চেয়েছে কি আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। ন, কাউকে আমার আর শেখাবার উপায় নেই। বাজনা যদি শুনতে চাও ত সন্ধ্যে পৰ্য্যন্ত বসলেই তা গুনে যেতে পারবে । ভ্রমন্ত পৈলানের কথা শুনিয়া ভয় পাইলাম। বলিলাম, আমার এত কষ্ট স্বীকার করে আসা কি তাহলে বৃথা হয়ে যাবে ? আমি যে বাড়ী থেকে পালিয়ে বেরিয়ে এলামআপনার কাছে তবল শিখৰ ব'লে। কিন্তু কিছু না শিখেই বা বাড়ী ফিরি কেমন করে ? শ্ৰীমন্ত পৈলান বলিল, আহা ! তোমাদের জন্তে সত্যি আমার দুঃখ হর। এমন কত লোক আগ্রহ নিয়েই না শিখতে এসেছে আমার কাছে, কিন্তু দুর্ভাগা আমি, তাই কাউকে কিছু দিতে পারি নি। আমার পরে ভগবানের কৃপাও যেমন রয়েছে, তেমনি তার মহা অভিশাপও আমাকে বহন করতে হচ্ছে। আর সে যে ভগবানের কি নিষ্ঠুর অভিশাপ সে শুধু আমিই জানি। আমার কাউকে অাজ আর শেখাবার অধিকার নেই। একদিন বহু ছাত্রই আমার কাছে শিখতে আসত, কিন্তু সে সৌভাগ্য থেকে আমি আজ বঞ্চিত। আমার একটি ছেলে-সে-ই ছিল, আমার ছাত্রদের মধ্যে প্রধান। আজ বেঁচে থাকলে । झल्लङ cङांभांदमब्रशे बश्न उठांद्र इङ । किरू ७छांन इङ . হেয়ত সে আমার চেয়েও ঢের বড়। কারণ, সেই বয়সেই তার বা হাতে বোল উঠত তা দেখে আমিও যেতাম হুক্চকিয়ে। স্ত্রী মারা যেতে সে-ই হয়েছিল আমার সংসারের ७कभांब अरण ॥ छगंदांप्नब्र छक, ७कनेिन चांभांब्र जश्च সঙ্গতে বসেছে, হঠাৎ কোথায় যেন দিলে তাল কেটে।
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০২
অবয়ব