পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী, রমন-বেতনর পদ্মাবতী স্মৃতি পদক), রৌপ্যপদক প্রভাবতী দেবী, শান্তমণি স্বতিপদক) ও পূিঃসর (উইলিয়ম শিখ, কেশবচন্দ্র পুরস্কার ) ও မျိုု့ ના গ্র্যাজুয়েট বৃত্তি লাভ করেন। o পাৰ্ব্বত্য চট্টগ্রামের রামগড় মহকুমার মাণিকচারীতে মং সম্প্রদায়ের পরলোকগত অধিনায়ক মং রাজা নেফুল্লাইনের কঙ্কা শ্ৰীযুক্ত নাহমা সম্প্রতি মং রাজার পদে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। মং সম্প্রদায়ের অধিনেতৃপদে ইনিই সৰ্ব্বপ্রথম ཤཱ་ལཱི། শ্ৰীমতী এস এল খাস্তগীর চট্টগ্রামের সর্ববিধ সামাজিক ও নারীমঙ্গল অনুষ্ঠানের সহিত সংশ্লিষ্ট । সম্প্রতি র্তাহার উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যকল্পে চট্টগ্রামে রবীন্দ্রনাথের “বাল্মীকি-প্রতিভা" সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দরভাবে অভিনীত হইয়াছে। ত্ৰিবেণী শ্রীজীবনময় রায় BS পাৰ্ব্বতীর সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তায় সীমা একটু নিরাশ হ’ল । ব্যক্তিত্বের সতেজ উদগ্র প্রকাশ পাৰ্ব্বতীর মধ্যে সে আশা করেছিল ; কিন্তু পাৰ্ব্বতীর মধ্যে সেই তীব্র উত্তেজনাময় অহমিকার প্রায় সম্পূর্ণ অভাব দেখে সে প্রথমটা মনে মনে একটু তুচ্ছই করেছিল তাকে ৷ পাৰ্ব্বতী বিনীতভাবে বললে, “দেখুন এই মহৎ প্রতিষ্ঠানের কোন কৃতিত্বই জামার প্রাপ্য নয়। আমি একজন কৰ্ম্মচারী মাত্র। র্যার প্রেরণায়, অর্থে এবং শক্তিতে এর প্রতিষ্ঠা তার নাম শচীন্দ্রনাথ সিংহ । তিনি এখানে থাকেন না— মাঝে মাঝে পরিদর্শনে আসেন। স্বতরাং আপনার যে নারী-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ-কে যুক্ত ক’রে একযোগে কাজ করবার প্রস্তাব করছেন তা কার্ধ্যে পরিণত করতে হ’লে আপনাকে তারই সঙ্গে দেখা ক’রে সব বন্দোবস্ত ঠিক করতে হবে।” বলে অল্পক্ষণ থেমে আবার বললে, “তা ছাড়া আমি অন্ততঃ যত দূর জানি, দেশের স্বাধীনত লাভের দিক থেকে চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠানের কোন উদ্বোগ হয় নি। বাংলা দেশের নারীকে পরান্নপ্রত্যাশী পরমুখাপেক্ষী হয়ে জীবন কাটাতে হয়। বাঙালী মেয়ের সেই দুরবস্থার যদি কোন প্রতিকার করা যায় সেই ভাবেই এই উদ্যোগটুকু করা। অন্য কোন মহত্তর বা বৃহত্তর উদ্বেগু এর মধ্যে আছে বলে আমার মনে হয় না।” পাৰ্ব্বতীর কথার মধ্যে একটু শ্লেষ কল্পনা করে এবং দেশের প্রতি এমন উদাসীন উক্তিতে সীমা মনে মনে বিরক্ত হয়ে বললে, “আপনার কাছেই শুনেছি যে আপনি বিলেতে মানুষ হয়েছেন, সুতরাং আপনি যে পরাধীন দেশে ভারতবাসী হয়ে জন্মেছেন তা ভুলে যাওয়া অসম্ভব নয়। আপনার কথা না-হয় বাদই দিলাম—কিন্তু দু-এক বছর বিলেতী জমি মাড়িয়ে এসে শচীনবাবুও কি ভারতীয় চৰ্ম্ম বদলে এসেছেন নাকি, যে দেশের পরাধীনতার চিন্তা তার কাছে তুচ্ছ হয়ে উঠবে ? অামাদের দেশের যে-কোন মঙ্গল কাজ, যে-কোন প্রতিষ্ঠান, দেশের মুক্তি কামনা করে না করলে আমার ত মনে হয় সবই বৃথা। কাজ যত বড়, শক্তির অপব্যয়ও তত বেশী, নয় কি ?” পাৰ্ব্বতী স্থির হয়ে সীমার মুখের দিকে চেয়ে ধীরে ধীরে বললে, “তা কেন হবে বলুন ত? মঙ্গল কাজ ত তাই যাতে লোকের ভাল হয়, স্বতরাং সে আপনি দেশের মুক্তি কামনা করেই করুন আর যা কামনা করেই করুন, তাতে যদি মানুষের মজল হয় তবে শক্তির অপব্যয় কেন হবে বলছেন ঠিক বুঝলাম না।” সীমা বললে, “সে হয়ত বোঝান আপনাকে সম্ভব হবে না। তবু ভেবে দেখুন, আমাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তির মূলধন অল্প। স্বতরাং আমাদের সমগ্র শক্তিকে যদি