পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে ব্যবসা ও যে-সকল প্রধান কৰ্ম্মীদের সহিত এজেণ্টদিগের কারবার, লাইসেন্স সেই ক্ষেত্র হইতে গ্রাহ হইলে কেহ আপত্তি করিবে না। আইন, আদালত, থান, পুলিস সনাক্ত হওয়া, ফি দেওয়া ও বৎসরে বৎসরে টাইসেন্স আপিসে খাতাপত্র লইয়া হত্যা দেওয়ার মজুরী বীমার এজেন্সীর কাৰ্য্যে পোষাক্টবে না । ভারত-গবন্মেন্টের নূতন আইনে বিদেশী বীমা ব্যবসায়ীদের কিছু কিছু ভয় দেখান হইয়াছে। কিন্তু তদনুরূপ শাসন হুইবে কি না এ বিষয়ে কোন স্থিরতা নাই । নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য যে আন্দোলন হইয়াছিল তাহার উদ্দেশু ছিল প্রধানত বীমাকারীদের স্বার্থসংরক্ষণ ও ভারতীয় বীমা-ব্যবসার ক্রমোন্নতি সাধন । আইনের খসড়াটি দেখিয়া একটি বহু পুরাতম গল্পের কথা মনে পড়িয়া গেল। জনৈক হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণ অশ্বারোহণআকাঙ্ক্ষায় ভগবামের নিকট প্রার্থনা করে। তাহার কাতর . “একঠো ঘোড়া দিলাদে রাম” প্রার্থনা ও প্রার্থনা পূর্ণ হইবার পরে “উন্ট বুঝলি রাম” আৰ্ত্তনাদের ইতিবৃত্ত সৰ্ব্বজনবিদিত। বীমা আইন-সংস্কারের প্রধান যে দুইটি উদ্দেশু, নূতন খসড়া আইনে তাহার কোনটিই সাধিত হইবে না। বৰ্ত্তমানে আইনের খসড়াটি সিলেক্ট কমিটিতে রহিয়াছে। আমর আশা করি যথাযথ বিচার না করিয়া এবং জনসাধারণ ও বীমা ব্যবসার কৰ্ম্মীদিগের মতামত পর্য্যালোচনা না করিয়া এই খসড়াটি পাকা আইনে পরিণত হইবে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দলগুলির উচিত এই বিষয়ে নিজ নিজ কমিটি বসাইয়া সম্যক আলোচনা করিয়া এ-বিষয়ে ভোটের বিধান করা । চন্দননগরে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের বিংশ অধিবেশন বাংলা সন ১৩৩৬ সালে ভবানীপুরে বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মিলনের যে অধিবেশন হইয়াছিল, তাহার পর গত ফাঙ্কন মাসে চন্দননগরে তাহার অধিবেশন হইয়া গিয়াছে। মধ্যে ছয় বৎসর অধিবেশন বন্ধ ছিল । সাধারণ ভাবে তাহার কারণ চন্দননগরের অধিবেশনের সভাপতি শ্রীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত তাহার অভিভাষণে নির্দেশ করেন। তাহা ‘নৈতিক পঙ্গুতা’ । এই নৈতিক পন্থতার ব্যাখ্যাও র্তাহার অভিভাষণে আছে। চন্দননগরের অধিবেশনে সমুদয় কাজ যে প্রাকৃতিক বিল্পবাধা সত্ত্বেও স্বনির্বাহিত হইয়াছে, তাহা অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি শ্ৰীযুক্ত হরিহর শেঠ ও র্তাহার সহকৰ্ম্মীদিগের ঐকাস্তিক সামুরাগ চেষ্টা ও শৃঙ্খলার গুণে । স্বেচ্ছাসেবিকা ও স্বেচ্ছাসেবকদিগের দল এই কৰ্ম্মীদের অন্তর্গত। গঙ্গাতীরে শেঠ মহাশয়ের যে “জাহ্নবী-নিবাস” নামক বৃহৎ সৌধ আছে, তাহার বিস্তৃত হাতায় নবনিৰ্ম্মিত মণ্ডপে অধিবেশনের ব্যবস্থা হইয়াছিল। প্রথম দিন সেখানেই অধিবেশন হইয়াছিলও। পরে ঝড়বৃষ্টিতে মণ্ডপ ভূমিসাৎ হয়। পরবর্তী সব অধিবেশন জাহ্নবী-নিবাসের বৃহৎ বৃহৎ কক্ষে এবং শেঠ মহাশয়ের অন্যতম কীৰ্ত্তি নৃত্যগোপাল স্মৃতিমন্দিরে হইয়াছিল। প্রদর্শনী হইয়াছিল জাহ্নবীনিবাসের নীচের তলার কয়েকটি কক্ষে । তাহাতে চন্দননগরের সৰ্ব্ববিধ প্রচেষ্টার ইতিহাস যেন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছিল। চন্দননগরের ইতিহাস, সাহিত্য, শিল্প প্রভৃতি সম্বন্ধে যাহা কিছু সংগৃহীত হইতে পারে, হরিহর বাবু নিজ বাসভবনে তাহা সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছেন । র্তাহার সংগ্ৰহ প্রদর্শনীকে সমৃদ্ধ করিয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ সম্মিলনের উদ্বোধন করেন। তদুপলক্ষে তিনি যাহা বলেন, তাহার তাৎপৰ্য্য তাহার দ্বারা সংশোধিত ও অমুমোদিত করাইয়া নীচে মুদ্রিত করিতেছি। “আমার শরীরের অপটুতার জন্য আমি লজ্জিত : ংবার আমাকে অক্ষমতার কথা নিবেদন করতে হয় { এই ঘোষণা কোনো কালেই মুখকর বা গৌরবজনক নয় ; কিন্তু আমার এ-বয়সে একথা আর গোপন করা সম্ভব নয়