পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ শতবার্ষিকী সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলন গত ফাঙ্কন মাসের অরাষ্ট্রনৈতিক সৰ্ব্বপ্রধান ঘটনা পরমহংস রামকৃষ্ণদেবের শতবার্ষিকীর একটি অঙ্গ সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলন । ইহাকে অরাষ্ট্রনৈতিক ঘটনা বলিলাম বটে ; কিন্তু যে ভাবটির দ্বারা অত্নপ্রাণিত হইয়া এইরূপ সম্মেলনে নানা দেশের লোকদের যোগ দেওয়া উচিত, সেই ভাবটি যদি সেই সেই দেশের অধিবাসী জাতিদের এবং তথাকার রাষ্ট্রসমূহের পরিচালকদের চিন্তা ও কার্ধ্যের নিয়ামক হয়, তাহা হইলে আস্তজাতিক রাষ্ট্রনীতির দিক দিয়াও এরূপ সম্মেলনের গুরুত্ব ও সার্থকতা কম হুইবে না । সেই ভাবটি ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মের ও পূৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ৭ শক্রতাব পরিবর্তে বন্ধুতা ও ভ্রাতৃত্বের ভাব। রামকৃষ্ণ সমুদয় ধৰ্ম্মকে সত্য মনে করিতেন বলিয়া পড়িয়াছি ও শুনিয়াছি। যাহারা তাহার এই মতের অসুবত্তী হইয়া সকল ধৰ্ম্মকে সত্য মনে করেন, তাহাদের পক্ষে সকল ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব উপলব্ধি করা এবং জীবনকে সেই উপলব্ধির অনুযায়ী করা কঠিন নহে। র্যাহারা ঠিক ঐ মত সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করিতে পারেন না অথচ মনে করেন যে, প্রত্যেক ধৰ্ম্মেই সত্য আছে এবং সেই সত্য তাহার সারঅংশ, তাহারাও সকল ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব উপলব্ধি ও তদনুযায়ী জীবন গঠন ও যাপন করিতে সমর্থ। এই উভয় শ্রেণীর লোকেরা এবং অন্ত অনেকেও সকল ধৰ্ম্মের মজ্জাগত একটি ঐক্যে বিশ্বাস করেন। এই সমুদয় লোকের কাহারও পক্ষেই সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদিগের সহিত সম্ভাব রক্ষা করিয়া চলা কঠিন নহে। এই কাজটি কঠিন কেবল সেই সকল সংকীর্ণচেতা ধৰ্ম্মান্ধ ব্যক্তিদের পক্ষে যাহারা অপর সকলকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত মনে করে এবং কেবল আপন আপন মতকেই সম্পূর্ণ সত্য বলিয়৷ বিশ্বাস করে । وامتنامل الإi| - ಗೌf ! -臀 সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলন দ্বারা সকল দেশে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদিগের মধ্যে সদ্ভাব বুদ্ধি পাইলে, সম্ভাব স্থাপনের ইচ্ছা জন্মিলে ও বৃদ্ধি পাইলে, তাহা জগতের পক্ষে কল্যাণকর হইবে । গত এক বৎসর ধরিয়া ব্যাপক ভাবে নানা নগরে ও গ্রামে রামকৃষ্ণ শতবার্ষিকীর যে অচষ্টান হইয়া আসিতেছে, সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলনে তাহা পরিসমাপ্ত হইল। নানা দেশের, নানা জাতির ও মান ধৰ্ম্মের লোকদের সহযোগিতায় পুষ্ট এত বড় সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলন ইতিপূৰ্ব্বে ভারতবর্ষে আর কখনও হয় নাই । এষ্ট শতবার্ষিকী উৎসব উপলক্ষ্যে একটি ভারতীয় সাংস্কৃতিক ও অন্যবিধ প্রদর্শনীর আয়োজনও হইয়াছিল । তদ্ভিন্ন সংগীতসম্মেলনও হইয়াছিল । সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলনের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন আচাৰ্য্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয় । শীল মহাশয় পরমহংসদেবকে সাক্ষাৎভাবে জানিতেন এবং স্বামী বিবেকানন্দের সতীর্থ ও বন্ধু ছিলেন । র্তাহার বক্তৃতাটি তাহার নির্দেশ অনুসারে সভাস্থলে তাহার এক জন প্রাক্তন ছাত্রের দ্বারা পঠিত হয় । এই পঠিত বক্তৃভা মডার্ণ রিভিয়ুর আগামী এপ্রিল সংখ্যায় আদ্যোপাস্ত প্রকাশিত হইবে । শীল মহাশয় নিজ প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও স্বাধীন চিস্তা হক্টতে যাহা বলিয়াছিলেন, অংশত তাহার অনুরূপ কথা পরে সব ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যাণ্ড এবং আরও কেহ কেহ বলিয়াছিলেন । উহা কতকটা আচাৰ্য্য শীলের বক্তৃভা শ্রবণের ফলে হইয়া থাকিতে পারে, কিংবা তাহাদের স্বাধীন চিন্তার ফলও হইতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের মুদ্রিত অভিভাষণ অন্য প্রকারের । উহা তিনি স্বয়ং পাঠ করিয়াছিলেন । র্তাহাকে ধন্যবাদ দিতে উঠিয়া সৰ্ব ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যও বলেন, যদি এই সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্মেলনে কেবল এই অভিভাষণটিই পঠিত হইত, তাহ