পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় থাও নামি নাই। আমরা বাল্যকালে অন্ধ দেশের নাম গালে পড়ি নাই । মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সীই জানিতাম, হার অন্তর্গত ভিন্ন ভিন্ন অংশ এক একটি দেশের নাম নিতাম না। এখন অন্ধ দেশ নামটি অন্তত কংগ্রেসওয়ালার নেন। ইহা সেই দেশ যাহার মাতৃভাষা তেলুগু। বাংলাদেশে পর অধিবাসীদিগকে আমরা আগে তেলেঙ্গ বলিতাম । দেশের কলেজসমূহের ছাত্রদের একটি বার্ষিক কনফারেন্স , তাহারই একাদশ অধিবেশনের আমি সভাপতি মনোনীত প্রীমতী ভাগীরণী দেবী হয়৷ বিশাখপত্তন ( ভিজাগাপটম্) যাই। এই ছাত্রের আমার পাথেয় বাবদে যাহা পাঠাইয়াছিলেন তাহা আমার প্রয়োজন অপেক্ষা অনেক অধিক । তাহারা এরূপ কেন রিয়াছিলেন জানি না। হয়ত অপেক্ষাকৃত সচ্ছল অবস্থার :াত্রেরাই অধিকাংশ স্থলে তথায় কলেজে পড়ে। পাখেয়ের মতিরিক্ত টাকা আমি ফেরত দিয়াছিলাম । তাহারা একটি চোলটির একটি পাকা বাড়ীতে আমাকে iাখিয়ছিলেন, এবং যত্বও খুব করিয়াছিলেন। খাদ্য .বাধ হয় কোন বাঙালীর বাড়ীতে রান্না হইয়া আসিত ; ঋাল বেশী ছিল না। এথানকার, এবং বোধ হয় মাম্রাজ প্রেসিডেন্সীর সর্বত্রই, শৌচাগার জঘন্য । চোলটি, এক প্রকার পান্থনিবাস-যেমন পশ্চিমের ধৰ্ম্মশালা । ছাত্রের অন্ধ দেশে দৃষ্টিনিক্ষেপ 8之位 উৎসাহের সহিত কনফারেন্সের কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। কয়েক জনের বাগিতা ও বিতর্কশক্তি বেশ আছে, লক্ষ্য করিয়াছিলাম। কিছু দলাদলিও ছিল । শ্ৰীযুক্ত বিনয়ভূষণ রক্ষিত তাহাদের কন্‌ফারেন্স শহরের টাউনহলে হইয়াছিল, তাহ। ঠিক সমুদ্রতটে রমণীয় স্থানে ত। অন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিশাথপত্তনে অবস্থিত। ওয়ালটেয়ারকে বিশাখপত্তনেরই একটি অংশ বা উপকণ্ঠ বলা চলে। আমি যখন বিশাপপন্তন যাই, তখন ওয়ালটেয়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইতেছিল, হয়ত এখন হইয়া গিয়াছে । সেগুলি স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম অধ্যাপক ডাক্তার রামমূৰ্ত্তি আমাকে সৌজন্য সহকারে দেখাইয়াছিলেন । ওয়ালটেয়ার পাৰ্ব্বত্য স্থান, যদিও উচ্চ কোন পৰ্ব্বত এখানে নাই । আবার ইহা সমুদ্রের তীরেও অবস্থিত। সমুদ্র ও শৈলরাজির একত্র সমাবেশে এখানকার দৃশু মনোরম। ওয়ালটেয়ার স্বাস্থ্যকর স্থান বলিয়া এখানে অনেক রোগী গিয়া থাকেন। কিন্তু ইহা কোন কোন রোগের পক্ষে ভাল, তাহ জানিয়া তবে যাওয়া উচিত। এবং যে বাড়ীতে রোগী থাকিবেন, তাহা সংক্রামক ক্ষরোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত হইয়া থাকিলে