পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qOR ব্যবহার । ভিন্ন হওয়ার জন্য রাগ করা দূরে থাক কেউ যেন একটু বিরক্ত পৰ্য্যম্ভ হয় নাই শঙুর উপর। বেড়া ডিঙ্গানো মাত্র ওপাশের মানুষগুলির সঙ্গে শস্তু যেন এক হইয় মিশিয়া যায়, এতটুকু বাধা পায় না। পুটি এক গ্লাস জল আনিয়া দিল শস্তুকে । সকলের সঙ্গে কি আলোচনা শস্তু করিতেছে সরলা বুঝিতে পারিল না, মন দিয়া সকলে তার কথা শুনিতে লাগিল আর খুশী হইয়। কি যেন বলাবলি করিতে লাগিল নিজেদের মধ্যে। শস্তু উঠিয়া আসিবার পরেও ওদের মধ্যে আলোচনা চলিতে লাগিল । সরল অবাক হইয়া ভাবিতে লাগিল যে তার স্বামীর যোগ অাছে অথচ তার জান। নাই এমন কি শুরুতর ব্যাপার থাকিতে পারে যে এত পরামর্শ দরকার হয় ? জিজ্ঞাসা করিতে শস্তু বলিল, ও কিছু না। জমিজম ভাগ-বাটোয়ারার কথা হচ্ছিল । আমার ভাগট বেচে ফেলব ভাবছি কি-না ! ---কেন, বেচবে কেন ? শঙ্কু মুখ ভার করিয়া বলিল, তুমি জান না, না ? কবে থেকে বলছি তেল নুন বেচে লাভ নেই একদম, বাজারে একটা মণিহারী দোকান করব,--তাতে টাকা লাগবে না ? কোথায় পাব টাকা জমি না বেচলে ? সরলা বলিল, জমির থেকেও মায় ত হচ্ছে ? —দোকানে বেশী হবে । সরল চিন্তিত হইয়া বলিল, কবে খুলবে বাজারে দোকান ? —পয়ল বোশেখ খুলব ভাবছি, এখন আমার আদেষ্ট । প্রকাণ্ড একটা হাই তুলিয়া হ’র সামনে তুড়ি দিল শ ষ্টু, মাথা নাড়িল, বাকা হইয়া বসিল । বলিল, তোমার বাবা বলেছিল সবসুদ্ধ ছ-শ টাক দেবে দোকান করতে, দোকান খোলার জন্তে এক-শ দিয়ে বাকী টাক আটকে দিলে । এক বছরে আর মোটে দু-শ দিয়েছে তার পর,—এমনি করলে দোকান চালাতে পারে মানুষ ? দোকান করতে একসঙ্গে টাকা চাই । মনে মনে একটা জটিল হিসাব করিয়া সরল বলিল, বাবা ত আসবে অঞ্জি, বাবাকে বলব ? শম্ভু বিষ্ণু মুখে বলিল, বলে কি হবে ? বিশ fৱশ টাকার শিী একসঙ্গে দেবে না । মামি বললে নিৰ্য্যস দেবে, বলিয়। সরলা একগাল হাসিল । প্রবণসী きNーリー তার পর বউকে লজেঞ্চুস দিল শঙ্কু, কালে গালে অদৃশ্য রং আনিল আর ফিস ফিস করিয়া নিজের গোপন মতলবের কথা বলিতে লাগিল। মা’র হাতে কিছু টাকা আছে শঙ্কুর, সব ছেলের চেয়ে শস্তুকেই তার মা বেশী ভালবাসে তাত জানে সরল। ওই টাকাটা বাগানোর ফিকিরে আছে শুভু, নয়ত এত বেশী ও-বাড়ীতে যাওয়ার তার কি দরকার ! বাজারে মস্ত দোকান খুলিবে স্তু, এবার আর দোকানদার নয়, রীতিম৩ ব্যবসাদারী,— বাপকে বাকী টাকাটা এক সঙ্গে দিবার কথা বলিতে সরলা যেন ন ভোলে । দুর্গ। দুর্গা । না, এবেলা আর রাধিবার দরকার নাই । ফলার-টলার করিলেই চলিবে । আই, গরমে সরলার র"াধিতে কষ্ট হইবে যে । সরল জানে হিসাবে ভূল হইতেছে, বাটখারা লাভেল দিকে ন-কুঞ্চিবার সম্ভাবনা আছে, তবু স্বামীর সঙ্গে আর বেশী দোকানদারী করা ভাল নয় । বাপের টাকায় স্বামীকে কিনিম্ন রাখিয়াছে এক বছর, এবার তাকে মুক্তি নে গুয়াই ভাল, তাতে যা হয় হইবে । একদিন ত নিজেকে কেন রকম রক্ষাকবচ ছাড়াই স্বামীর হাতে সমর্পণ করিতে হবে তার। তা ছাড়া এক বছর ধরিয়া স্বামী তাহাকে সেরকম ভালবাসিয়াছে সেট শুধু নিজের মনের খুতখুতানিব জন্য ফাকি মনে করা উচিত নয়। অবশু, পেটে যে সস্থানট ‘আসিয়াছে সেটা জন্মগ্রহণ করা পয্যস্ত অপেক্ষা করিলেই সব চেয়ে ভাল হইত, এতদিম একসঙ্গে বাস করিয়া সরলর কি আর জানিতে বাকী আছে নিজের ছেলের মুখ দেখিলে শgর পাকা শক্ত মনটা কি থকম কাচা আর নরম হয়ে যাইবে । তবে ছেলেটার জন্মিতে এগনও গুনেক দেরি । তার আগে জমি বেচিয় বাজারে মণিহারী দোকান খুলিয়! বসিলে স্তু ভাবিবে সব কীৰ্বি তার একার, কারও কাছে কৃতজ্ঞ হওয়ার কিছু নাই । আগেকার কথা মনে করি, সরল অবশু ভবিয়া উঠিতে পারে মা কৃতজ্ঞতার কতখানি দাম আছে শঙ্কুর কাছে । বাজারে মণিহারী দোকান খুলিয়া দু-এক বছরের মধ্যে এমন অবস্থা যদি হয় * #4 নিৰ্ভয়ে এবং ধে মল্মপানের বেড়াটা ভাঙিয়া সরল স্বথে শাস্তিতে, এক রকম বাড়ার কত্রীর মতই সকলের