পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ বাভ 8ぶ。 শিখিয়াছে, এখনও তাহদের মাথাথারাপের কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায়ু নাই। আর কখনও না পাইতেও পারে । যে যাহাই বলুক, আমার মতে মলিন সেই বৈশাখ হইতে স্বথের সন্ধান পাইয়াছে । 赛 籌 赛 কত ক্ষণ ধরিয়া এসব ভাবিতেছিলাম, কিছু খেয়াল ছিল ন! ; ঘরের মধ্যে নিশীথের গল্পের একটি কথাও আমার কানে যায় নাই । যা গুয়ার দরকারও ছিল না । কারণ সে কি বলিয়াছে আমি জানি । সহসা নিশীথের গল্প থামিল, আমার ও চিস্তাস্বত্র চিড়িয়া গেল । একটু অপ্রস্তুত ভাবে আলোচনায়ু যোগ দিতে চেষ্টা করিলাম । নিশীথ গল্প শেষ করিয়া পকেট হইতে সিগারেট-কেস বাহির করিয়া সিগারেট ধরাঈল । থানিক ক্ষণ চুপচাপ কাটিল। তাহার পর নিখিল জিজ্ঞাস করিল, “তার পরে আর তাকে পাওয়া যায় নি ?” ‘‘ল |’ "আচ্ছ, সেদিন থেকে বারে বছর পয্যন্ত আপনার মাসী ত সধবা ?” “নিশ্চয়ই ।” বাতিরে রাজি হঠয়াছে । কালে! আকাশে একটিও তার নাত । সকলে চুপ করিয়; বসিয়া আছি । মনে হইল সকলেষ্ট অন্তত: কিছু ক্ষণেব জন্য এই দুর্ভাগিনী নারীর কথা ন! ভাবিয়। পরিবে না । অন্তত: আমি পারিলাম মা ! মলিনার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কথাই মনে পড়িয়া গেল । কলিকাতার এক জনবহুল পল্লীর একটি গলির মধ্যে একটি বাড়ি । দৈন্য চারি দিকে পরিস্ফুট । তবু একটি রাত্রিতে তাঙ্গকে সাজাইবার জঙ্গ অনেক চেষ্ট হইয়াছে । গুটি-কয়েক গ্যাসের আলোতে দৈন্য-দুৰ্দ্দশ। আর ৪ ফুটিয়া বাহির হইয়াছে । দেওয়ালের চারিধারে ফাটল । বাড়ির লোকগুলিও বাড়ির মতনই নিরানন্দ । তাহারষ্ট একটি ঘরে রোদনরত কিশোরী। তাহার পরে লোকজন লইয়া আলোয় চারিদিক ভরিয়া o বাজনা বাজাইয়া কাহারা আসিয় গলির বাহিরে বড় রাস্তায় থামিল । কন্দপের মত রূপবান এক তরুণ । এমনি আরও অনেক কথা মনে পহে । তাহার সহিত আরও একটা কথা মনে পড়ে, তাহা নিজের কৈশোর । মনটা বিষাদে আচ্ছন্ন হষ্ট্রয় রহিল । বুষ্টি ধরিয়া আসিতেছে । রাস্তার আলোর সামনে বৃষ্টির রেথ ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইতেছে । ভিজা মাটির গন্ধে মন আকুল হইয়া উঠিল । বিগতযৌবন দেহে বিগতযৌবন মন লইয়া কোন বহু দূরবত্তী দিবসের স্মৃতির স্বপ্ন দেখিতে লাগিলাম । একটা ট্রাম রাস্তার মধ্যে ঘাসে-ঢাকা লাইন দিয়া বিশ্রী কর্কশ শব্দ করিয়া চলিয়া গেল, আমার অবাস্তর অর্থহীন স্বপ্নকে চূর্ণ করিয়। শুনিলাম, মনোরঞ্জন নিশীথকে বলিতেছে, “কিন্তু এর সঙ্গে ত ঝড়বৃষ্টির খুব বেশী সম্বন্ধ টের পাওয়া গেল না। আপনি ত ঝড় নিয়েই গল্প শুরু করেছিলেন ।” “সুরু করেছিলাম, শেষ ত এখনও করি নি।” “আরও আছে নকি ?” “ গাছে বইকি ! বাকীট এইবারে গুমুন। “মেসোমশায় নিরুদ্দেশ হওয়ার বছরখানেক পরে আমি ট্রামে যাচ্ছিলাম এসপ্লানেডের দিকে । পথে এল ঝড় । ধুলোয় চারিদিক ভরে গেল। আমাদের প্রায় অন্ধ করে দিয়ে তার পরে বৃষ্টি নামল । সে বৈশাখে সেই প্রথম ঝড়। প্রথম বৃষ্টি । ট্রামে থাকতে পারলাম না, .নেমে পড়লাম । “ময়দানের ধারে একটা গাছের ডাল ঝডে ভেঙে পড়েছে । কাছে এগিয়ে দেখি তলায় একটা মামুষের দেহ । জনকয়েক লোক ডাল সরিয়ে যখন লোকটাকে বার করল, ততক্ষণে তার হয়ে গেছে । একটা কঙ্কালসার দেহ, দাড়ি ঙ্গে ফে আচ্ছন্ন মুখ, পরণে অতিছিন্ন ন্যাকড়া । কিন্তু আমি তাকে দেখে চিনেছিলাম, সে আমার নিরদিষ্ট মেসোমশায় !" ঠিক এটা কেহই প্রত্যাশ কেহই কথা কহিতে পারিলাম না। করি নাই, খানিক ক্ষশ তাহার পরে পরেশ