পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৬ প্রবাসী ১৩৪৩ --~~ BS BBBBB BBBB BBB BB S BBB BBB BBBBBB BBBB BBB BBttD S DD S বৈজ্ঞানিক আলোচনা করেন । ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়দ্ধের উৎপাদনের কারণ এবং পরিমাণও দ্রুত বুদ্ধি عتنحي همزة هي: 'ु, MBB BBB BBB BB BBB BBBB BBS BB BB BBBB BBBB BBBB BBB KJS YYS BBB BB BBB B BBBB BBBBBB BBB BBB BBS SS BBBB BBBB BBB DD DDD tttttS মানবের স্বাস্থ্যের যে প্রভূত হানি করে তৎসম্বন্ধে সাধারণভাবে আলোচনা করেন । তৎপরে খ্ৰীষ্টীয় ১৭২১ সালে জে. বুবে পাথর-ভাঙা ধূলি হইতে যে নানা প্রকার ব্যাধির উৎপত্তি হয় তৎসম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করিয়া এক নিবন্ধ প্রকাশ করেন। লেবলাস্ক ১৭৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দে র্তাঙ্গর লিখিত প্রবন্ধে বুবের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। লেবলাস্কের উক্ত প্রবন্ধে চূণ-পাথর ইত্যাদি লইয়া যাহার কাজ করে তাহদের মধ্যে এক প্রকার অদ্ভুত ব্যাধির আক্রমণ সম্বন্ধে আলোচিত হইয়াছে। অত:পর জনষ্ট্রেনি আর এক শ্রেণীর শ্রমিক দলের মধ্যে এক ধরণের ব্যাধি সম্বন্ধে অমুসন্ধান করেন । র্তাহার অনুসন্ধানপ্রসূত আলোচনা খ্ৰীষ্টাব্দে এক সন্দর্তে প্রকাশিত হয়। স্বচ ইত্যাদির অগ্রভাগ যাহারা ছুচাল করে তাহদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষয়রোগের প্রকোপ দেখিতে পাওয়া যায়। এই কাৰ্য্যে প্রতিনিয়ত ধূলি নিক্ষিপ্ত হইতে থাকে এবং এই ধূলি ফুসফুসে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া ব্যাধির উৎপত্তি করে। ইহার পর হইতে ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ৮০ বৎসরে অনুন ৯১টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে—প্রত্যেকটি প্রবন্ধেক বিভিন্ন প্রকার ধূলির জন্য যে বিশেষ ব্যাধির স্বষ্টি হয় তাহার বিশদ আলোচনা লিপিবদ্ধ হইয়াছে। কোন কোন ব্যক্তির ফুসফুসের অভ্যস্তরস্থ বর্ণবিশেষের যে বিকৃতি দেখা যায়, তাহ লইয়া উনবিংশ শতাব্দীতে যখন আলোচনা চলিতে থাকে, তখন বিশেষ করিয়া ধূলির প্রতি লোকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় ; উক্ত আলোচনাদির পরে চূড়ান্তভাবে মীমাংসিত হয় যে, সৰ্ব্ব শরীরময় যে এক প্রকার বর্ণহীন জলবৎ পদার্থ ( বা lyraph ), পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে তাহারই প্রবাহের সহিত আসিয়া ধূলিকণাগুলি ফুসফুসের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে, ফলে ফুসফুসের ভিতরকার বর্ণক (pigment ) এইরূপ বিকৃত হইয়া পড়ে । ● আধুনিক সভ্যতার প্রসারের সহিত শ্রমশিল্পাগার তথা নানা ➢ ጓ:: ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দের পর হতে প্রায় অৰ্দ্ধশতাবী কলে? মধ্যেই নুনাধিক ১২০ • শত প্রকাশিত প্রবন্ধের সন্ধান পাই, যাহাতে কেবল ধূলি এবং বিভিন্ন শ্রেণীর ধূলির নিমিত্ত যে-সকল ব্যাধির সৃষ্টি হয় তৎসম্বন্ধে আলোচনা কর হইয়াছে । এই সকল প্রবন্ধে কয়লা ৪ প্রস্তর খনি খনন, পাথর কাট, ধাতু-থলি হইতে ধাতু উদ্ধার করা ইত্যাদির ফলে উৎপন্ন ব্যাধি এবং বিভিন্ন ধাতব পদার্থের কারখানার কৰ্ম্মীদের মধ্যে পরিদৃষ্ট এনথাকোসিস, মেলেনেসিস, যক্ষ্ম প্রভৃতি মানা প্রকার ব্যাধি তৎসম্বন্ধে আলোচিত হইয়াছে । বল বাহুল্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রের রকমারি ধূলি ঐ সকল ব্যাধির আক্রমণের কারণ বলিয়া শ্রমিকগণের মধ্যে ক্ষয়ুরোগের প্রকোপ সম্বন্ধে বিংশ শতাব্দীতে প্রচুর আলোচনা হইয়াছে ; তাহাতে প্রায় সকল বিশেষজ্ঞই একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন যে ইহার মূল কারণ কলকারখানার অপরিমিত ধূলি । অবশু ধূলির সহিত যে ক্ষয়ুরোগের নিবিড় সম্পর্ক রহিয়াছে তাহা বহু পূৰ্ব্বেত সম্ভবতঃ প্রথম শেটুএনফ নির্দেশ করিয়াছিলেন ; ইহার কিষ্ট্র কাল পরে লম্বার্ডের আলোচনাতেও এইরূপ সমস্যার উল্লেখ দেখা যায় । নিদিষ্ট হইয়া ছ। কারখানার কিন্তু এ-স্থলে একটা কথার উল্লেখ করা একাস্ত আবশুক । ধূলি নানা প্রকার ব্যাধির মূল বটে, কিন্তু সকল ক্ষেত্রে সৰ্ব্বপ্রকার ব্যাধির নিমিত্ত ধূলি মুখ্যত দায়ী নহে। কয়েক প্রকার ধূলি আছে যাহা পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর, এই প্রকার ধূলি ব্যাধির জীবাণু বহন করিয়া থাকে। এই জীবাণুবাহী ধূলি দৈনন্দিন জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক সহচর ; অপর দিকে যে ধূলি প্রত্যক্ষভাবে বিপদজনক ও হানিকর তাহ প্রধানত: শ্রমশিল্পের ফলে উদ্ভূত। অপরন্তু সাধারণ অবস্থায় বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান সাধারণ ধূলি নিজেও সোজাস্বজিভাবে ক্ষতি করিয়া থাকে এবং বায়ুমণ্ডলে নিয়ত ভাসমান জীবাণু বহন করিয়া লইয়া ক্ষয়রোগ-জাতীয় নানা প্রকার ব্যাধি