পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՅԱ, তলগুলিতে উঠা যায়। পঞ্চম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত পাহাড়পুরের ভিত্তিভূমি ও নক্ষার সহিত আনন্দ মন্দিরের ভিত্তিভূমি ও নক্সার আশ্চৰ্য্য রকম মিল দেখা যাইতেছে। পাহাড়পুর আবিষ্কৃত হওয়ার পূৰ্ব্বে দ্বীপময় ভারতের ক্রুশাকৃতি ভিত্তির মূল ভারতে কোথাও খুজিয়া পাওয়া যায় নাই এবং সেই জন্য অনেক মনীষী ইহাও বলিয়াছেন ষে উহা তাহাদের নিজস্ব স্থাপত্যধারা । L_l পাহাড়পুর মন্দিরের ভিত্তিভূমি কিন্তু খোদিত লিপি, তাম্রশাসনপত্রের বিবৃতি এবং স্থলপথে ও জলপথে বঙ্গদেশের সহিত দ্বীপময় ভারতের ঘোগাযোগ এবং এই মন্দিরগুলি হইতে তিন-চারি শত বৎসরের পূর্বের পাহাড়পুরের মন্দির প্রভৃতি বিচার করিয়া গত সনের অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে প্রকাশিত “বৃহত্তর ভারতে বঙ্গ-সংস্কৃতির প্রভাব” প্রবন্ধে দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি যে বঙ্গের এই চতুমুৰ্থ বিহারই অন্যান্য দেশে আদর্শরূপে গৃহীত হইয়াছিল। দীক্ষিতমহাশয়ও প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের ১৯২৬-২৭ সালের বাধিক বিবরণীর ৩৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, স্থাপত্য শিল্প-শাস্ত্রে ভারতীয় মন্দিরের প্রধান তিনটি শ্রেণীর উল্লেখ পাওয়া V38 প্রবাসী Info-farmerBot (আলাপ) ০৯:৪৫, ২৫ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)च्च्ख ●Nご8NS কাকনগরী, তীিয়টি প্রাবিড় এবং চালুক্য অন্ধৰ বেশর এবং তৃতীয়টি সৰ্ব্বতোভত্র । এই সৰ্ব্বতোভয় ধারার অর্থাৎ যথাকুপাতিক ত্রিতল অথবা চতুস্তল মন্দির পাহাড়পুর ভিন্ন ভারতের অন্ত কোন প্রদেশে পাওয়া যায় নাই এবং উহার নির্মাণপদ্ধতি বহু পূর্বেই অন্তান্ত প্রদেশবাসী ভুলিয়া গিয়াছিল। ভারতীয় এই বিশিষ্ট স্থাপত্যপদ্ধতি হুদুর পূর্বখণ্ডে বিশেষত: ব্রহ্মদেশ, জাভা এক কাম্বোডিয়ার স্থাপত্যকে অনুপ্রাণিত করিয়াছিল । আনন্দ-মন্দিরের ভিত্তিভূমি সুতরাং হহ নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে যে পাহাড়পুর হইতে প্রায় পাঁচ শতাব্দী পরে নিৰ্ম্মিত পেগানের আনন্দ-মন্দিরে পাহাড়পুরের এই বিশিষ্ট পদ্ধতি মূল আদর্শরূপে গৃহীত হইয়াছিল । আনন্দ-মন্দিরের দম্ব-মুত্তিক-ফলক ও মন্দিরাভ্যস্তরের প্রস্তর-মূৰ্ত্তিগুলি বিচার করিয়া দেখি যে মূৰ্ত্তিগুলির দেহের গঠন খুব দৃঢ়, অথচ স্বনীর ও কমনীয়। একটি নিটোল টানে তাহদের হস্ত পদ ও বক্ষ হইতে ক্রমশঃ কৃশ কটিদেশ পুনরায় নিতম্ব অবধি উন্নত হইয়া একটি বিশেষ ভঙ্গীতে যে-রূপ পাইয়াছে তাহা আমাদের নবম শতাব্দী হইতে রয়োদশ শতাব্দীর পাল- ও সেন- রাজদের নিৰ্ম্মিত পূৰ্ব্ব-বিভাগের মূৰ্ত্তির কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। মূৰ্ত্তিগুলির মুখাবয়ব