পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবণসী yN98Nరి సెNరిస్క్రి পঞ্জাব S, రిర్మినిషి,8ఆరి আগ্ৰা-অযোধ্যা து’ ৭১,৮১,৯২৭ মোট ব্রিটিশ ভারত ७,१०,२०,88७ দেশীয় রাজ্যসমূহ S, రిల్మt h, 9 ఫి সমগ্ৰ ভারত র্য 486, רוי, טאר, ר এই তালিকায় দেখা যাইতেছে, সমগ্র ভারতবর্ষে যত মুসলমানের বাস, তাহার এক-তৃতীয়াংশেরও অধিকের বাসস্থান বঙ্গে। বঙ্গের নীচেই পঞ্চাবে অধিকসংখ্যক মুসলমানের বাস। কিন্তু পাঞ্জাবী মুসলমানদের সংখ্যা বাঙালী মুসলমানদের সংখ্যার অৰ্দ্ধেকেরও কম। বাঙালী মুসলমানদের কোন কোন নেতা বাঙালী হিন্দুদের চেয়ে প্রভাবশালী হইতে পারিবেন, এই চিন্তায় উৎফুল্ল হউন তাহাতে ক্ষতি নাই। কিন্তু এই সকল ও অন্যান্য মুসলমান বাঙালী নেতা যাহাই ভাবুন করুন, শিক্ষিত বাঙালী মুসলমানের সমষ্টি সমগ্রভারতীয় মুসলমান সমাজে, এবং বিশেষ করিয়া বঙ্গীয় মুসলমান সমাজে, আপনাদের স্বাভাবিক দ্যাধ্য স্থান সম্বন্ধে উদাসীন না থাকিয় অধিকতর মনোযোগী হইলে মুসলমান বাঙালীদের, এবং মুসলমান ভারতীয়দেরও, কল্যাণ হইবে বলিয়। আমাদের ধারণ। অবিনাশচন্দ্র দাস কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক ডক্টর অবিনাশচন্দ্র দাসের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যক্ষেত্র হইতে ও বঙ্গীয় বিদ্বন্মণ্ডলীর মধ্য হইতে এক জন গণনীয় ব্যক্তির তিরোভাব হইল। মৃত্যুকালে উহার বয়স সত্তর বৎসরের চেয়ে কয়েক মাস কম হইয়াছিল । সাহিত্যিক কৃতিত্বে ও পাণ্ডিত্যে তিনি বাঁকুড়া জেলার গৌরবস্থল ছিলেন। তিনি “পলাশবন', অরণ্যবাস’, ‘কুমারী,’ ‘সীতা’ প্রভৃতি বাংলা গ্রন্থের লেখক বলিয়া সুবিদিত। পদ্যও তিনি বেশ লিখিতে পারিতেন। তিনি ‘গন্ধবণিক’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ঋগ বৈদিক সংস্কৃতি সম্বন্ধে তাহার যে বিস্তৃত ইংরেজী নিবন্ধ পরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, তাহা লিথিয় তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ-ভি উপাধি প্রাপ্ত হন। তাহার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অধ্যাপক নিয়োগের কারণও ঐ গ্রন্থখানি। তিনি তাঁহা নালিখিলেও অন্ত অনেক এম্-এ, বি-এল উপাধিধারীর মত অধ্যাপক হুইবার যোগ্য ছিলেন। তিনি বেশ বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল ইংরেজী লিখিতে পারিতেন এবং ইংরেজী সাহিত্যে তাহার জ্ঞানও যথেষ্ট ছিল । তাহার বাংলা গ্রন্থগুলি অনাবিল ও সেগুলির ভাষা প্রসাদগুণবিশিষ্ট । র্তাহার ও আমার উভয়েরই জন্ম বাকুড়ায় । বাল্যকাল ও যৌবন হইতেই, বিশেষতঃ যৌবনে, অামাদের পরিচয় ও

ঘনিষ্ঠতা । আমরা একই সময়ে, যদিও ভিন্ন ভিন্ন কলেজে, কলিকাতায় পড়িতাম। অবিনাশের বাড়ী যে নুতনচটি গ্রামটিতে, তাহ আমাদের বাল্যকালে বাকুড়া শহরের শেষ সীমা হইতে আনুমানিক আধ ক্রোশ দূরে ছিল। এখন নূতনচটি গ্রামের ও বাকুড়া শহরের মধ্যে সীমারেখা টানা কঠিন । অবিনাশ বদ্ধিষ্ণু , শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পিতা হরিনাথ দাস স্কুলসমূহের ডেপুটি ইনস্পেক্টর, বিদ্বান ও শিক্ষাদানদক্ষ ছিলেন । অবিনাশের স্বভাবচরিত্র তাহার স্বারা সবিশেষ প্রভাবিত হইয়াছিল । শানবাদ গ্রামের মধুসূদন মুখোপাধ্যায়, নুতনচটির হরিনাথ দাস প্রভৃতি বোধ হয় সেকালে বাঁকুড়ায় প্রথম ইংরেজী শিথিয়াছিলেন । বঁকুড়া জেলার যে শুশুনিয়ু পাহাড়ের একটি গুহার গাত্রে প্রাচীন সংস্কৃত একটি লিপি পোদিত আছে, সেই পাহাড় দেখিতে যাইতে হইলে আমাদিগকে অবিনাশদের বাড়ীর সম্মুখস্থ রাঙা রাজপথ দিয়া যাইতে হইত। বাল্যকালে আমরা যখন সরস্বতীপূজায় ব্যবহারের নিমিত্ত চণ্ডীদাসে চরিতকথার সহিত জড়িত ছাতম গ্রামের সন্নিহিত শালব.ে শ্বেত আরণ্য পুষ্প সংগ্ৰহ করিতে যাইতাম, তপন, অবিনাশদের বাড়ীর সম্মুখ দিয় ঘাইতে ইষ্টত । কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় যখন নুতনচটির নিকটস্থ পাচবাঘ গ্রামের বড় ধাঁধের (পুষ্করিণীর ) পাড়ের রাf রাশি রক্ত করবী তুলিয়া আনিতাম এবং বালে কখন কথ নুতনচটি ও পাচবাঘায় ভোজ খাইতে যাইতাম, তখন অবিনাশদের বাড়ী অতিক্রম করিয়া যাইতাম । যৌবনে যখন আমরা উভয়েই কলিকাভ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমৃ এ হইয়াছি, তাহার পরও, মনে পড়ে, পাচবাঘ গ্রামে হিতলাল মিশ্রের সহধৰ্ম্মিণীর নিকট হইতে কিঞ্চিং লন ভিক্ষা করিয়া লইয গিয় উভয়ে নিকটবর্তী বনে বহু বু তুলিয়৷ থাইয়াছিলাম। আরও কত কথা মনে পড়িতেছে। অবিনাশ আমার চেয়ে কিছু ছোট ছিলেন। সেই গু মনে করিয়াছিলাম, আমার সস্তানদিগকে বলিয়৷ যা আমার মৃত্যুর পর আমার যৌবনকাল সম্বন্ধে তাহাে কোন কৌতুহল হইলে অবিনাশকে যেন জিজ্ঞস ক:ে তাহা আর হইলন। সুখের বিষয়, আমার চেয়ে কিছু ছে আমাদের বন্ধু বাকুড়ার প্রমথনাথ চট্টোপাধ্যায় স্বস্থ জীবিত আছেন। তিনি দীর্ঘজীবী হউন । প্যালেস্টাইনে অশান্তি প্যালেষ্টাইনে আরবদের বিশ্লোহ খামে নাই। জঙ্ক ব্রিটিশ গবন্মেটি কঠোরতর উপায় আবর