পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ভেসে চলেছিলাম, অনেক বাধা বল্প এসে আমাদের গতিরোধ কবৃছিল, কুলে গিয়ে ঠেকূব এভরসা বড় ছিল না, তখন আমাদের সকল কারে কাণ্ডারী সকল স্বপরামশের ভাণ্ডারী রাসবিহারী সেন সফলতার ডাঙ্গায় আমাদের টেনে তুলেছিলেন । আধুনিকের অনেকে ফাঙ্কনীর নাম শুনেই দেখতে আসেননি, আবার টিকিট কিনে নিয়েও কেউ কেউ আসেননি—এদের ওজর “ফাল্গুনী’ বুঝতে পারব না। ফাল্গুনী ত উইল করা সম্পত্তি নয়, যে বুঝে-পড়ে নিতে হবে,এতে তো উপার্জনের কথা কিছুই নেই যে বুঝবেন। বিশ্বের স্বষ্টি কি বোঝবার জন্য ? গানের সুর বোঝবার জন্য ? ফুলের গাছ কি বোঝবার জন্ত ? তাই ফাল্গুনীতে বোঝবার ও কিছু নেই। র্যারা কেবল ফলের আশা করেন তারাই কেবল বোঝবার আশা রাখেন। কিন্তু র্যার ফলের আশা না ক’রে কেবল ফলতে চান, তারা কখনও বোঝবার আশা রাপেন না। ফাল্গুনীতে আছে ফোটা ফুলের আনন্দ ; ফাল্গুনীর ভিতরকার কথা—চুকিয়ে দেওয়া, বিলিয়ে দেওয়া, ফুল যেমন ক’রে তার গন্ধ বিলোয় । দর্শক —আমরা দর্শক পেয়েছিলাম চার রকম । প্রথম,—যারা ফাঙ্কনীকে সাধারণ নাটক মনে ক’রে ঘটনা-বৈচিত্র্যের ঘাত-প্রতিঘাতের আশা করেছিলেন । তাদের আশা-ক্ষেত্রে ফাঙ্কনী ঠিক ফীলের মত বিধেছিল এবং যথার্থই ফাঙ্কনী তাদের ঘুমের বিশেষ ব্যাঘাত করেছিল । দ্বিতীয়,—যুবকের দল ! তারা শিংওঠা হরিণ শিশুর মত ফুলের গাছকেও গুতিয়ে বেড়ায় ! তাই তারা ফাল্গুনী দেখে ঠাট্ট করেছিল ! তৃতীয়,—অগাধ বিদ্যার টোক র্যাদের মাথায়, জ্ঞানের চশ মা র্যাদের চোখে, তারাই ব’সে ব’সে অভিনয়ের সমালোচনা করেছিলেন, এটা এরকম হওয়া উচিত নয়, এটা এরকম কেন হ’ল ? “যবনিক উঠতে এত দেরী হচ্ছে কেন ?" ইত্যাদি। খুত ধর্ব মনে করলে সকলেই কিছু” না কিছু খুত পাওয়া যায়। অদ্ভুত কিছু দেখলেই এদের চোখে ঠেকে এবং বুকেও শেলের মত বাজে ; কারণ এরা Ֆեյ বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী ృOR কোটাল ; কিন্তু আমরা জানি জ্যোংস্কার বুকের উপর দিয়ে যদি ভাঙা মেঘ ভেসে যায় তাতে জ্যোৎস্নার কোন ক্ষতি হয় না ; আর বাদুড়ের ডানায়ও জ্যোছনী ঢাকা পড়ে না, সে বিশ্বাস আমাদের আছে। উক্ত সমালোচকদের জন্য রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা মনে পড়ে— কে বুঝে কে নাহি বুঝে, ভাৰুক তা নাহি খুঁজে ; ভাল যার লাগে তার লাগে ! চতুর্থ,—যার গোড় থেকে শেষ পর্য্যস্ত দেহ, মন, প্রাণ দিয়ে ফাঙ্কনীকে গ্রহণ করেছিলেন র্তারাই কেবল চিরদুঃখের আয়োজনের মাঝে থেকেও ফান্ধনীর ফণগে নিজেদের মনটাকে রঙিয়ে নিয়েছিলেন, ফাল্গুনীর অমৃত-পানে তারাই তাদের প্রাণটাকে অমর করতে পেরেছিলেন। আমাদের এপরিশ্রমের সার্থকতা তাদের কাছে। দিল্লীর বঙ্গভাষাভাষীর কাছে এই দিনটি চিরস্মরণীয় থাকবে । শ্ৰী বীরেন্দ্রনাথ গুপ্ত বেঙ্গলী ক্লাব, দিল্লী বঙ্গের বাহিরে লাঙ্গালী ছাত্রের কৃতিত্ব বাংলা দেশের বাহিরে এলাহাবাদে অনেক বাঙ্গালীর বাস । কিছু দিন পূর্বে আমরা এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীলরতন ধর ও হার ছাত্রবৃন্দের কার্য্যাবলীর কথা প্রকাশ করিয়াছিলাম । সম্প্রতি অধ্যাপক ধরের একজন ছাত্র শ্রীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র সেন রসায়ন-বিজ্ঞানের আলোচনায় বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করিলেন । ইনি গত বৎসর মাত্র ২৫ বৎসর বয়সে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাচাৰ্য্য ( D. Sc. ) ডিগ্রি লাভ করিয়া সমস্ত বাঙ্গালী ছাত্রের মূপোজ্জল করিয়াছেন । ইহার গবেষণা গুলির পরীক্ষক ছিলেন লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডনান ( Donnan ) এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সডি (Soddy ) অধ্যাপক ডনান এই ছাত্রের থীসিস ( Thesis ) পরীক্ষা করিয়া মন্তব্য প্রকাশ করেন, যে এই মৌলিক গবেষণা পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানে প্রকৃত উন্নতি (“It is a distinct advance in physical and