পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ᏹ>Ꮣ• কাচের ক্ষেত্রে ললিতকলা বা কারুকার্য্য আরও অনেক প্রকার আছে। কাচের ব্যবহারও অসংখ্য প্রকার কার্য্যে হয় মাসিকপত্রে প্রবন্ধকারে তাহার বিবরণ দেওয়া অসম্ভব । যাহা এই প্রবন্ধে লিখিত হইয়াছে তাহা ও ঐ কারণে অনেকস্থলে অস্পষ্ট বা অসম্পূর্ণ রাথিতে হইয়াছে। আমাদের দেশ প্রাচীন সভ্যজগতে কাচের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। মধ্যযুগে তাহ লুপ্তপ্রায় হইয়া যায়। সেই সময় হইতে ১৯০৬-৭ খৃঃ পৰ্য্যস্ত এদেশে এই শিল্প আতি ক্ষীণভাবে চলিতেছিল। ঐ সময় হইতে এদেশে দুই একটি প্রবাসা—বৈশাখ, ১৩৩e [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিয়া আধুনিক প্রথা-সম্মত কারখানা স্থাপিত হইতে থাকে। এখন এদেশে অনেকগুলি কাচের কারখানা হইয়াছে। কিন্তু কোনটিই সম্পূর্ণ আদর্শভাবে সজ্জিত ব| পরিচালিত নহে। বিদেশে প্রত্যেক বৃহৎ কাচের কারখানার একটি প্রধান অংশ তাহার বিজ্ঞানাগার,যেখানে পরীক্ষণ ভিন্ন অন্য অনেক গবেষণা হয় । এখানে কোনও কারখানায় উপযুক্ত পরীক্ষাগার ও নাই, বিজ্ঞানাগার ত দূরের কথা । তবে ক্রমে কারখানার কর্তৃপক্ষগণ ব্যবসাতে শিক্ষালাভ করিবেন এবং তখন এ-সকলদিকে তাহদের দৃষ্টি আকৰ্ষিত হইবে । কল্লোল শ্ৰী হেমচন্দ্র বাগচী তিমির রাত্রির বক্ষে সাড দিয়া সচকিয় দিক্‌, কা’র সব নিৰ্ম্মল পথিক যাত্রার আনন্দ-গানে ধরণারে দিয়ে গেল দোল ; শুনি তাই অশ্রান্ত কল্লোল । জমিছে বন্ধনরাশি ; অন্ধকারে বারে-বারে তাই মোরা সবে পথ ভুলে যাই । নিশার আকাশ চি’রে বিদ্যুতের কটাক্ষ বিলোল; শুনি তাই অপ্রাস্ত কল্লোল । প্রশ্ন বাড়ে দিনে-দিনে ; কেহ নাই নাহি পাই সাড়া ; ভীতি জাগে ; প্রাণ দিশাহার। — এ নিবিড় যবনিক তোল আজি তোল তোর ভোল্‌ ! শুনি তাই অশ্রাস্ত কল্লোল । কুসুম ফুটেছে আজি-হের ঐ ; মধু কই হায় ? তৃষ্ণায় যে বুক ফেটে যায় ! কোথা তোরা ? অায় সবে ; কোযাগার খোল আজি খোল শুনি তাই অশ্রান্ত কল্লোল । ব্যথায় দহিছে প্রাণ ; কোথা শান্তি ? ভ্রান্তি-রাশি আজ পদে-পদে করিছে বিরাজ । আলোক-তরণী আসে ; রাত্রি যায় ; ব্যথা সবে ভোল । শুনি তাই অশ্রান্ত কল্লোল।