পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ e হয় না। ভিতর হইতে সমবায় গড়িয় উঠে ইহা সকলেই ইচ্ছা করেন। তইতেছেও তাহই । সমবায়ের সহিত যাহাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ এবং যাহাদের ঐকান্তিক চেষ্টায় সমবায় এদেশে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে, সেন্টাল ব্যাঙ্কের অধিকাংশ আমানতকারীই স্বয়ং তাহার এবং ঠান্তাদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত ব্যক্তিগণ। তদ্ভিন্ন সেন্টাল ব্যাঙ্কগুলি যবনিকার আড়ালে কাজ করে না । তাতাদের প্রত্যেক কাৰ্য্যই প্রকাষ্ঠে নিৰ্ব্বাহ হয় এবং সাধারণে পরীক্ষা করিবার স্বযোগ পান। এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয় সেন্টাল ব্যাঙ্কগুলি সাধারণের বিশ্বাসভাজন হইয়াছে। সাধারণে বুঝিয়াছেন যে, সেন্টাল বাঙ্কগুলিতে টাকা আমানত করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সেইজন্য অনেক সেন্টাল ব্যাঙ্কে আজকাল এত টাক আমানত আসিম্ভেছে যে, সব সময়ে তাহার। তাহ লইতে পারেন। শ্ৰী পূর্ণচন্দ্র দত্ত ( ডেপুটী চেয়ারম্যান, কালন সেন্টাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ইণ্টামডিয়েট, সাহিত্যসংগ্ৰহ সম্প্রতি স্থির হইয়াছে যে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারমাডিয়েট পরীক্ষার্থকদিগকে বাঙ্গালায় নির্দিষ্ট পাঠ্যপুস্তক পড়িতে হুইবে এবং ঐ পরীক্ষার জন্ত বিশ্ববিদ্যালয় একখানি নিৰ্ব্বাচিত সাহিত্য-সংগ্ৰহ (Solections ) প্রকাশিত করিয়াছেন । এই সাহিত্য-সংগ্রহে সন্নিবিষ্ট একটি কবিতা হেমচন্দ্রেয় “ভারতসঙ্গীত” । উহার এক স্থলে 四忆豆需一一 “cकाश। अभित्रिका-नद-अङ्कानङ्ग, পৃথিবী গ্রাদিতে করিছে আশয়, হয়েছে অধৈৰ্য্য নিজ বীৰ্য্যবলে, ছাড়ে হুহুঙ্কার, ভূমণ্ডল টলে, যেন বা টানিয়া ছিড়িয়া ভূতলে, নুতন করিয়৷ গড়িতে চায়। মধ্যস্থলে হেথা আজন্মপুঞ্জিত চির বীর্যবতী বীরপ্রসবিতা, অনন্তরে বিনা যুনানী-মণ্ডলী, মহিমাছটাতে জগৎ উজলি’ কৌতুকে ভাসিয়া চলিয়া যায়। আরব্য, মিশর, পারস্য, তুরকী, তাতার, তিব্বত—অস্থা কব কি ? চীন, ব্ৰহ্মদেশ, নবীন জাপান, তারাও স্বাধীন তারাও প্রধান, দাসত্ব করিতে করে হেয়ঞ্জান, ভারত শুধুই ঘুমায়ে রয়। ইহার মধ্যে দ্বিতীয় stanzaাট অর্থাৎ মধ্য স্থলে হেথা আজন্মপূজিতইতাদির যে কি অর্থ হইতে পারে তাহা আমরা ঠিক করিতে পারিলাম না। "অনন্তরে বিনা যুনানী-মণ্ডলী, ইহার অর্থ কি হইতে পারে? অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যোগোদাস চৌধুরী মহাশয় উহার মিতভাষিণী নামক প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড টকাতে বলেন, যে, তিনি ঐ স্থলটির অর্থ করিতে পারিলেন না । কারণস্বরূপে তিনি বলেন, যে, যুনানী বলিয় একটা শব্দই দুষ্পাপ, সেইজন্য তিনি ইহার অর্থ ঠিক করিতে পারেন নাই । কিন্তু উদ্ধত স্থলটির অর্থ না করিতে পারার কারণ তাহার ও আমাদিগের এক নহে। প্রকৃতিবাদ অভিধান অথবা শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রমোহস দাস কৃত বাঙ্গালী ভাষার অভিধান হইতে জানিতে পারা যায় যে, “যুনানী” শব্দটি lonian শব্দ হইতে উৎপন্ন এবং “যুনানী-মণ্ডলী"র অর্থ গ্রীসের পশ্চিমে অবস্থিত আইয়োনিয় দ্বীপ সাতটির সমষ্টি । অভিধান দেখিলেই টীকাকার “যুনানী”-শব্দ পাইতেন ; অথচ “অনন্তরে বিনা" সম্বন্ধে তিনি কোনো কথাই বলেন নাই । কিন্তু আমরা বুঝিতে পরিলাম ন৷ “অনন্তরে বিনা” এইটুকুর অর্থ কি ! ইহাতে কোন লিপিকর প্রমাদ আছে কি না দোপবীর জন্ত আমরা বসুমতী-কাৰ্য্যালয় ইষ্টতে লীউপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক ১৩১২সালে প্রকাশিত হেমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী দেখি। তাহাতেও অনন্তরে বিনা যুনানীমণ্ডলী আছে, কিন্তু ‘মহিমাছটাতে জগত উজলি’ ইহার পর আর-একটি পংক্তি আছে “সাগর ছে’চিয় মরুগিরি দলি”। এই পংক্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহে নাই । কিন্তু ইহার সাহায্যেও আমরা উদ্ধ ত স্থলটির অর্থ করিতে BBBB KS KBSBB BBBB BBBBB BBBS BBB BBBBB গ্রন্থাবলীর একখানি অপেক্ষাকৃত পুরাতন সংস্করণে দেখি যে, তাতাতে ‘অনন্তরে লিনা স্থলে অনন্তযৌবন আছে। যদি অনন্তযৌবন পাঠ হয়, তাহা হইলে বেশ অর্থ করা যায় । উল্লিখিত পুরাতন সংস্করণে প্রথম stanzaতে কোথা আমেরিকা’ স্তলে ’হৌথ আমেরিক আছে; এবং মধ্যস্থলে চেথার সহিত হেথা আমেরিকাই স্বসঙ্গত । উভয় স্থলেই ১৩১২ সালের বসুমতী-কাৰ্য্যালয়ের গ্রন্থাবলীর সঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্ৰহ-পুস্তকের পীঠ মিলিয়া যায় । ইহাতে আমাদের মনে হয় যে, বম্বমতী-কাৰ্য্যালয়ের উক্ত গ্রন্থাবলী দেখিয়াই বিশ্ববিদ্যালয় তদনুসারে কবিতাটি মুদ্রিত করিয়াছেন । কেবলমাত্র তৃতীয় stanzaতে, বসুমতী করিয়াছেন "সভ্য জাপান", তাঙ্গতে কবির উদেখা ক্ষুণ্ণ হয় দেখিয়া বোধ হয় বিশ্ববিদ্যালয় করিয়াছেন “নবীন জাপান” । কিন্তু আমাদের মনে হয় “নবীন জাপান” রাখিলেও কবির উদেশ্ব ক্ষুণ্ণ হয়। কবির “অসভ্য জাপান” রাখিয় বিশ্ববিদ্যালয়, পাছে কেছ আপত্তি করেন সেইজন্য, পাদটীকায় কিছু লিপিয়া দিলেই বোধ হয় ভাল করিতেন । বসুমতীর “সুসভ্য জাপান'কে বিশ্ববিদ্যালর “নবীন জাপান" করিয়াছেন দেখিয় মনে হয় না যে, বিশ্ববিদ্যালয় না দেখিয়াই বহুমতীর পাঠ অনুসারে কবিতা মুদ্রিত করিতে দিয়াছিলেন। সেইজন্য আমাদের মনে হয় যে,”হেtথ” স্থলে “কোথা” ও “অনস্তযৌবন!” স্থলে “অনন্তরে বিনা” বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ বিবেচনাপূর্বকই করিয়াছেন। যদি তাঁহাই হয় তাহ হইলে বিশ্ববিদ্যালয় কিজস্য এরূপ করিয়াছেন ও “অনন্তরে বিনা’র কি অর্থ হইবে তহি। কেহ আমাদিগকে জানাইলে স্বর্থী হইব। আর তাহ। যদি না হয়, তাহ হইলে বড়ই দুঃখের বিষয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কলিত পুস্তকে এরূপ ভুল থাকে। পরস্তু কবি যদি “হোথা”, “অনন্তযৌবনা” ও “অসভ্য" করিয়া থাকেন তাহ। হইলে তাহার পাঠ পরিবর্হিত করা যুক্তিসঙ্গত বলিয় মনে হয় না। 歌 শ্ৰী ললিতমোহন ইন্দ্র, কৃষ্ণনগর ( জেলা নদীয়া )