পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আছে । ইহা ষ্টিন্ন অনেকগুলি সাময়িক পত্রিকাও ছাত্রদের জন্ত পাঠাগারে 匈忆51 ছাত্রদের জন্য মহাবিদ্যালয়েব সংলগ্ন একটি ছোটে রাসায়নিক পরীক্ষণগার আছে। কুপের বিষয়, এই পরীক্ষাগারের কতকগুলি যন্ত মহাবিদ্যালয়ের কারূপানাতেই নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । শ্ৰীaাষ্ট্রীয় মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষাদান-প্ৰণালী একটু নুতন ধরণের। এখানকার কর্তৃপক্ষ ছাত্রগণকে স্বশিক্ষিত এবং কর্তব্যনিষ্ঠ দেশ-সেবক রূপে গড়িয়া তুলিবার জন্য সৰ্ব্বদা সচেষ্ট । বিগত ৪ বৎসরে মহাবিদ্যালয় হইতে ২৪ জন ছাত্র উপাধি-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন । ওঁtহার কৰ্ম্মজীবনেও এই জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছেন। অনেক উপাধিপ্রাপ্ত ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কংগ্রেসের কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিয়াছেন ; কেহ বা সংবাদপত্র সেবা করিতেছেন এবং কেহ কেহ মান স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া শিক্ষকত-কার্যো ব্ৰষ্ঠী হইয়াছেন । ছাত্রগণকে তাগ-মন্থে দীক্ষিত করিতে হইলে শিক্ষকগণকেও ত্যাগী হইতে হয়। রাষ্ট্রীয় মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-মণ্ডলীর অনেকেই ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিভাবী ছাত্র ছিলেন । ঠিহার। সকলেই অনেক ত্যাগ স্বীকার করিয়| সীমাহা বেতনে শিক্ষকতা করিয়েছেন। তাহীদের কয়েক জনেল নাম নিম্নে দিলাম — ১। শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্র প্রদাদ, এম্-এ, এম-এল অধ্যক্ষ ২। শ্ৰীযুক্ত রামতৈষ্ঠ সিংহ, এম-এস-সি, বি-এল ৩ । শ্ৰীযুক্ত বদীনাথ সহায়, এম -এ (বিহার কলেজে ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক) । ৪ । শ্ৰীযুক্ত রামদাস গৌড়, এম -এস-দি ( হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃ তপূর্ব অধ্যাপক ) ৫ । লীযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ সেন, এম-এ, প্রভৃতি। মন্ত্রীজের প্রসিদ্ধ অসহযোগ-কৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত রাজগোপালচারী গত ২০শে মার্চ বিদ্যাপীঠের উপাধি-বিতরণ-সভায় বলিয়াছেন, “জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতেছে অস্ত্রাগার। ঐখানে তাহারা অস্ত্রপাতি প্রস্তুত করিতেছেন এবং ঐসকল অস্ত্রপাতি দ্বারা তাঙ্গার যুদ্ধ চালাইবেন । এইসকল প্রতিষ্ঠানসমুহে ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাথিয় তাহাদিগকে শিক্ষা, দীক্ষা, সভ্যতা প্রভৃতির আলোচনা করিতে হইবে। ঐখানেই তঁহাদিগকে BDDB BBSBBB BBSBBBBB BBBK LgBSB BBBS BB শিক্ষার ফলেই উহার আত্মশক্তি লাভ করিতে পাfরবেন। “দাসত্বের প্রতি ঘৃণার উদ্রেকের জন্যই উচার এই বিদ্যাপীঠ স্থাপন করিয়াছেন । ভারতের প্রাচীন সভ্যতা হইতেই তঁ;হার প্রেরণা লাভ করিতেছেন। বিদ্যাপীঠ হইতে উত্তীর্ণ গ্রাজুয়েট্টগণ নিজের পীয়ে দাড়াইয়া যেন তন্তকেও দাড় করাইতে চেষ্ট করেন এবং চরকা সমিতি গঠনমূলক প্রণালীতে যেন তাহার কাজ করেন । ইহা করিতে পারিলেই ভারতের মুক্তিলাভ অবখ্যম্ভাবী।" কাশীধামে নারী-জাগরণ বেনারস দিটী হইতে শীঘূক্ত নিস্তারিণী দেবী সরস্বতী আমাদিগকে নিম্নলিখিত সংবাদটি পাঠাইয়াছেন – বাঙ্গালীর রমণীকুলের প্রাণের উচ্ছ,সি-প্রবাহ ক্ৰমে-ক্রমে উধাও হইয়া অবাধে পশ্চিমের শুষ্ক ভূমিকে প্লাবিত করিয়া কুলে কুলে স্নিগ্ধ করিতে আরম্ভ করিয়াছে। এই সুপবিত্র বারাণসী-ধামের বঙ্গীয় উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের নারীগণের হৃদয়ে দে উৎসাহ দেখা যাইতেছে, উহা যদি চিরস্থায়ী হয়, তবে একদিন আশাজনক ফলপ্রাপ্ত হওয়া যাইবে। কাশীধামে বহুবিধ হিন্দু রমণীর বাদ তন্মধ্যে বিধবার সংগাই সমধিক । অবশু ইহাদের মধ্যে কেহ উচ্চশিক্ষিত বা গ্রাজুয়েট নহেন, কিন্তু বলিতে আনন্দ হয় সীমান্ত শক্তি সংগ্ৰহ করিয়৷ ইহার এরূপ উচ্চ সদনুষ্ঠানে যোগ দিয়াছেন ৮ জমিদার শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন-বাবর পত্নী শ্ৰীমতী প্রতিরূপ দেবীর সংস্থাপিত একটি বিধবাশ্রম কয়েকটি বালবিধবা লইয়৷ সাধারণের সাহায্যে স্থাপিত হইয়াছে। ইহার পরিচালিকা শ্ৰীমতী বিমোদিনী দেবী। এখানে প্রায় ১২।১৩ জন অনাথ বিধবাকে গ্রাসাচ্ছাদন দিয়া প্রতিপালন ও শিক্ষা দেওয়৷ হইতেছে। বয়ন-কার্য স্বচশিল্প ও কিছু-কিছু লেপ-পড়া শেখানো হয় । ইহার পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান এবং সকল কাৰ্য্যকলাপ শিক্ষা প্রভৃতি স্থানীয় ভদ্রমহিলাগণ দ্বারা সম্পাদিত হয় । অtশ্রমে প্রতি রবিবারে একটি নারী-সম্মি লনী হইয় থাকে। সমবেত রমণীগণ আশ্রমস্ত বিধবাগণের শিক্ষা ও উন্নতিকল্পে আলোচনা করিয়া পাকেন । ইহ। বিহার বিদ্যাপীঠের ছাত্রণিবাস ছাড়া শ্ৰীমতী প্রমীল দেবী আয়ুৰ্ব্বেদ-শাস্ত্রীর নামে একটি বিধব-আশ্ৰম পরিচালিত হইতেছে । এই বিধব-আশ্রমের উদেষ্ঠ মহিলা-কবিরাজ প্রস্তুত কর । শ্ৰীযুক্ত অনাথবন্ধু গুহ মহাশয় দয়া করিয়া আশ্রম স্থাপনের জন্য একটি বাড়ী ও বাৎসরিক ১• • শত টাকা দান করিয়৷ সাহায্য করিতেছেন। কিন্তু দুঃপের বিষয় যদিও আশ্রমগুলি ক্ষুদ্রাকারে ংস্থাপিত তথাপি বিধবাগণে । ভরণপোষণ ও শিক্ষার ব্যয় সংকুলান যথেষ্টরূপ হয় না। ইংরাও প্রতিমাসে “পূৰ্ণিম মিলন”-নামে প্রষ্টিপূর্ণিমার সন্ধ্যায় স্থানীয় সকল ভদ্রমহিলাগণ মিলিত হইয়। সময়োপযোগী নানা বিষয়ে আলোচনা করিয়া থাকেন । বিগত ১১ই জ্যৈষ্ঠ রবিলারে স্থানীয় অ্যাসিস্টাণ্ট সার্জেনের স্ত্রী শ্ৰীমতী মনোরম দেবী “ববপণ-নিবারণ” সম্বন্ধে একটি বক্স ত দেন এবং রায় সাহেব এস, পি সান্তালের ভগ্নী গ্ৰনিস্তাণি দেবী অতি সদযুক্তিপূর্ণ আলোচনার দ্বারায় উক্ত বিষয়ের দেশকালপত্রানুসাবে অনুপযোগিতা প্রতিপন্ন করেন । যদিও এই সমাজ সংস্কারক বিষয় বহুবার আলোচিত হইয়াছে, তথাপি রমণীগণের অন্তঃকরণে এইপ্রকার অভাব-অভিযোগ জগন্ধক হওয়| কুলক্ষণ নিশ্চয় বলিতে হইবে । এতদ্ব্যতীত প্রবাসিনী রমণীগণের দ্বার নারী-সভা করিয় তাহারাও নিজেদের জাতীয় নানা কুপ্রথা ও কুসংস্কারের উচ্ছেদের চেষ্টা করিতেছেন এই উনবিংশ শতাব্দীতে ইহা আশ্চৰ্য্য কথা নহে কিন্তু মুবাতাস ও হলক্ষণ এই যে ইহার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়৷ এই প্রকার হিতানুষ্ঠানে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন। অতএব সকল ভদ্রমহিলাগণের নিকট সামুনরে নিবেদন