পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমূ শিবম্ সুন্দরমূ” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” জ্যৈষ্ট క్సN9<ంN9 ২য় সংখ্যা ১ম খণ্ড -- - - -------- - - - -- - জগদীশচন্দ্র বসুর পত্রাবলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লিখিত পত্র-পরিচয় এমন সময়ে জগদীশের সঙ্গে আমার প্রথম মিলন। শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠ তিনিও তখন চূড়ার উপর ওঠেন নি। পূৰ্ব্ব উদয়াচলের শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছায়ার দিকটা থেকেই ঢালু চড়াই পথে ধাত্রা করে তথন অল্প বয়স ছিল। সামনের জীবন ভোর বেলাকার মেঘের মত ; অস্পষ্ট কিন্তু নাম রঙে রঙীন । তখন মন রচনার আনন্দে পূর্ণ; আত্ম-প্রকাশের স্রোত নানা পাকে পকে আপনাতে আপনি বিস্মিত হয়ে চলেছিল ; তারের বাধ কোথাও ভাঙচে কোথাও গড়চে ; ধারা পোথায় গিয়ে মিশবে সেই সমাপ্তির চেহারা দূর থেকেও চোখে পড়েনি। নিজের ভাগ্যের সীমারেখ। তখনে৷ অনেকট অনিদিষ্ট আকারে ছিল বলেই নিত্য নূতন উদ্দীপনায় মন নিজের শক্তির নব নব পরীক্ষায় সৰ্ব্বদ, উৎসাহিত থাকৃত। তখনো নিজের পথ পাকা করে বাধ৷ ইনি ; সেইজন্তে চলা আর পথ বাধা এই দুই উদ্যোগের পণ্যসাচিতায় জীবন ছিল সদাই চঞ্চল। চলেছেন, কীৰ্ত্তি-স্বৰ্য্য আপন সহস্র কিরণ দিয়ে তার সফলতাকে দীপ্যমান করে ভোলে নি । তখনে অনেক বাধা, অনেক সংশয়। কিন্তু নিজের শক্তিস্ফুরণের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের যে আনন্দ সে যেন ধেীবনের প্রথম প্রেমের আনন্দের মতই আগুনে ভরা, বিস্ত্রের পীড়নে দুঃখের তাপে সেই আনন্দকে আরো নিবিড় করে তোলে। প্রবল সুখদুঃখের দেবাম্বরে মিলে অমৃতের জন্য যখন জগদীশের তরুণ শক্তিকে মন্থন করছিল সেই সময় আমি র্তার খুব কাছে এসেছি। বন্ধুত্বের পক্ষে এমন শুভ সময় আর হয় না। তার পরে যখন মধ্যাহ্নকাল আসে তখন বিপুল সংসার মাস্থ্যকে দাবী করে বসে। তখন কা’র কাছে কি আশা করা যেতে