পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rసి ఆ ঃপ লইয়। মিথ্য! হাসি কান্নার স্বষ্টি । তা হাতে না দরকার হয় চিন্তাশীলতার, ন লাগে গবেষণা । তরল, অত্যক্ষ ষ্টরল । স্বশা স্থও আজকাল উচ্চ সাহিত্য-সম্বন্ধে অমিতার সহিত রীতিমত আলোচনা করিতেছে । ‘মন্দিরে’ তাঙ্গাব প্রবন্ধ বাহির হইয়া গিয়াছে, সে এখন লেখক । ইহার পরে সশস্ত কি লিথিবেন সেই বিষয়-নিৰ্ব্বাচন লইয়া পরামর্শ চলিতেছে । সুশান্ত বলে, সিরিয়াস্ লিটারেচবের উপযোগী ক’রে, পাঠকের মন গ’ড়ে নিতে হয় । উপন্যাস বলুন আর কাব্যই বলুন, পাঠক ক্রমাগত চায় ব’লেই সে ক্রমাগত দিতেই হবে সে ঠিক নয়। এ বিষয় ইউরোপে বেশ– অমিতা বলিল, আমি এসম্বন্ধে কিছু লিথ ব মনে করেছি। ই, লিগ বেন ত নিশ্চয়ই । কিন্তু বললে অণরও ভাল হয় । ৪: সৰ্ব্বনাশ ! আমি কি আপনার মতে সভাতে বক্তৃতা করতে পারি ? —বক্ততা করিনি ত! প্রবন্ধ পড়েছিলাম। আপনি মিথ্য আশঙ্কা কবৃছেন । প্রবন্ধ লেগাই শক্ত, পড়া ত কঠিন নয় । 發 發 毒 অমিতা দেখিল সত্যই প্রবন্ধ পড়া কঠিন নয়। তরুণ ছাত্রদের ছোট সভাটিতে প্রথম যেদিন সে সাহিত্য-প্রবন্ধ পাঠ করে সেদিন অবতা উত্তেজনায় আশঙ্কায় বুক দুরু দুরু করিয়া কঁপিয়া কঁাপিয়া উঠিয়াছিল, সঙ্কোচে কণ্ঠ থাকিয় থাকিয়া বাধিয়া বাধিয়া গ্লিয়াছিল । এখন সে কথা মনে পড়িলে হাসি আসে । সভা-সমিতি লাগিয়াই আছে । প্রবন্ধ-পাঠ ত দূরের কথা, প্রয়োজন হইলে নিতান্ত অপ্রস্বত অবস্থাতেও উপস্থিত-মতো ঘণ্টাপানেক বলিয়া যাইতেও এখন ঠেকে না। ’ স্বশাস্ত কাজের লোক –যাহা প্রয়োজন বলিয়া বুঝে তাহা না করাইয়। ছাড়ে না। শিশিরের সঙ্গেও কতদিন এই সকল করণীয় বিষয় লইয়া অমিতার আলোচনা হইয়াছে কিন্তু সেইজি'চেয়ারে পড়িয়া সাহিত্য-সংস্কার,সমাজ-সংস্কার, রাজনীতি সমস্ত চুকাইয় দেয়। অলস নিতান্ত অলস। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড । আলাদিনের প্রদীপের মতো একটা প্রদীপ হাতে পাইলে তবেই শিশির কাজ করিতে পারে । তাহার অভাবে কবিতাতেই দু থের শ্রী বহাইয়া সন্তুষ্ট । অথচ স্বশাস্তবাবুর সঙ্গে কদিনেরই বা আলাপ ! তা ছাড়া পূৰ্ব্বে ঠিক তিনি সাহিত্যসেবীও ছিলেন না। কিন্তু যে মুহূৰ্বে এদিকে দৃষ্টি পড়িয়াছে অম্নি অমিতাকে দিয়া লিখাইয়া বক্ততা করাইয়া তন্দ্রালস সাহিত্যের ঝিম্ ভাঙ্গিয় তাহাকে আপন কল্যাণ সম্বন্ধে সচেতন করিয়া তুলিয়াছেন । এখন বিভিন্ন মতের সাহিত্যরথীদের মুখে ও কলমে সাহিত্যের অবয়ব লইয়া থই ফুটিতেছে । সুশাস্তর মত, সাহিত্যে ও সমাজে অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ । একটিকে বাদ দিয়া অন্যটির পুষ্টিসাধন অসম্ভব । সুতরাং সমাজের দিকে ও অপষ্ঠিত হওয়া দরকার। অমিতাও তাহা স্বীকার করে । সুশান্ত বলিল, আমি জাতিভেদ কুসংস্কার ইত্যাদির দিকে যথাশক্তি করতে পারি। কিন্তু মেয়েদের মঙ্গল আপনি যেমন বুঝবেন অন্যে ত তা পারবে না। গীশিক্ষা স্বাধীনত ইত্যাদিও আপনাকেই হাতে নিতে হয় ? অস্বীকার করা চলে কেমন করিয়া ? কাজেই, সাহিত্যের অঙ্গসৌষ্ঠবের জন্য সেগুলিও হাতে লইতে হইল । তাই লইয়া দুটো একটা মিটিং-বৈঠক করিতে নী করিতে মায়ের পিছনে পিছনে ছেলের মতো স্ত্রীশিক্ষা, স্ত্রীস্বাধীনতার আঁচল ধরিয়া শিশুরক্ষা, শিশুমঙ্গল ইত্যাদি আসিয়া হাজির । বিব্রত হইয়া অমিত স্থশাস্তকে বলিল, এত কাজ কি আমরা পেরে উঠব ? স্বশাস্ত বললে, কেন পারবেন না ? নিজের শক্তির উপর বিশ্বাস করতে পারাই সব চাইতে পারা । সেইটে যদি পারেন দেখবেন আর কোথায়ও আঠুকাবে না । কাজ বাড়িয়াই চলিয়াছে। একটির পর একটি যেন স্তরে স্তরে সজ্জিত হইয় পাহাড় পরিমাণ হইয়া উঠিতেছে । অমিত আশা করে, শিশির সাহায্য করিয়া একটু ভার লাঘব করে । কিন্তু সে যেন ক্রমেই সরিয়া ঘাইতেছে । প্রত্যহ পুঞ্জীভূত কৰ্ম্মসমূহের আড়ালে সে যেন একটুএকটু করিয়ু দৃষ্টির বাহিরে চলিয়া যাইতেছে। সারাদিন কত কি করিয়া এক প্রহর রাত্রির সময়ে ক্লাস্ত অবসন্ন