পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] নব তীর্থঙ্কর ۹ون (e তোমাদের প্রতিদিন পূর্ণ কেীকৃ, হৃদয় প্রশাস্ত হোক, চরিত্র উন্নত হোক্—এর আনলে আমরা সকলে শক্তিলাভ করব। আমাদের সব যে আজ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন তার মানে জীবনে আনন্দ কমে গেছে। দুঃখের দিন একলা বহ বড় কঠিন, পরস্পরের সম্মিলনে-সহায়তায় যা বড় কঠিন তাও সহজ হয়, আনন্সের হয় । সত্য আপনাকে আপনি রক্ষা করে, বিস্তার করে। অল্প কয়েক দিন আগে একাজের পত্তন ; দেখ এরই মধ্যে পরমুখাপেক্ষী ছিল যার, যত অল্পই হোক তারা কোমর বেঁধেছে, নিজের কাজ নিজে করবার চেষ্টা করছে, নিজের বোঝা নিজে তুলে নিচ্ছে। ভিতর থেকে আনন্দ না পেলে একি হ'তে পারত ? ছেলেদের কাছে এ সব কাজ তে উৎসব। আনন্দ জাগুক্, প্রাণ থেকে প্রাণে, এক জেলা থেকে আর-এক জেলায় এ ছড়িয়ে যাবে । ছেলেরা এই যে নিজেদের গ্রামকে বঁচবার চেষ্টা করছে, এই চেষ্টা দ্বারাই তারা দেশকে পাবে। বড় হ’য়ে এর দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। এর অনুভব করেছে, দেশ এদের দিকে তাকিয়ে আছে। গ্রাম বললে ছোট কিছু বলা হয় না। পল্লীকে এতদিন আমরা সামান্ত মনে করে ব্যর্থ হচ্ছিলুম। পল্লীর গৌরব সমস্ত দেশের গৌরবকে প্রকাশ করবে এইটাই আমার অনেক দিনের কামনা ছিল। যাবার পূৰ্ব্বে এইটিকে যে আমি দেখে গেলুম—শক্তির উদ্বোধন হয়েছে, পুণ্য কর্মের প্রতিষ্ঠা করেছ তোমরা— এ যে দেখতে পেলুম, এর বিকাশ যে আমি দেখতে পাচ্ছি, এ আমার পরম আনন্দের বিষয়। যার একে কাজে পরিণত করবার ভার নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে অস্তরের সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের মত আমি তাদের কাছে থেকে বিদায় পিচ্ছি। টাইপরাইটারে ছবি আঁক।-- শ্ৰী গোপীনাথ ঘোষ কলিকাতার একটা অপিন্সে টাইপিষ্টের কাজ করেন। তিনি ঐ কলের সাহায্যে শুধু লেখা ছাপিয়াই ক্ষাস্ত হন নাই । টাইপরাইটারের সাহায্যে তিনি বেশ সুনার সুনার ছবি আঁকিয়াছেন । আমরা তঁহার টাইপরাইটারের সাহায্যে-তীক একটি পার্থীর বাসার ছবি দিলাম। কঁহার এই প্রচেষ্টা প্রশংসার যোগ্য । (2) নব তীর্থঙ্কর ( বীর যুবক যতীন্দ্রনাথ স্বর ও চলাকাস্ত দেবের অপূৰ্ব্ব আয়োৎসর্গ উপলক্ষ্যে ) শ্ৰী মোহিতলাল মজুমদার ( > ) মরণ দিতেছে হান অঙ্গুদিন দুয়ার-দুয়ারে— আমরা নয়ন মুদি’ ভয়ে তারে দিই না যে সাড়া, জীর্ণ কন্থা দিয়ে ঢাকি কম্পমান প্রাণপক্ষীটারে— পঞ্জর-পিয়র টুটি কখন সে হয় দেহ-ছাড়া ! জানি এই পূতিপক্ষ-অন্ধকূপ হ’তে বাহিরিয়া দাড়ীতে শকতি নাই তরীহীন তমসার পারে— যেথায় মিলিছে আসি’ দলে-দলে মর-দেবতারা, উয়ার উষ্ণীষ মাথে, লোকালোক-গিরিরে ঘিরিয়া ! ( २ ) - প্রাণ নাই, ভাণ আছে—জন্ম মৃত্যু দু’-ই বিড়ম্বনা, মরণ যে হত্যা শুধু, বেঁচে-থাকা বিধাতার গ্রানি ! শাস্ত্র আছে—শিখিয়াছি ভালোমতে করিতে বঞ্চন মাহুষের মনুষ্যত্ব, স্বাৰ্থত্যাগে অতি সাবধানী। 6 -اس-8۹ দিবসে তারকা খুজি দীপ্ত রবিরশ্মি পরিহরি’ ! ধৰ্ম্ম জানে পুরোহিত—মোরা জানি তাহারি অর্চনা, ভুলেছি ওঙ্কার-নাদ—আত্মার সে আদি ব্ৰহ্মবাণী, মুক্ত নাই শুক্তি আছে, মুক্তি নয়—মন্ত্র জপ করি ! ( ס\ ) হে সুপর্ণ ! হে গরুড় । কোথা হ’তে স্বধা সঞ্জীবনী হরিয়া করিলে পান মৃত্যুবিষ-মথন পাথরে ? আমরা শুনেছি শুধু আধাতের আশু বজ্রধ্বনি,— আহুতির হোমশিখা হেরি নাই নিকষ-আঁধারে ! কোন শাস্ত্র শিথাইল অবহেলে আত্ম-বলিদান ?— মোক্ষ সে কি?—স্বৰ্গ-লাভ?-বলে’দাও ওগে বীর-মণি! ধৰ্ম্ম-ধ্বজ নরপশু হঠে যাক কাতারে-কাতারে, পুথি আর পৈতা-পূজা চিরতরে হোক অবসান।