পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓՀԵ এড়ি ওয়ার্ড -- ১১ iৎসর বয়সে রুষিয়ার রাজকন্যা আনাস্টাসিয়া— রশিয়ার সমাট "জয়"-দিগের অমীমুষিক ও নিদারণ অত্যাচার রুবিয়ার ইতিহাস কলঙ্কিত করিয়াছে। এই অত্যাচারের ফলে নিহিলিBB DDS gD BBBS SS mGS g kBB DBBS BBBB g নিfহলিষ্ট স্ত্রে লড়াই চলিতে থাকে। এই সময়ে কত গুপ্ত হত্য যে সাধিত হইয়াছে, কত নিরীহ মহাপ্রাণ সাইবিরিয়ার নির্বাসনে প্রাণ হারাইয়াছেন তাহার ইয়ত্ত নই। টুর্গেনিভ, ডক্টয়েভস্কি, টলষ্টয় প্রভৃতির লেখার ছত্ৰে ছত্রে এই অমামুষিক অত্যাচারের কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে । বিগত মহাযুদ্ধের শেষ দিকে নিহিলিষ্ট দল বৰ্ত্তমানের 'রেড"আন্দোলনের প্রবর্তন করিয়া সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়িয়া অশাস্তির মহামারী ছড়াইতে থাকে। অত্যাচারিত প্রজীবৃন্দ দলে দলে "রেড দলে নাম লিখাইয়। রাজতন্ত্রের বিরদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করে ; বস্তুতঃ কৃষিয়ার বুনিয়াদ প্রবাসী – আষাঢ়, ১৩৩৩ [ २७* छांभ, »म थe গণ ছাড়া প্রত্যেকেই সম্রাটের অত্যাচারের প্রতীকীর করিতে বদ্ধপরিকর হয় । তারপর ১৯১৮ সালের প্রীরস্ত হইতে রবিয়ার সহরে সহরে পথে ঘাটে যে লোমহর্ষক শোণিততর্পণ চলিতে থাকে তাহ ভাবিলেও হৃদকম্প হয়। সন্মিলিত 'রেড শক্তি লেলিন ও টুটুস্কির নেতৃত্বাধীনে রাজতন্ত্রকে ভূমিসাৎ করিয়া দেয় । সম্রাটু, সাম্রাজী, সম্রাট-বংশ সম্রাটের সহিত রক্ত-সম্বন্ধযুক্ত প্রত্যেক লোক ও রাজতন্ত্রাভিলাষী বুনিয়াদ সম্প্রদায়কে নৃশংসভাবে হত্য করা হয় । সমস্ত রেড আন্দোলন এই শোণিত-ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমতঃ পেট্রোগ্রাদৃ হইতে সম্রাট ংশকে নির্বাসিত করা হয় । তারপর ১৯১৮ সালের ১৭ জুলাই তারিখে একতারিনবুর্গে নির্বাসিত জারবংশের প্রত্যেককে, পুরুষ, স্বী, যুদ্ধ-শিশু নির্বিশেষে হত্য করা হয়। ইতিহাসের এই পৃষ্ঠ মানবপাশবিকতার দ্বার। কলঙ্কিত পৃষ্ঠ । এতাবৎকাল সকলেরই ধারণ ছিল যে, জারবংশের আর কেহই জীবিত নাই । সোভিয়েট রুষিয় সকল কাটারই উচ্ছেদ সাধন করিয়াছে । কিন্তু সম্প্রতি বার্লিনের এক স্বাস্ত্যাগারের এক রোগিণী নিজেকে জরকন্ত। আনাস্টাসিয়া বলিয় পরিচয় দিয়াছে। ইহাতে ইউরোপের সমস্ত রাজকুল আন্দোলিত হইয়াছে। রাজবংশীয় স্বীপুরুষ বিখ্যাত রাজপরুষগণ দলে দলে বার্লিনে উপস্থিত হইয়৷ এবিষয়ে অনুসন্ধান করিতেছেন। ইহাদের অধিকাংশই এই হতভাগ্য নারীকে সগোত্র বলিয়। বরণ করিয়া লক্টতে দ্বিধ করিতেছেন না ; আবীর দুই একজন ইহাকে ক্রুয়াচোর বলিতেও কুষ্ঠিত নহেন । তবে বিচারে নানা পরীক্ষার পর দুই একজনের বিরুদ্ধ মত সত্ত্বেও সকলেই বিশ্বাস করিতেছেন যে, এই রোগিণীই ভারের চতুর্থ ও কনিষ্ঠ কষ্ঠ আনাস্টাসিয়া । এই মেয়েটির সর্ববঙ্গে গুলি ও সঙ্গীনের আঘতচিহ্ন বৰ্ত্তমান । ইহার আটটি খুঁত ভাঙ্গিয় দেওয়া হইয়াছে ; পুর্ব সৌন্দয্যের আর কিছুই রাজকন্ত আনাস্টাসিয়া