পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬২ কেবল অতীতের গৌরবে অন্ধ হইয়া আছেন । বৰ্ত্তমান কালে আমাদের যত অধোগমস ইউক না কেন, আমরা অতীতকালের কথা স্মরণ করিয়া উৎফুল্ল থাকিব । সেন্স কথা স্মরণ করিতে আমাদের কি অধিকার ? এই নৈরাশ্যের মধ্যে তোমার কথা শুনিয়| গশ্বিস্ত হইলাম । মোর কল্পনাতী –কি তাহার কাজ—কোন পথ তার পথ ? বন্ধু, তুমি এই বিশ্বাস চিরকাল প্রচার কল্পিও। আমরা জানি না, আমরা কোন ফলের আশা করি না, তবু ধেন আমাদের কার্য্য করিবার শক্তি নিৰ্ম্মল না হয়।. কোনদিনে কোনকালে আর কেহ দেখিবে । বিশ বৎসর পরে আমরা কেহ রহিব না, কিন্তু আমাদের আশfর উচ্ছ্বাস যেন চিরজীবন্ত থাকে। তোমার নিকট পরামর্শ চাই । অন্ততঃ আরও ৫ বৎসর এখানে থাকিতে পারিলে এই কাৰ্য্য কোনরূপে সমাধা হইতে পারে, দেশে ফিরিলে ( যতদূর বুঝিতে পারিতেছি ) সব কার্য্যের বিরাম । এদেশে আর কিছুকাল থাকিব কি ? আরও ইচ্ছা হয় যে জামেণী ফ্রান্স, আমেরিক ইত্যাদি দেশে এবিষয় প্রচার করি। কি মনে কর ? ছবি পাঠাইয়াছ, বড় স্বথী হইয়াছি । আমার অনেক কালের রুদ্ধ স্নেহ তোমার কন্যার মুখ দেখিয়া জাগিয়া উঠিয়াছে। তুমি যে দান করিবে বলিয়াছিলে, সে-কথা ভুলিও না । তোমাব সহধৰ্ম্মিণকে আমার সম্ভাষণ জানাইও । তোমার জগদীশ । ( २१ ) লণ্ডন । ১৭ই মে, ১৯০১ । বন্ধু, তুমি আমার সংবাদ জানিবার জন্য ব্যস্ত আছ। বক্তৃতার আগের দিন বৃহস্পতিবার পর্য্যন্ত কি বলিব স্থির করিতে পারি নাই। এক ঘণ্টার মধ্যে Physiology, Physics, q<* Chemistrya %$* C*R \xi*>ii rêve; আরম্ভ করিয়া এই নূতন বিষয় কি করিয়া বুঝাইব ? প্রবাসী— শ্রাবণ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আর Experiment গুলিও অতি কঠিন। কতকগুলি কল শেষ দিন মাত্র প্রস্তুত হইল । তার পর একটি ঘটনা হইল, সে-কথা স্মরণ করিলে আমার এখন ৪ রোমাঞ্চ হয় । আমি বৃহস্পতিবার দিন দুপ্রহরের সময় একেবারে নিরুদ্যম হইয়া শয়ন করিয়াছিলাম ; আমার কি এক গভীর কষ্টে বুক ফাটিতেছিল; তোমাদের এত দিনের আশা কেবল আমার শারীরিক দুৰ্ব্বলতার জন্য নিৰ্ম্মল হইবে একথা মনে করিয়া যে কি গভীর ঘাত না পাইয়াছিলাম, তাহা বলিতে পারি না । এমন সময় এক আশ্চর্য্য unscientific ঘটনা ঘটিল। হঠাৎ ছায়াময়ী মূৰ্ত্তি দেখিলাম, বিধবার বেশধারিণী, কেবল এক পাশ্বের মুখ দেখিতে পাইলাম। সেই অতি শীর্ণ, অতি দুঃখিনীর ছায়া বলিল, ‘বরণ করিতে আসিয়াছি’। তারপর মুহূর্তের মধ্যে সব মিলাইয়। গেল । জানি না, কেন এরূপ হইল । কিন্তু সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে আমার সব মন্ত্রণা দূর হইল। কি হইবে আর কিছুমাত্র ভাবি নাই । কি বলিব তাহাও আর ভাবিলাম না। তার পর দিন যখন শ্রোতুমণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত হইলাম তখন কিয়ৎক্ষণ মাত্র অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবে অভিভূত হইয়াছিলাম, তারপর যেন সমস্ত অন্ধকার কাটিয় গেল, কে আমার মুখ দিয়া কথা বলাইল, জানি না ; যাহা পূর্বে ভাবি নাই তাহা মুহূৰ্বে পরিস্ফুট হইল । Electrician পাঠাই, কতক সংবাদ তাহাতে পাইবে । হিন্দুর স্বহ্মবুদ্ধি একবার patronising রূপে পূৰ্ব্বে শুনিয়াছি, আমি আমার সেই জাতীয় গুণের জন্য আজি অহঙ্কার করিব। কারণ, সেই পূৰ্ব্বপুরুষদের গুণে বঞ্চিত হইলে আমি এত তমসাচ্ছন্ন প্রহেলিকা ভেদ করিতে পারিতাম না। আমি অনেক সময়ে একেবারে আশ্চর্য্যে অভিভূত হইয়াছি, কে আমাকে যেন এক রহস্য হইতে অন্য রহস্যের দ্বার উদঘাটন করিয়া সত্য দেখাইতেছে! তবে হিন্দুর practical বুদ্ধি নাই, তাহার উত্তর ও Electricianএ দেখিবে । আমার বক্তৃতার কিয়ৎক্ষণ পূৰ্ব্বে একজন অতি বিখ্যাত টেলিগ্রাফ কোম্পানির ক্রোড়পতি proprietor টেলিগ্রাফ করিয়া পাঠাইলেন, দেখা করিবার বিশেষ