পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8εί πS&Τ Ί আমাদের চরকা আবিষ্কার 8Dو\وا\ কাংশ অবশ্যই কাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত ছিল, আর তাহার নিৰ্ম্মাতা ছিল গ্রাম্য মিস্ত্রীগণই, এরূপ অম্বুমান করাও অসঙ্গত হইবে গ্রামের জন্য মিস্ত্রীদ্বারা মেরামত করা সম্ভব না হইলে, তাহা কাৰ্য্যকরী হইবে না। এই মেরামত করার অভাবে যাহারাই কোনও কল-কব্জার আড়ম্বরবহুল কোনও যন্ত্র গ্রামে লইয়াছেন, প্রায়ই র্তাহার মেরামত করিবার সময়ে অত্যন্ত অসুবিধায় পড়িয়াছেন । আমাদের দেশে কয়েকটা ধান-ভানা কলের কারবার এইজন্যই টিকিল না । কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূঙ্গের অন্ততঃ এক চতুর্থাংশ বা ততোধিক নলকুপ মেরামত অভাবে পড়িয়া আছে । তাই বলিতেছিলাম, ইরিগ্রিবস মহাশয়ের চিস্তার ধারা তত্ত্বতঃ অবগত হইতে হইবে । তিনি যে-ভাবে যে-উপাদানে চরকাটি তৈয়ার করিয়াছিলেন, এবং পিঞ্চন-যন্ত্রও সে-ভাবে প্রস্তুত হইয়াছিল তাহার পুনরুদ্ধার করিতে পারিলেই আমাদের আবিষ্কার-প্রবেষ্ট সার্থকতা লাভ করিবে । ১৭৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে ১৭৭২ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে হাবৃগ্রিবাস মহাশয় একাধিক ষ্টেকোবিশিষ্ট চরক আবিষ্কার করেন ; ক্রম্পটন মহাশয় জলশক্তি দ্বার যন্ত্র ৮ লাইবার ব্যবস্থা আর অর্করিট মহাশয় পূৰ্ব্বোক্ত দুই মনীষীর যন্থ একত্র করিয়া জলস্রোত-শক্তি-চালিত চরকার উদ্ভাবন করেন। তাছাদের পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডে টানার স্থত। (warp) প্রস্তুত করিতে পরিত না । কিন্তু যাই তাহার এই চরক আবিষ্কার করেন, অমনি খরস্রোতে বিলাতে বস্ত্র-শিল্পের উন্নতি *ইতে লাগিল । ইহার পূৰ্ব্বে একখানি কাপড়ের স্থত। কাটিতে অনেক লোককে খাটিতে হইত, কিন্তু এখন বহুল পরিমাণ স্বত্র উৎপন্ন হওয়ায় আর Kay সাহেব ঠক্ঠকি তাত উদ্ভাবন করায়, ইংলণ্ড বস্ত্রশিল্পে পুথিবীর প্রথম স্থান অধিকার করিল। আমরা জানি, ইংলণ্ড কি ভয়ানক অত্যাচার করিয়া আমাদের বস্ত্রশিল্প নষ্ট করিয়াছিল, কিন্তু আমরা একটা কথা ভাবি না, তাহারা বস্ত্রশিল্প নষ্ট করিয়া, আমাদিগকে উলঙ্গ রাখিয়া দেয় নাই ; বাংঙ্গালার মত ক্ষুদ্র দেশ ইংলণ্ডে এত কাপড় উৎপন্ন হইতে লাগিল, যে ইংলণ্ড अl | করেন ; সমস্ত ভারতবর্ষকে কাপড় পরাইলে পূৰ্ব্বোক্ত মনীষীগণের কাছে ইংলণ্ড চিরকাল ঋণী থাকিবে । বলা বাহুল্য আমি এতদ্বারা আমাদের দেশের বস্ত্রশিল্পের প্রতি ইংরেজ বনিকগণের অত্যাচার সমর্থন করিতেছি না । এই আবিষ্কার-সম্পর্কে কংগ্রেসের একটি কৰ্ত্তব্য কাজ ছিল ; কিন্তু কংগ্রেস আজ পর্য্যন্তও এসম্বন্ধে উদাসীন আছে । অথচ চরকার উন্নতি হউক, ইহা সকল নেতাই ইচ্ছা করিয়াছিলেন, এমনকি মহাত্মা গান্ধীও গত বরিশাল কনফারেন্সে দুই সৰ্ত্তে যোগদান করিবার প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে চরকা-প্রদর্শনী অন্যতম। চরকার সামান্ত সূত্র উৎপাদনে সকলেই যেন একটু অনাস্থার ভাব পোষণ করিতেন –এবং তজ্জন্ত ইহার যান্ত্রিক উন্নতির কামনা করিতেন । কিন্তু প্রদর্শনীতে পুরস্কার দেওয়া, সার্টিফিকেটু দেওয়া ছাড় তাহাদিগের আবিষ্কারকগণ র্তাহাদের হাতে আর কি উৎসাহ পাইয়াছেন ? যথন চরকাকে এত প্রাধান্যই দেওয়া হইল, তখন ষ্টতার আবিষ্কার জন্য অন্ততঃ একলক্ষ টাকা ব্যয় করাও কি কংগ্রেসের উচিত ছিল না ? বৰ্ত্তমান অসহযোগ আন্দোলনে এ-জাতীয় চেষ্টা ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে করিয়াছেন । তাহারা উৎসাহ না পাঠয়। এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিকগণের চিন্তার সাহায্যটুকু ইষ্টতেও বঞ্চিত হইয় গুলি ছাড়িয়া দিয়াছেন। ই তা বড়ষ্ট পরিতাপের বিষয় । সজ্ঞাবদ্ধ চেষ্টার প্রয়োজন । মধ্যভাগে আবিষ্কৃত হইয়াছিল,আমরা ঠিক সেই হাবৃগিবস মহাশরের চরকাই চাহিতেছি । সে চরকার অধিকাংশ অংশ কাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত ছিল,এবং গ্রাম্য মিস্থাগণই তাহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল । আমরা সেই যান্ত্রিক সরলতা আর চরকার ততটুকু উংপান-ক্ষমতা চাই । যদি কেহ বলেন, চরকাআবিষ্কারের প্রয়োজন নাই, কেননা অনেক টেকে-বিশিষ্ট চরকা ত সকল কাপড়ের কলেই চলিতেছে তাহা হইলে তিনি ভুল করেন । আজ যদি বহু অশ্বশক্তি (Horse Power) চালিত মিলগুলির অপকারিতা বুঝিয়া - ইংলণ্ডের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ চরক আন্দোলন করেন, তবে আমি তাহাদিগকে ঐ হার গ্রীব স্ মহাশয়ের চরক। ধরিতে এবং যাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর