পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখা-টিকৃটিকি প্রবাদ আছে—“আবৃশোল আবার পাপী, খই আবার জলপান!” কিন্তু তাই বলিয়া আবৃশোল উড়িতে ছাড়ে না । মাঝে মাঝে অন্ধকার ঘরে ইহার এত উড়ে যে, মনে হয়, ইহার বুঝি পুথিবী জয় করিয়া ফেলিবে । মালয় ও ফিলিপাইন দ্বীপে একরকম উড়ন্ত টিকটিকি আছে । ইহারা লম্বীয় কয়েক ইঞ্চি মাত্র । ইহাদের গায়ের রং অত্যস্থ স্বন্দর। ইঙ্গদের দেহের দুই পাশে খানিকটা করিয়া চামড়া আছে। ইচ্ছ করিলেই তাহার পার্থী-টিকটিকি ইহা বাড়াইয় প্রজাপতির পাখার মতন করে। এবং এই পাখার সাহায্যে ইহার গাছের এক ডাল হইতে অন্ত ডালে বা এক গাছ হইতে অন্ত গাছে উড়িয়া যায় । খুব বেশী দূর ইহারা উড়িতে পারে না। ইহাদের পাখ বেলুনের প্যারাশুটের মতও দেখায়। এই পাথার সমস্তটাই যে চামড়ার তাহা নয়, তাহার ভিতরে ভিতরে সরু সরু পাজরের তাড আছে । মাথা হইতে ল্যাজ অবধি মাপিলে ইহার আট ইঞ্চি । ইহাদের পাথর বিচিত্র রং দেখিলে মুগ্ধ হইতে হয় । ইহাদের গলায় মাংসের থলি আছে। উত্তেজনার কারণ ঘটিলে সেই থলি ইহারা ফুলাইয়া থাকে । পুরুষ-টিকটিকির এই থলির রং কমলা-লেবুর রংএর মত, স্ত্রীটিকটিকির থলি নীল । ইহারা গাছে বাস করে । ইহার কাহারও অনিষ্ট করে না । 한 গ্রান্‌-ল্যাণ্ডের পালোয়ান আমাদের দেশের অনেক পালোয়ানই খুব ভারী পাথর বুকের উপর রাখিয়া অপরকে দিয়া হাতুড়ী দ্বারা তাহা ভাঙাইয়াছেন । সম্প্রতি গ্রীনল্যাণ্ডের এইরূপ একটি পালোয়ানের সংবাদ পাওয়া গিয়াছে । তিনি বুকের উপর প্রায় দশ মণ ওজনের প্রকাও পাথর বসাইয়া অপরকে দিয়া তাহা ভাঙাইতেছেন ।