পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(বাদিক থেকে ) কাউন্ট জনদ্বি-মাদের, মেজর যশোবন্ত সিং, মেজর ই, জি, এ্যাটকিনসন, এবং কর্ণেল যোগেন্দ্র সিং বলতে আমি বলছি কুস্তি, ঘুযোধুষি, জিম্নাষ্টিক, যুযুৎস্থ, ভার-ভোলা, পেশী-সংযম, ইত্যাদি ! এর ভেতর অসিখেলা ধরাও বোধহয় উচিত। অসিখেলায় শরীরের ক্ষিপ্রতা ও তীক্ষ দৃষ্টি দরকার। বেশি বলের এতে প্রয়োজন হয় বলে’ মনে হয় না । জীবনের প্রতিদিনের সংগ্রামে মাথা ঠাণ্ডা রাখার অত্যন্ত প্রয়োজন। ঘুষোঘুষিতে এই গুণটির একান্ত দরকার। পশুবলকে শিক্ষিত মনের অধীনে এমন ভাবে কাজে লাগাতে হবে—যাতে ওজন, শক্তি বা বেগের যৎসামান্য শ্রেষ্ঠতা দ্বারাও জয়লাভ হ’তে পারে। আনাড়ি লড় নেওয়ালার এলোপাথাড়ি মার বেমালুম কাটাতে হবে। কিন্তু ঘুষি-খেলার একটা মহৎ দিক আছে। ঘুষিংেলায় শুধু খেলার জন্যে যে নিঃস্বার্থ প্রতি ও নিরপেক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় তা বাস্তবিকই স্বন্দর। মুষ্টি-যোদ্ধাকে মাথা খাটিয়ে লড়তে হয়। কুস্তি ও যুযুৎস্বতে মুষ্টিযুদ্ধের মত উদ্দেপ্তসাধনের জন্ত, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে শক্তি প্রয়োগ করার কৌশল শিখতে হয়। এ সকলেরই লক্ষ্য পেশী-সংযম, ক্ষিপ্রতা ও পেশীসমুহের উপর মস্তিষ্কের অধিকার । সাইকেলের খেল বৰ্ত্তমান যুগের অলস-জীবনে অভ্যস্ত মামুষের পক্ষে শক্তি, সংগ্রহ করা কঠিন। জিমনাষ্টিকে যন্ত্রপাতি বা কসরতের সাহায্যে সেই শক্তি অর্জনের স্ববিধা হয়। কি পুরুষ কি নারী—উপকার এতে সকলেরই হয়। ভার তুললে বিশেষ-বিশেষ পেশীতে অসাধারণ শক্তি সংগ্রহ করা যায় । এ কাজটি কিন্তু সাধারণ মামুষের উপযোগী নয় । ছবিতে যেমন কসরৎ দেখানে। গেল সেইরকম কসরতে ছেলেবেলা থেকে যাদের স্বাভাবিক শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়, তাদেরই এ পথে যাওয়া উচিত । কস্রং ইত্যাদি দেখালে সাধারণের মনে অতি সহজে শারীরিক উৎকর্ষসাধনের ইচ্ছা জাগিয়ে তোলা যায়। কিশোর মনকে এত সহজে আর-কিছুতে মাতিয়ে তুলতে পারে না । ছেলেবেলা সার্কাসের থেলোয়াড়দের মনে-মনে তারিফ করার দরুণ বড় হ’য়ে চমৎকার স্বাস্থ্য, চেষ্ট করে’ লাভ করেছে, এমন ঢের দৃষ্টান্ত জানা আছে। কিন্তু শরীরের সাধনায় কসরৎই জাতির আদর্শ হ’তে পারে নু ।