পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te প্রবাসী ১৩৪৪ 歌 অনাথ চুপ করিয়া রহিল। সেকেণ্ড মাষ্টার চারি দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া পিছনের বেঞ্চে ভবেশের দিকে অঙ্গুলি । নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “তুমি, কবি ?” ভবেশ কবিতা লেখে বলিয় একটু বিশেষ ভাবে সেকেও মাষ্টারের লক্ষ্যস্থল। বলিল, “আঞ্জে, সপ্তদশ শতক !” “ত ত হবেই ; ১৭৫৭ সত্তর শতাব্দী না হয়ে যায় কোথায় ?...আবার সপ্তদশ শতক –ভাষার জলুশ দেখ না ! তুমি যে এর মধ্যে 'শতদল’ কি ‘কিশলয়' এনে ফেল নি এই আমার বাবার ভাগি তুমি, শৈলেন ?" বলিলাম, “অষ্টাদশ শতাব্দী স্যার ।” "কেন বলতে পার ?—এদিকে ত শতাব্দী হ’ল কি ক'রে ?" রহস্তটা জানা ছিল না, চুপ করিয়া রহিলাম। , “তোমরা বাপু এসেছ মহাকাব্য পলাশীর যুদ্ধ পড়তে, অথচ এদিকে ১৭৫৭ কোন সেনচুরি হ’ল জান না ; যদিই বা জান,এক আধজন তো কি ক'রে হ’ল বলতে পাের না । তোমরা কাব্যটার কি ছাই রস গ্রহণ করবে শুনি ?” আমরা লজ্জায় সকলে অধোবদন হইয়া রছিলাম ; অনেকে লজ্জায়, অনেকে আবার পরস্পরের পানে আড়চোখে চাহিবার হুবিধার জন্ত। “হয়েছে, আর লজ্জা দেখাতে হবে না, লজ্জ পাবার কথা ত বেচারী নবীন সেনের, তোমাদের মত পাঠকের হাতে পড়ে যার নাকালের অস্ত নেই ••• যীশুখ্ৰীষ্ট কত দিন পূৰ্ব্বে জন্মেছিলেন বলতে পারেন বলাইবাৰু ?” বলাই পাথার দড়ির দিকে চাহিয়া রহিল। s१९१, अठेॉम* “তুমি, অনাথ ? ইংরেজী এটা কত সাল ?” '. “উনিশ-শ বার স্যার।” “उ| इ'ाल ?” - “উনিশ-শ বার বছর পূৰ্ব্বে জন্মেছিলেন স্যার ” ।

  • অর্থাৎ—”

চকখড়িট হাতে লুফিতে লুফিতে মাষ্টার মহাশয় উঠলেন এবং বোর্ডে গিয়া পড়িয়া পড়িয়া লিপিলেন, উনিশ-শ বার মাইনাস উনিশ-শ বার,—ইজ ইকওয়াল টু জিরো, অর্থাৎ ?.* * * * সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে আবার ক্লাসের দিকে চাহিলেন। সকলেই হতভম্ব হইয়া গিয়াছিলাম, তাহার দৃষ্টি এড়াইয়া বোর্ডের ১৯১২–১৯১২র বিয়োগ-ফল শৃঙ্কটার পানে শূন্তনেত্রে চাহিয়া রহিলাম । সেকেণ্ড মাষ্টার মহাশয়—বোধ হয় কাব্যটা অঙ্কের জটিলতা অবলম্বন করিতেছে দেখিয়া প্রসন্নভাবে স্মিতহাস্য করিলেন, তাহার পর শৃঙ্গটার দিকে তজনী নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “অর্থাৎ এই জিরো হ’ল ষ্টার্টিং পয়েণ্ট—এইখান থেকে হিসাবের স্বরু—অর্থাৎ—?” याभेब्र' जमई घर्षाङ श्बा खे?:उहिलाभ । शशत्र একটু আধটু বুঝিতেওছিলাম সাহস করিয়া উত্তর দিতে পরিলাম না । মাষ্টার মহাশয় আরও প্রসন্নভার সহিত হাস্য করিলেন ।

  • অর্থাৎ এই শূন্য থেকে এক-শ বছর পর্য্যন্ত হ’ল প্রথম সেনচুরি, এক-শ থেকে দু-শ বছর হ’ল---”

প্রায় সমস্ত ক্লাস হইতে মুক্তকণ্ঠের একট। আওয়াজ উঠিল, “দ্বিতীয় সেনচুরি স্যার।" “বুঝেছ ত ?” * বিলাস বলিল, “একেবারে জল হয়ে গেছে স্যার ।” “টুকে নাও।” একথাটা মাষ্টার মহাশয়ের একট। মুদ্রাদোষ দাড়াইয়া গিয়াছিল—প্রতিদিন পাঁচ-ছয় পিরিয়ড করিয়া অঙ্ক কষাইতে কথাইতে । টুকিবার কিছু না থাকিলেও আমরা খাতার উপর একটু পেন্সিল চালাইয়া—, অতঃপর কি বলেন শুনিবার জন্ত আবার মাষ্টার মহাশয়ের দিকে চাহিলাম । মাষ্টার মহাশয় বলিলেন, “তোমরা যুদ্ধের কাহিনী পড়তে যাচ্ছ—কিন্তু জেনে রেখে কাব্য পড়া মাত্রই একটা যুদ্ধ করা, —শুধু কাব্য বলি কেন, যে-কোন জিনিব পড়াই যুদ্ধ করা। কোন একটা জিনিষ বোঝা মানে সেই জিনিষটাকে আয়ত্ত করা অর্থাৎ জয় করা । তোমরা এক্ষেত্রে নবীন সেনের কাব্য পলাশীর যুদ্ধ' আয়ত্ত করতে যাচ্ছ, তার রস উপলব্ধি করবে বলে, এই ত এই যে কাব্যের বিরুদ্ধে বিজয়-অভিধান এতে তৈামাদের অস্ত্রশস্ত্র থাকা চাই তো ? এখন, সে-অস্ত্র কি ? : তুমি ...তুমি ?:ভবেশ "