পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক আউশ ধান هج سنوة পঞ্চম দিন বেলাশেষে অনাহারে ও অতিরিক্ত পরিশ্রমে দলের একটি শুয়োপোকা যেন অসাড় ভাবেই লাইন হইতে নীচে পড়িয়া গেল –এবং কিছুক্ষণ বাদেই তাহার দেহে মৃত্যুর লক্ষণ দেখা গেল । ভাবিলাম, একটা পোক মরিয়া যাওয়াতে ইহাদের লাইনের মধ্যে বেশ খানিকটা জায়গা ফাক হইবে এবং অগ্রগামী পোকাটা একটু ফাক দেখিয় এদিক-ওদিক মাথা ফিরাইয়া টবের মাটি বাহিয়া গাছটার উপর উঠতে পারিবে ; কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, একটা শুয়োপোকা পড়িয় যাওয়া সত্ত্বেও লাইনের মধ্যে একটুও ফঁাক দেখিতে পাইলাম না-পূৰ্ব্বে যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনি ভাবেই একে অপরকে স্পর্শ করিয়ু চলিয়াছে। লক্ষ্য করিয়৷ দেখিলাম ব্যাপার আর কিছুই নহে, মৃত গু রোপোকাটা যখন দলে ছিল তখন ঠিকমত ইহাদের স্থান সংকুলান হইতেছিল না—ইহার নিজ নিজ শরীর কতকটা সঙ্কুচিত করিয়া চলিতেছিল। ষষ্ঠ দিনে দেখা গেল আরও গোটাতিনেক শুয়োপোক। মরিয়া পড়িয় রহিয়াছে— তবুও তাঁহাদের লাইনের মধ্যে বড়ু-একটা ফাক দেখিতে পাইলাম ন-ইহার শরীরটাকে অসম্ভব লম্ব করিয়া হাটিয়া চলিয়াছে। মনে হইল যেন এক একট। শুয়োপোক দৈর্ঘ্যে অস্তুত দেড় গুণ লম্ব হইয়াছে, সপ্তম দিনে আরও কয়েকটা মারা গেল—এবার যেন ইহাদের গতিবেগ প্রায়শঃই মৰ্ম্মীভূত হইয়া পড়িতেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে পরেই যেন জোর করিয়৷ গতিবেগ বাড়াইয়। দিতেছিল। অমুসন্ধান করিয়া দেখিলাম, প্রায় দেড় শত হাত দূরে একটা ছোট্ট চাপাগাছ হইতে শুষ্ক ঘাসপাতা, কাকর-পাথর অতিক্রম করিয়া কল্পিত মুখের আশায় বরাবর সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইতে হইতে ইহারা দৈবক্রমে এই টবের গাছটার কাছে উপস্থিত হইয়াছিল। কারণ, চাপাগাছটার পাতা সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষিত হইয়। গিয়াছিল এবং আশেপাশে তাহদের খাইবার উপযুক্ত কোন গাছও ছিল না । কিন্তু আশেপাশে ন চাহিয়া ইহাদের অগ্রগতির এই দৃঢ় সংস্কারই ইহাদের মৃত্যুর কারণ হইয়া দঁাড়াইল । তার পর এই শুয়োপোক লইয়। পরীক্ষা সুরু করিলাম—এরূপ একটা ঘটন। কি দৈবাৎ ঘটিল, না ইহাদের স্বভাবই এইরূপ ? টবের কানায় কানায় জল ভৰ্ত্তি করিয়৷ এই জাতীয় এক দল শুয়োপোকাসহ একটি জবাগাছ পুতিয়া দিলাম। পাত খাইয়। নিঃশেষ করিবার পর ইহারাও একদিন মূতন খাদ্যপূর্ণ স্থানের উদ্দেশে অভিধান মুরু করিল। গাছটার গ৷ বাহিয়া নীচে নামিয়াই দেখে জল, কিন্তু তাহাতেও ভ্রক্ষেপ নাই-একটা শুয়োপোকা জলের উপর নামিয়া শরীরটাকে নানা ভাবে ঘুরাইয়৷ ফিরাইয় একটু অগ্রসর হইবার সঙ্গে সঙ্গেই তাহার পিছনেরট জলে নামিয়া পড়িল ; এইরূপে একটার পর একটা করিয়া ক্রমে ক্রমে সকলগুলিই জলে নামিয়ু ইতস্ততঃ ভাসিয়া ভাসিয়া কিছুক্ষণের মধ্যেই অপর পাড়ে উঠিয়া টবের কানার চতুর্দিকে চক্রাকারে ঘুরিতে মুরু করিয়া দিল । যাবৎ মৃত্যু আসিয়৷ ইহাদিগকে না থামাইবে তাবং অহোরাত্র এই চক্রাকার পরিভ্রমণ চলিতেই থাকিবে । আরও আশ্চর্য্যের বিষয়, ইহারা যখন এক ইঞ্চি হইতে প্রায় দেড় ইঞ্চি পৰ্য্যস্ত লম্বা হয় তখনই নুতন স্থানের সন্ধানে ইহাদের এইরূপ অভিধান করিতে দেখা যায়, পূর্ণ বয়সে ইহার তিন ইঞ্চি সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা হয় এবং গায়ের রং কলো হইয়া १ध्न | আউশ ধান শ্রীমনোজ বসু ধান গাছে কথা কয়, ধানবন ডেকে ডেকে রূপ দেখায় । শুনেছ কখনও? মেঘের মত কালে কচি কচি ধানের চারাদেমাক তাদের গায়ে ধরে না। তুমি যদি আ'ল-পথে ধাও কোন দিন, থমকে দাড়াতে হবে। সাধ্য কি—ই ক’রে খানিক না-তাকিয়ে থেকে চলে ধেতে পার ! নিড়ান দিয়েছে। তার পর বাড়ী এসে খেয়ে-দেয়ে গড়িয়ে নিচ্ছে। ঘুম বেশ এটে এসেছে, এমন সময় শুনল, দুলি ডাকছে – ৪ বাবা, বাবা—আম কুড়োতে যাবে ? বড়হেলার তলায় ঝুড়ি ঝুড়ি কাচা আমি পড়েছে ঠিক । •छौदषब खदांब निज-डैश्, छू३ ६ । घूम श्राउण श्रब আরও কত জনের কত জমি রয়েছে, জীবধরের ত এল । জীবধর শুনতে লাগল, খড়ের চালে জল পড়বার মোটে বার বিষে ! কিন্তু তার মত কারও নয়। ক্ষেতে नोंभएक খাওখুনাওয়ার জ্ঞান থাকে না জীবধরের। বৈশাখ শাসের মাঝামাঝি । মাঠ দিয়ে আগুনের হঙ্কা বয়ে চলেছে । জীবধর জন-অষ্টেক কৃষাণ নিয়ে আড়াই পহর অবধি ক্ষেতে শব্দ,”বাইবে খুব বৃষ্টি হচ্ছে, সে সে ক'রে হাওয়া এসে বেড়ায় ধাক্কা দিচ্ছে।. তার পর উঠে তামাক সাজতে বসল। দুলি এই জলের মধ্যে বেরিয়ে গেছে। ডাকাত মেয়ে ! হকা টানতে টানতে জীবধরের বড় স্ফৰ্ত্তি লাগল। এই