পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo ●धवांनौ ১৩৪৪ জ্ঞানদা। আশ্চৰ্য্য ! আজি তিন দিন হ’ল দিলুম পড়তে, এখনও তোমার পড়া হয় নি ? মোহিনী। সময় কোথা ষে পড়ব ? যেই ছুটি লাইন পড়েছি আমনই থোকা এসে বললে, তার জামাতে বোতাম নেই। কলেজ কি ক’রে যাবে তার ঠিক নেই, স্বান ক’রে এসে একটা ফরসা ধুতি খুঁজে পাচ্ছে না। বেয়ারাটা আমাকে না দেখিয়েই এক ক্ষেপে তার দশটা ধুতি ধুতে দিয়েছে। ইন্দু বললে, তার শাস্তাদি এক পেয়ালা চ চাইছেন। জ্ঞানদা। আমার খুবই অবাক লাগে বাড়ীতে এতগুলো ঝি-চাকর থাকা সত্বেও তুমি একটা খবরের কাগজের প্রবন্ধ পড়তে সময় পাও না। কেন, বেয়ারাটা কি চা তৈরি করতে ভুলে গেছে, না এই এতবড় কলকাতা শহরে দরজী মেলে না যে তোমাকে রাত-দিন জামার বোতাম সেলাই করতে হবে, extद्भ--- * , মোহিনী । [ তাহার উত্তেজনায় বাধা দিয়া, বিস্মিত স্বরে ওমা, তুমি যে অবাক করলে ! জামার একট। বোতাম ছিড়লেই দরজীবাড়ী দৌড়তে হবে নাকি ? আর বেয়ারা যে চা তৈরি করে, থোকা আর ইন্দু বলে অমন চা খাওয়ার চেয়ে চা না থেলেই হয়। তুমি কি মনে কর আমি যে কাজটি নিজে থেকে না দেখব, সেটি হবার জো আছে ! কিন্তু আর না, যাই তোমার হলিক্সট তৈরি । করে নিয়ে আসি, দেরি হয়ে যাচ্ছে । প্রস্থান করিলেন । অন্ত দিকের দরজা দিয়া ইন্দির ঘরে ঢুকিল । - জ্ঞানদা । তোমার পড়া হয়ে গেল মা ? ইন্দির। হ্যা, এইমাত্র আমাকে পড়ানো শেষ ক’রে শাস্তানি চলে গেলেন। এ কি, তুমি এখনও খোলা জানালার সামনে বসে হিম লাগাচ্ছ বাবা ? এই ত সেদিন ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে উঠলে। মা কোথা গেলেন ? জ্ঞানদা। তোমার মা এখানেই বসেছিলেন, এইমাত্র ' আমার রাত্রির খাবার আনতে গেলেন তৈরি করে . র্তার অত্যাচারের ত সীমা-পরিসীমা নেই। কবে অস্থখ থেকে উঠেছি এখনও রোজ রাত্তিরে এক বাটি করে হলিক্স খাওয়াই চাই। এদিকে দেখি তোমার মা মিনাস্তে একটিবার খবরের কাগজখানায় চোখ বুলিয়ে যাবারও অবসর পান না। সেদিন অত ক'রে বললুম লর্ড জেটল্যাও যে কথাগুলো বললেন একবার ভেবে দেখ দিকি ..দেশের কতবড় একটা সঙ্কটময় মুহূৰ্ত্ত যাচ্ছে---কিন্তু তোমার মায়ের কাছে মশারির একটি পেরেক সোজা ক’রে টাঙানোও দেশের এতবড় ভাবনার চেয়ে মূল্যবান। ইন্দিরা তাহার মারের পরিত্যক্ত চেয়ারখানার বসির নিঃশব্দে হাসিতে লাগিল, কোন উত্তর দিল না ।] জ্ঞানদা। [ বিস্মিত হইয়া ] তুমিও হাসছ ইন্দু ? কেন আমি যে কথাগুলো বললুম তাতে কি হাসির উপাদান ছাড়া আর. কিছু ভাববার বিষয় নেই ? মেয়েরা কি চিরদিনই জামার বোতাম পরানো আর বালিশের ওয়াড়ে ফুল তোলা—এই সব নিয়ে থাকবে ? বৃহত্তর জগতে তাদের কোন দায়িত্ব নেই ? ইন্দির । [ দেয়ালে টাঙানো তাহার এস্রাজটা পাড়িয়া আনিয়া ] তুমি সারাদিন এই সব পরীক্ষার কাগজ নিয়ে বড় থেটেছ বাবা, এখন আর বৃহত্তর জগতের সমস্তার সমাধান এর উপর সইবে না। তার চেয়ে আমি একটু এম্রাজ বাজাই তুমি শোন। 曾 এমন সময় ইন্দিরার মেসোমশায় এবং তার কন্ঠ ফুল্লরা পরে ঢুকিলেন । ইন্দিরার মেসে মনোজবাবু, পসারওয়াল এটর্ণি। বয়স জ্ঞানদাবাবুর চেয়ে কিছু কম। শুঙ্গ চেহারা কাঠখোটাগোছের। জীবনে যেন সরসত নাই। মেয়ে ফুল্লর আধুনিক প্রগতিশীল তরুণ। মাজাঘল ফ্যাশনদুরন্ত বেশভূষা। জ্ঞানদা । আরে মনোজ যে ! এস এস ! আর তোমার পাত্তাই পাওয়া যায় না । মনোজ । সময় ক’রে উঠতে পারি নে ভাই। যা কাজের সপ পড়েছে। সেই দুটি নাকে মুখে দিয়ে হাইকোর্ট দৌড়ই, ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যায় । ফুল্লরা। [ মিহি স্বরে ] আমি এসেছি ইন্দুকে নিমন্ত্রণ করতে মেসোমশায় । কাল আমার জন্মদিন । তাকে যেতে হবে আর ঐখানেই থাকতে হবে কালকের দিনটা । আমাদের হোল-ডে প্রোগ্রাম রয়েছে। কাশীপুরে আমাদের বাগানরাড়ীতে চড়িভাতি করতে যাব, তার পদ সবাই মিলে একসঙ্গে মেট্রো । এদিকে ষে