পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسوأجيج প্রৰণসী SNO38 হয়ে গেছে। লাইফ ইনসিওরের পলিসি অবধি বাধা দিতে হয়েছে। আর আমাকে কি করতে বল ? মোহিনী । [ অধোমুখে ] এ সব কথা তোমার আরও আগেই আমাকে জানান উচিত ছিল। কিন্তু ছেলেমানুষ এক বিদেশে আছে, হঠাৎ টাকা বন্ধ করলে তার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখ দিকি ! জ্ঞানদ । [ হতাশভাবে ] তা বুঝতে পারি, কিন্তু অমিষ্ট বা কি করব আর ভেবে উঠতে পারি নে। কতবার বুঝিয়ে চিঠি লিখেছি উত্তর অবধি দেয় না। তা ছাড় আমার আরও ছেলেমেয়ে আছে, তাদের উপরেও একটা কৰ্ত্তব্য রয়েছে । আজ যদি চোখ বুজি কাল তোমাদের হয়ত পথে দাড়াতে হবে। শুনতে ঐ সাড়ে অtট-শ টাকা মাইনে কিন্তু ঠাটু বজায় ক্লখতে কতখানি লাগে সেও ত তোমার অজানা নেই। রমেনের উপর অনেক আশা ছিল কিন্তু...এখন দেখছি তাকে বিলেতে না পাঠালেই ভাল इ'एठ । মোহিনী। সংসার করতে গেলেই আমন ধার-কৰ্জ হয়, তাতে তুমি মুষড়ে পড়ছ কেন ? আমি এবারে সব জানতে পারলুম, এখন থেকে বাজে খরচ একেবারেই কমিয়ে দেব। এখন ইন্দিরার জন্মদিনে বেশী গুৈচৈ কিংবা গয়না কেনা বন্ধ থাক । .. জ্ঞানদা। বন্ধ থাকবে কেন ? এই হয়ত আমাদের বাড়ীর শেষ উৎসব, কে জানে হয়ত আর কোনদিন झेमृरक किष्ट्र किएन रिङ •ोझन् कि न| । सन्न छान्नु এক জোড়া ব্রেসলেট আমি নিজেই দেখে পছন্দ ক’রে কিনে আনব। আর একবার ধুমধাম হোক, আর একবার শেষ বারের মত সব আলোগুলো জলে উঠুক। তার পরে সবমুদ্ধ যদি অন্ধকারে তলিয়ে যায়, যাক না, ক্ষতি কি ? মোহিনী। কি যা-তা পাগলের মত বকছ ? ওসব অলক্ষণের কথা মুখে আনতে নেই। মানুষের দুঃসময় কি আসে না, কিন্তু অন্ধকার একদিন কেটে যাই । জ্ঞানদা । এ অন্ধকার অীর কাটবে না মোহিনী, কে যেন ভিতর থেকে এ কথা বলে দিচ্ছে। আমার ব্লড়প্রেশারের উপসর্গট এত বেড়ে গেছে, কাল কলেজে পড়াতে পড়াতে হঠাৎ এত মাথা ঘুরে উঠল যে এক জন ছাত্রকে দিয়ে একটা ট্যাক্সি আনিয়ে বাড়ী চলে এলুম। মোহিনী। ডাক্তার বাবুকে একবার ডেকে পাঠাৰ ? তুমি নিজেকে অত উত্তলা করে না। মা মঙ্গলচণ্ডী নিশ্চয়ই মঙ্গল করবেন। রমেনের স্বমতিও তিনি দেবেন। সে কি আর সত্যি ওদেশের মেয়ে বিয়ে ক’রে মা বাপ ভাই বোন কৰ্ত্তব্য সব ভুলে ওখানেই বাস করতে পারবে । জ্ঞানদা। [ একটুখানি হাসিয়া ] কিন্তু এক জন বিলেতফেরতের বাড়ীর খান-টেবিলে বসে তুমি থামোক মঙ্গলচণ্ডীকে টেনে আনলে কেন ? মেয়েদের পড়াশোনাই বল আর বিচার-বিতর্কই বল সবই মিছে । মোহিনী। দেখ ঠাকুর-দেবতা নিয়ে তামাশা ক'রো না বলছি । আমিই না-হয় সেকেলে মেয়েমানুষ, কেবল পড়েছি যবনের হাতে থানা থেতে হ’ল সাথে, কিন্তু ঐ যে তোমার সায়েন্স-পড়া আধুনিকা মেয়ে, তাকে যতই একালের শিক্ষায় দীক্ষিত কর, স্বামী-পুত্রের কোন বিপদের ছায়া দেখলে দেখবে তিনিও আগাগোড় সব ভুলে গিয়ে ঠাকুরদেবতার দোরে ধন্ন দেবেন। i দ্বিতীয় অঙ্ক প্রথম দৃপ্ত ইন্দিরার জন্মতিথি-উপলক্ষে জ্ঞানদ বাবুর বাড়ীর প্রকাগু হল উৎসবের বেশে সজ্জিত। নিমস্থিত অতিথির একে একে আসিয় পৌছিাতছেন। ইন্দির দ্বারের সম্মুখে দাড়াইয়া উহাদের অভ্যর্থন করিতেছে। মি: ননী ঢুকিলেন, হাতে একটা মখমলের বাঙ্গ এবং পকাও এক ফুলের তোড় তাহাতে সাদা কাগজের স্লিপ লেখা ! নদী । [ বাক্সট ইন্দিরার হাতে দিতে গিয়া ] জানি এ অfপনার যোগ্য নয় তবু • • ইন্দিরা । [পিছাইয়া আসিয়া ] ঐ যে টেবিলের কাছে শাস্তাদি দাড়িয়ে রয়েছেন সকলেরই উপহার ঐখানে রাখা ठूएझ ! নন্দী। একবার খুলে দেখলে পারতেন কি আছে। ইন্দির। আমার সাহস হয় না, জানি নিশ্চয়ই ভয়ানক দামী একটা কিছু আছে।