পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DB BDD BBD CBDSBLLLL BB BBB BBBBBBB BBBBBB BBBBB BeM অধিবেশনের মূল সভাপতি, মহিলা-বিভাগের সভানেত্রী, এবং সাহিত্য দর্শন বিজ্ঞান ইতিহাসাদি বিভাগের সভাপতিদিগের নির্বাচন পরে হইবে । নিৰ্ব্বাচিত প্রবন্ধগুলি সমুদয় পঠিত হইবার ব্যবস্থা হইলে ভালই হয় । তাহা সম্ভবপর না-হইলে প্রত্যেকটির সারমৰ্ম্ম পঠিত হওয়া আবশ্যক। যে-সব প্রবন্ধের আলোচনা আবগুক, তাহার আলোচনার নিমিত্ত যথেষ্ট সময় দিতে পারিলে ভাল হয়। কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলন কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলনের অধিবেশন সম্বন্ধে আমরা পূৰ্ব্বেই একাধিক বার লিখিয়াছি। এ বিষয়ে কয়েক মাস পূৰ্ব্বে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের স্মৃতিসভার অধিবেশনের সময় যখন উদ্যোক্তাদিগের সহিত আমাদের কথা হয়, তখনই র্তাহারা বলিয়াছিলেন, যে, অধিবেশন সম্ভবতঃ মাঘের শেষ বা ফাঙ্কনেল্প আরম্ভে ইংরেজী ফেব্রুয়ারি মাসে হইবে । এখন শুনিতেছি, যে, অধিবেশনের জঙ্ক ২৯শে মাঘ ও ১লা ফাল্গুন, ১২ই ও ১৩ই ফেব্রুয়ারি, এই দুটি দিন নিৰ্দ্ধারিত হইবে । ইহা আগে হইতেই এক প্রকার স্থির ছিল । ১৫ই আশ্বিন অভ্যর্থনা সমিতির যে অধিবেশন হইবে, তাহাতে যথারীতি তারিখগুলি স্থির করা হইবে । আমরা আগেই লিখিয়াছি, কৃষ্ণনগরের অধিবেশন সাফল্যমণ্ডিত হইবার আশা করা স্বাভাবিক । ংগ্রেসের আগামী অধিবেশনের সভাপতি কে হইবেন কংগ্রেসের আগামী অধিবেশনের সভাপতি কে হইবেন, সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আমরা একাধিক বার বলিয়াছি । আমাদের মতে ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বহুকেই সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করা উচিত। কেন উচিত, সে বিষয়ে আমাদের যুক্তিও আমরা সৰ্ব্বসাধারণকে বাংলায় ও ইংরেজীতে জানাইয়াছি। তহি কেহ খণ্ডন করেন নাই, করিবার চেষ্টাও করেন নাই । কিছুদিন পূর্বে খবরের কাগজে এই সংবাদ বাহির হয়, যে, মহাত্মা গান্ধী ও পণ্ডিত জৰাহরলাল নেহরু উভয়েই এবং আঠ কোন কোন নেতাও স্বভাব বাবুকেই সভাপতি নিৰ্ব্বাচন কমরি পক্ষে । এই সংবাদের কোন প্রতিবাদ হয় নাই । তাহার পর সম্প্রতি এই খবর বাহির হুইয়াছে, যে, অনেক নেতা ( তাহদের মধ্যে গান্ধীজী ও পণ্ডিতজী আছেন কি না প্রকাশিত হয় নাই ) এবার স্বভাৰ বাৰুকে সভাপতি না-করিম কোন মুলতুৰানকে করিতে চান। স্বভাষ বাবুকে না-করার কারণ এই বলা হইয়াছে, যে, তাহার স্বাস্থ্য ভাল নাই, এবং কোন মুসলমানকে করার কারণ এই বলা হইয়াছে, যে, অনেক বৎসর কোন মুসলমানকে সভাপতি করা হয় নাই, এবং মুসলমান জনগণের মধ্যে কংগ্রেসের আদর্শ প্রচার দ্বারা কংগ্রেসের মুসলমান সভোর সংখ্যা বাড়ান আবশ্বক ও কোন মুসলমানকে সভাপতি করিলে এই বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িবে। স্বভাষ বাবুর বর্তমান স্বাস্থ্য কোন কুস্তিগীর পালোয়ানের মত নহে, ইহা সত্য কথা । কিন্তু তাহার বর্তমান চিকিৎসক বলিখছেন, তিনি আগামী নবেম্বরের মাঝামাঝি নিরাময় হইবেন । কংগ্রেসের অধিবেশন হইবে ফেব্রুয়ারিতে। স্বতরাং তখন কংগ্রেসের সভাপতির কার্ষ্যভার গ্রহণ করিতে স্বভাষ বাবু সমর্থ হইবেন । সাধারণ ভাবে ইহাও বিবেচা, যে, কাহার স্বাস্থ্য কোন সময় কি রকম কাজের উপযোগী তাহ। বিবেচনা করিবার ভার - র্তাহার ও র্তাহার চিকিৎসকদের উপরই থাকা উচিত ; অন্তদের সে বিষয়ে কিছু বলা অনধিকারচর্চা ও ‘আধিক্ষেতা"। স্বভাষ বাবুকে এবার কি কি কারণে সভাপতি করা উচিত, তাহ আগে আগে লিখিয়াছি। প্রধান দুটা কারণের উল্লেখ করিতেছি। এ পর্ষ্যস্ত যাহারা সভাপতি হইয়াছেন তাহীদের কাহারও সহিত স্বভাষ বাবুর তুলনা করিতে চাই না। র্যাহার একবার সভাপতি হইয়াছেন, অন্য যোগ্য লোক থাকিতে র্তাহীদের কাহাকেও সভাপতি করা অনাবশ্যক ও অঙ্কুচিত । সকল যোগ্য লোকদের সেবাই যথাসম্ভব গ্রহণ করা দেশের কওঁথ্য"; কেন-না, যোগ্যতম ব্যক্তির দ্বারাও সম্পূর্ণ সেবা ও সকল রকম সেব হইতে পারে না । ইহা বিবেচনা করিয়া, যে-সকল নেতা এখনও সভাপতি হন নাই, তাহদের মধ্যে যোগ্যতা হিসাবে স্বভাষবাবুর স্থান কোথায় তাহাই দেখা উচিত । আমাদের বিবেচনায় তিনি তাহাদের মধ্যে যোগ্যতম । রাষ্ট্রনীতিজ্ঞতায়, রাষ্ট্রনৈতিক বিষয়ে স্ববিবেচকতায় তাহার , ধোগ্যতা ইহঁদের কাহারও অপেক্ষা কম নহে। দেশের জন্ত র্তাহার স্বাৰ্থত্যাগ, দুঃখধরণ ও নির্বাতনসহন ইহঁাদের মধ্যে অনতিক্রাস্ত । আধুনিক সময়ে কোন দেশের— বিশেষতঃ কোন পরাধীন দেশের, কৰ্ত্তব্যের পথ নিৰ্দ্ধারণ করিতে হইলে পৃথিবীর অন্যান্ত দেশের অবস্থা, রাষ্ট্রনীতির গতি, ও রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টাসমূহের লক্ষ্য সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা আবগুক । এই জ্ঞান কংগ্রেসনেতাদের কাহারও স্বভাববাবু অপেক্ষ অধিক নহে। . s سمیے কংগ্রেসের কার্ধ্যপ্রণালী বার-বার বা ঘনঘন পরিবর্তিত হওয়া উচিত নয়। পণ্ডিত জৱাহরলাল যে-ভাবে কাজ চালাইতেছেন, স্বভাষবাবুর রাষ্ট্রনৈতিক মত মোটের উপর