পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, * * SBb* খুলিতে চেষ্টা করিতেছেন। শ্রীহট্ট চুণের জন্য বিখ্যাত । সেখানে সিমেন্টও বেশ হইতে পারে। বঙ্গে টাকা নাই বলিয়া নিশ্চেষ্ট থাকা উচিত নয় । আপেক্ষিক ভাবে বঙ্গে টাকা কম বটে ; কিন্তু সব বাঙালীই নিঃস্ব নহে। উদ্যোগিতা থাকিলে বাঙালীদের দ্বারা অনেক পণ্যদ্রব্যের কারখানা স্থাপিত ও লাভের সহিত পরিচালিত হইতে পারে। ডাক্তারদের মধ্যে বেকারসমস্যা ও পল্লীস্বাস্থ্য সব বাঙালীই জানেন, বঙ্গের পল্লীগ্রামগুলির স্বাস্থ্য খারাপ, অধিকাংশ পল্লীগ্রামে রোগ হইলে চিকিৎসা হয় না বলিলেই চলে। এক-একটি পল্লীকেন্দ্রে এক-এক জন শিক্ষিত্ত ভাক্তারকে বসাইয়া ঔষধালয় খুলিলে অনেক উপকার হয়। ডাক্তারেরা সাধারণতঃ শহর থাকেন। সেখানে অনেকেরই পসার হয় না। সেই জন্য কখন কখন প্রশ্ন উঠে, তাহার পাড়াগায়ে যান না কেন ? সেখানে গেলে রোগীও জুটে এবং গ্রামগুলিরও উপকার হয়। কিন্তু শুধু রোগী জুটিলেই ত হইবে না। ডাক্তারদেরও ত অস্তত: বাচিয়া থাকিবার মত আয় হওয়া চাই। সাধারণতঃ বিস্তর পল্লীগ্রামের লোকদের অবস্থা এরূপ যে তাহারা দর্শনী দিতে অসমর্থ। এই জন্য গবন্মেণ্ট ও ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড যদি এক-একটি পল্লীকেন্দ্রে ডাক্তার বসান এবং তাহাদিগের ব্যমুনিৰ্ব্বাহাৰ্থ আবশ্বক নূনতম একটি ভাভার ব্যবস্থা করেন; তাহা হইলে ডাক্তাসুদের মধ্যে বেকার সমস্যার সমাধান হয় এবং পল্পীগ্রামের স্বাস্থ্যোল্পতি ও রোগচিকিৎসার ব্যবস্থাও হয় । বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন হইতে বীরভূম জেলার কতকগুলি গ্রামের জন্য এইরূপ ব্যবস্থা হওয়ায় তথাকার লোকদের উপকার হইতেছে । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা বাংলা দেশে এখন যতগুলি মাসিকপত্র আছে, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা তাহদের মধ্যে প্রাচীনতম। অক্ষয়কুমার দত্ত প্রভৃতি যে-সকল লেখকদের চেষ্টায় বাংলাভাষা ও সাহিত্য গড়িয়া উঠিয়াছে, তাহার এক সময়ে ইহাতে । লিখিতেন । ইহার নূতন পৰ্য্যায় শীঘ্র আরম্ভ হইবে। তাহাতে রবীন্দ্রনাথের “যোগ” শীর্ষক প্রবন্ধ বাহির হইবে। পত্রিকাটি ৫৫ নং আপার চিৎপুর রোড, কলিকাতা, ঠিকানায় e l - প্রবাসী SN988 এমৃ-এ পরীক্ষায় প্রথমস্থানীয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্‌ এ পরীক্ষায় অর্থনীতিতে কুমারী কমলা গুপ্ত এবং ইতিহাসে কুমারী কমল রায় প্রথম, শ্রেণীর প্রথম স্থান অধিকার করিয়াছেন । চীন-বাসর বৰ্ত্তমান চীন-জাপান যুদ্ধ উপলক্ষ্যে চীনের সহিত সহানুভূতি প্রকাশ এবং জাপানের চীন আক্রমণ, চীনের স্বাধীনতা হরণ চেষ্টা ও যুদ্ধে বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকরিবার নিমিত্ত ভারতবর্ষের নানা স্থানে নির্দিষ্ট চীন-বাসরে জনসভার অধিবেশন হইয়া গিয়াছে । এই সকল সভায় ভারতবর্ষের লোকদের প্রতিনিধিদিগের পরামর্শ ও সম্মতি না লইয়া চীন দেশে ভারতবর্ষীয় সৈন্য প্রেরণেরও প্রতিবাদ করা হইয়াছে। জাপানের কার্থ্যে গভীর অসন্তোষ প্রকাশের একটি, উপায়ের কথা আমরা আগেই বলিয়াছি । জাপানী এমন কোন পণ্যদ্রব্য ভারতবর্ষের বাজারে আসে না ও নাই যাহা আমাদের না কিনিলে চলে না । জাপানী পণ্যদ্রব্য কাহারও কেনা উচিত নহে । যাহারা দেশী শিল্প ও বাণিজ্যের বাস্তবিক উন্নতি চান, চীন-জাপান যুদ্ধ না ঘটিলেও তাহারা জাপানী জিনিষ ক্রয় হইতে বিরত থাকিতেন । জাপানের ভারতবর্ষ জয় করিবার ইচ্ছাও আছে। মিঃ টি এইচ, বেন লীগ য়্যাসেমরীতে চীন-জাপানের পরস্পর সম্পর্ক সম্বন্ধে বক্তৃতা দিবার নিমিত্ত জেনিভা যাত্রাকালে বোম্বাইয়ে একটি সংবাদপত্রের প্রতিনিধিকে বলেন, “আমরা যতটা বুঝি, জাপানের দক্ষিণাভিমুখ নীতির লক্ষ্য প্রথমে চীন দখল ও পরে ভারতবর্ষ জয় ।” ভারতবর্ষের উপর জাপানের লুব্ধ দৃষ্টি বহু বৎসর হইতেই আছে। ১৯২৭ সালে জেনার্যাল টানাকা জাপান-সম্রাটের নিকট একটি আবেদনে বলেন, “চীনের সমুদয় প্রাকৃতিক ও অন্যবিধ সমুদ্ধির অধিকারী হইয়া আমরা ভারতবর্ষ জয় করিতে &গ্রসর হইব ।” প্রবল বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিরোধে ভারতীয় সৈন্যদলের অসামর্থ্য গত আগষ্ট মাসে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সামরিক সেক্রেটরী কর্ণেল ভূগিলবী বলেন, যে, বড় কোন রাষ্ট্র ভারতবর্ণ আক্রমণ করিলে ভারতীয় সৈন্যদল বৰ্ত্তমান অবস্থায় তাহা প্রতিরোধ করিতে পারিবে না। ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান সেনাপতি সব ফিলিপ, চেটওডও এইরূপ মত প্রকাশ