পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جمهنة শরৎচন্দ্র বস্তু এই প্রতিশ্রুতি দেন, ম্বে, স্বদেশে জেলে এই বন্দীরা যাহাতে এরূপ কিছু না করে যাহার জন্য তাহাদের শাস্তি হইতে পারে, তাহার চেষ্টা তিনি করিবেন। তজন্য স্বরাষ্ট্রসচিব তাহাকে ধন্যবাদ দেন । আণ্ডামানে বন্দীদের ক্ষয়রোগ ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সরকারপক্ষ হইতে মি: খর্ণ বলিয়াছেন, গত তিন বৎসরে আণ্ডামান জেলে ২৬ জনের ক্ষয়রোগ হইয়াছে। আণ্ডামান দ্বীপ যে সরকারী ভূস্বর্গ ইহা তাহার অকাট্য প্রমাণ । ইহা সবাই জানে, যে, যাহার সাহসসাপেক্ষ বৈপ্লবিক কাজ করে, বিশেষতঃ যাহার! অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে সেরূপ কাজ করে, তাহারা রোগাপটুক নয় । সেই রকম লোক অtণ্ডামানে গেলে ধে এত রোগপ্রবণ হয়, তাহা ঐ দ্বীপের ভূস্বৰ্গত্বের প্রমাণ নিশ্চয়ই । অন্ততঃ ইহা ঠিকৃ, যে, আসল স্বর্গে যাইবার পথে আণ্ডামান প্রকৃষ্ট পাস্থশালা । অবগু, ইহাও অসম্ভব নহে, যে, বাংলা দেশের যত ক্ষয়রোগপ্রবণ ছোকরা ব্রিটিশ গবন্মেন্টের বদনাম রটাইবার নিমিত্ত দল বাধিয়া বৈপ্লবিক কাজ করিয়াছে । “অন্তরীণ”দের মধ্যে কঠিন পীড়া ‘অন্তরীণদের মধ্যেও ক্ষয়ুরোগ এবং তাদৃশ অন্যান্ত কঠিন পীড়ার প্রাদুর্তাব কম নয় । অথচ ইহা জানা কথা, যে, অন্তরীণ হইবার পূৰ্ব্বে তাহাদের মধ্যে ব্যায়ামপটু বলিষ্ঠ যুবকদের সংখ্যা যত ছিল অন্য যুবকদের মধ্যে তত নয় । ‘অন্তরীণদের মধ্যে আত্মহত্যার ও মস্তিষ্কবিকৃতির অনুপাতও দেশের সাধারণ অধিবাসীদিগের মধ্যে অপেক্ষা অধিক । ع বঙ্গে বেআইনী প্রতিষ্ঠান খাজা সরু নাজিমুদিন সেদিন বঙ্গীয় এসেম্ব্লীতে ঐযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের প্রশ্নের উত্তরে জানাইয়াছেন, যে, বঙ্গে এখনও ২১৮টি প্রতিষ্ঠান বেআইনী বলিয়। ঘোষিত হইয়া আছে। ১৯৩১-৩২ সালের মধ্যে তাহদের বিরুদ্ধে সরকারী ঘোষণা হয়। এইগুলির মধ্যে ১০টি মেদিনীপুরের, ৩২টি কলিকাতার, ১৯টি ফরিদপুরের, ১৯টি ত্রিপুরার, ইত্যাদি। এগুলি সধ সস্ত্রাসক প্রতিষ্ঠান নয়, কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানও নয়। অবগু, । বেশীর ভাগ কংগ্রেস-প্রতিষ্ঠান । বাকী শ্রমিক, ছাত্র, যুবক প্রভৃতির সমিতি, ব্যায়ামসমিতি, হিন্দু মুসলমানের মিলন-সমিতি, স্বদেশী শিল্প আশ্রম ইত্যাদি। স্বতরাং বৈপ্লবিক প্রচেষ্টাকেই কাবু করিবার চেষ্টা হইয়াছে বলিলে ভুল হইবে । যাহাতে যে-কোন প্রবাসী দিক দিয়া শক্তিমত্ত ও আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে, তাহীঃ বে-আইনী, সরকারী মতের এইরূপ ব্যাখ্যা করিলে বোধ করি খুব বেশী ভুল হইবে না। যাহ হউক, আশার কথা এই, ষে, এখনও বঙ্গে দেহমনের তারুণ্য বাচিয়া আছে। বেঁচে থাক যৌবন ‘নওজোয়ানী জিন্দাবাদ' । SNరిg উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মানুষ চুরি উত্তর-পশ্চিম সীমাস্তে উপজাতিদের বদমায়েসদের দ্বার আবার নারীহরণ হইয়াছে । আজকাল আকাশ হইতে বোমা ফেলিয়া শত শত হাজার হাজার মানুষ বধ সাধারণ ব্যাপার হইয় পড়ায় ২১ জমের প্রাণবধে আর বেদনাবোধ না হইবার কথা । তথাপি সীমান্থে দুটি অপহৃত হিন্দু বালিকাকে যে অপহারকের পাথর ছুড়িয়া ছুড়িয়া মারিয়া ফেলিয়াছিল, তাহাতে প্রাণ ব্যথিত হয় । উত্তর-পশ্চিম সীমাস্ত প্রদেশের ব্যবস্থ-পরিষদে এই মৰ্ম্মের একটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে, যে, ঐ প্রদেশের অধিবাসীদিগকে বিনা লাইসেন্সে বন্দুক রাখিতে ও ব্যবহার করিতে দেওয়া হউক । ভারত-গবন্মেণ্ট এই প্রস্তাব অমুযায়ী ব্যবস্থা করেন কিনা, দ্রষ্টব্য। বাংলা দেশেও গ্রাম অঞ্চলে সশস্ত্র ডাকাতি ও তদুপলক্ষ্যে খুন জখম এত হয়, যে, এখানেও বন্দুক ব্যবহার সম্বন্ধে ঐক্সপ ব্যবস্থা আবশুক । বরিশাল ছাত্র কনফারেন্স নিষিদ্ধ ৩রা ও ৪ঠা অক্টোবর অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বরিশালে ছাত্রদের একটি কনফারেন্স করিবার উদ্যোগ হয় । তাহ নিষিদ্ধ হইয়াছে। অজুহাত এই, যে, সৰ্ব্বসাধারণের একটি অংশ ইহার বিরোধী এবং কনফারেন্স হইলে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা ছিল। কোন অংশ । শান্তি ভঙ্গ কে করিত ? উদ্যোক্তার না আপত্তিকারীর ? আপত্তিকারীদের দ্বারা শাস্তিভঙ্গের সন্তাবনা থাকিলে, তাহাদিগকেই নিবৃত্ত ও মুচলেকাবদ্ধ করা উচিত ছিল, এবং কনফারেন্স নিৰ্ব্বিঘ্নে শাস্তিপূর্ণভাবে হইতে দিবার জন্য যথেষ্ট পুলিস মোতায়েন করা উচিত ছিল । কতকগুলি লোক আপত্তি করিলেই সম্পূর্ণ আইনসঙ্গত সভাও বন্ধ করিবার রীতি নিন্দনীয় । কন্সটিটিউয়েণ্ট এসেমন্ত্রী কয়েকটি প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় ভারতবর্ষেব মূল রাষ্ট্রবিধি প্রণয়নকল্পে কন্সটিটিউয়েন্ট এসেমরী আহানের t