পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী $లిgg כרצ হ’ল ন হুজুর। শীতকালে তো সারারাত এই বনে খেড়ী অর্থাৎ গুম-ঘাসের ক্ষেত, যার দানা সিদ্ধ এ-অঞ্চলের ফেউ ডাকে। প্রায় সকল গরীব লোকেরই একটা প্রধান খাদ্য । গন্থ —থাও কি এখানে r দোকান-টোকান তো নেই, জিনিষপত্র পাও কোথায় ? চাল ভাল— —হজুৰ, দোকানে জিনিব কেনবার মত পয়সা কি আমাদের আছে, না আমরা বাঙালী বাবুদের মত ভাত থেভে পাই ? এই জঙ্গলের পেছনে আমার দু-বিধে থেড়ী ক্ষেত আছে । খেড়ীর দানা সিদ্ধ আর জঙ্গলে বাখুম্বা শাক হয়, তাই সিদ্ধ আর একটু লুন, এই খাই । ফাগুন মাসে জঙ্গলে গুড়মী ফল ফলে, লুন দিয়ে কাচ খেতে বেশ লাগে-লতানে গাছ, ছোট ছোট কাকুড়ের মত ফল হয় । সে সময় এক মাস এ-অঞ্চলের যত গরীব লোক গুড়মী ফল খেয়ে কাটিয়ে দেয়। দলে দলে মেয়েছেলে আসবে জঙ্গলে গুড়মা তুলতে। জিজ্ঞাস করিলাম—রোজ রোজ খেড়ীর দান সিদ্ধ আর বাণুম্বা শাক ভাল লাগে ? --কি করব হুজুর । আমরা গরীব লোক । বাঙালী বাবুদের মত ভাত খেতে পাব কোথায় ? ভাত এ অঞ্চলের মধ্যে কেবল রাসবিহারী সিং আর নন্দলাল পাড়ে খায় ছুবেল। সার। দিন মহিষের পেছনে ভূতের মতন খাটি হুজুর, সন্ধের সময় ফিরি যখন তখন এত খিদে পায় যে যা পাই খেতে, তাই ভাল লাগে। গহকে বলিলাম—কলকাতা শহর দেখেছ গনু ? - —ন হজুর । কানে গুনেছি । ভাগলপুর শহর একবার গিয়েছি, বড় ভারী শহর । ওপানে হাওয়ার গাড়ী দেখেছি, বড় তাজব চিজ ৰূজুর। ঘোড়া নেই, কিছু নেই, আপনাআপনি রাস্তা দিয়ে চলছে । গল্পকে অামার লাগিল মন নয় । এই বয়সে উহার স্বাস্থ্য দেখিয়া অবাক হইলাম। সাহসও যে আছে, ইহা भtन भtन शौकांद्ध कfतtडझे झझेल ।

  • ांशूद्र खौदिकाभिर्द्धारश्द्र ७कभाऊ श्रवणशन भश्वि कप्र;ि । তাদের দুধ অবগু এ-জঙ্গলে কে কিনিবে, দুধ হইতে মাখন छूनिश वि कtब ७ इ-उिँन भार्गव्र षि ७कज जयाहेब ন' মাইল দূরবর্তী ধরমপুরের বাজারে মাড়োয়ারীদের নিকট विक६ कfब्रध्न चाहन् । श्राव्र षांकिदांब्र भtथा ७ई छू-दिघ!

সে-রাত্রে আমাকে কাছারিতে পৌছাইয়া জিল, কিন্তু গল্পকে আমার এত ভাল লাগিল যে কত বার শাস্ত বৈকালে তাহার খুপরির সামনে আগুন পোহাইতে পোহাইতে গল্প করিয়া কাটাইয়াছি। দেশের নানারূপ তথ্য গন্থর কাছে যেরূপ শুনিয়াছিলাম, অত কেউ দিতে পারে নাই। গম্বর মুখে কত অদ্ভূত কথা শুনিতাম—উডুকু সাপের কথা, জীবন্ত পাথর ও জাতুড়ে-ছেলের হাটিয়া বেড়াইবার কথা ইত্যাদি । ওই নির্জন জঙ্গলের পারিপাশ্বিক অবস্থার সঙ্গে গনুর যে-সব গল্প অতি উপাদেয় ও অতি রহস্তময় লাগিত—আমি জানি কলিকাতা শহরে বসিয়া সে-সব গল্প শুনিলে তাহ। আজগুবি ও মিথ্যা মনে হইতে বাধ্য। যেখানে-সেখানে বসিয়া যে-কোন গল্প শোনা চলে না, গল্প শুনিবার পটভূমি ও পারিপার্থিক অবস্থার উপর উহার মাধুর্ধ্য ষে কতখানি নির্ভর করে, তাহা গল্পপ্রিয় ব্যক্তি মাত্রেই জানেন । গনুর সকল অভিজ্ঞতার মধ্যে আমার আশ্চৰ্য্য বলিয়া মনে হইয়াছিল বন্ত-মহিষের দেবতা টাড়বারোর কথা । কিন্তু যেহেতু এই গল্পের একটি অদ্ভুত উপসংহার আছে—সে-জন্ত সে-কথা এখন না-বলিয়া যথাস্থানে বলিব । এখানে বলিয়া রাখি, গকু আমাকে ষে-সব গল্প বলিত—তাহ রূপকথা নহে । তাহার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিষয়। গমু জীবনকে দেখিয়াছে, তবে অন্ত ভাবে । আরণ্য প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আজীবন কাটাইয়া সে আরণ্য প্রকৃতি সম্বন্ধে এক জন রীতিমত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি । তাহার কথা হঠাৎ উড়াইয়ু দেওয়া চলে না। মিথ্যা বানাইয়া বলিবার মত কল্পনাশক্তিও গম্বর আছে বলিয়া আমার মনে হয় নাই । শীত কাটিয়া কবে বসন্ত পড়িয়াছিল, এখানে তাহা বুঝি নাই, কারণ এখানে ফুল ফোটে না, পার্থীও ডাকে না । গ্রীষ্মকাল পড়িতে গ্র্যান্ট, সাহেবের বটগাছের মাথায় পীরপেতি পাহাড়ের দিক হইতে এক দল বৰ উড়িয়া আসিয়া বসিল, দূর হইতে মনে হয় ৰেন বটগাছের মাখ সাদা খোকা খোকা ফুলে ভরিয়া গিয়াছে।