পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెరిఫి পরিত্যক্তে তাদের অধিকার সাব্যস্ত । ওদের বন্তি দেখলেই আমার কি মনে হয় জান ? মনে হয় একটা মুন্দর দেহে এর সব গলিত কুষ্ঠের ক্ষত । বুর্জোয়াদের পাপেই এদের অস্তিত্ব, বুর্জোয়া-ধ্বংসেই এদের মুক্তি। “একটা দুটো নয়, কলকাতায় এমন চার হাজার কুৎসিত ঘ দগদগ করছে, এক দিন এরোপ্লেনে উঠে নজর ক'রে দেথে । নিজেদের মৃত্যুবীজ নিজেদের দেহে কেমন নিশ্চিস্ত চিত্তে আমরা পালন করছি, দেখে আঁৎকে উঠবে । নজর যদি পড়ন্ত তবে এই সব বঞ্চির জমিদারের খাজনা নিয়ে মিশ্চিস্তে এই নরক জিইয়ে রাখত না । কপোরেশনের হাত অতি সামান্তই এদের ভাগ্যের উপর । ভাবতেই পারি না, একট সভ্যতম দেশের শাসনাধীনে সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় নগরীর সমৃদ্ধির বুকে এটা সম্ভবপুল হয় কেমন ক’রে । সামান্ত একট। ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করবার জন্যে এত ব্যবস্থা, আর এই সৰ্ব্বব্যাধি-পরিবেশনের নরক, নাগরিক কুষ্ঠের বিরুদ্ধে কোন च्{{ख्यांनई ट्ध्र नt !

  • আইন ক’রে এদের প্রভুদের বাধ্য করা উচিত, সমস্ত বপ্তির স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, মমুগ্ধজমোচিত ব্যবস্থা বিধানে।” বলিয়া সমর-দ যেন অষ্টমনস্ক হইয়া কি ভাবিতে লাগিলেন ।

লোকটা অনেক ঘাটের জল খাইয়া এখন বেশ ফলাও একটা ব্যবসাতে দুপয়সা করিয়া লইয়া জমিয়া বসিয়াছে । লোকটার যেমন হাত খোল মুখের বাধও তেমন আলগা। পাসটাস কিছু নয় বটে, কিন্তু পড়াশুনা করি ছে বিস্তর আর অভিজ্ঞতাও আছে । তাই তার সহিত তর্ক করিতে আমাদের ছোকরার দল বড় জুক্ত পাইত না। এক হেবে সব তাতেই ক্ষোড়ন দিয়৷ অনুপস্থিত। চুপ করিয়াই রহিলাম। বাহিরে বৃষ্টির অবিরাম ধারায় রাস্তায় ট্রাম বদ্ধ হইয়৷ গিয়াছে । বাসের হুঙ্কার এবং বালকদের কোলাহলে পথে কুরুক্ষেত্র বাধিয়াছে। সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছে—রাস্তায় বাতি জলিয়া উঠিল। বেয়ারাটাকে ডাকিয়া আরও চা এবং আলুভাজার বন্দোবস্ত করি। আমরা একটু গুটিম্বটি মারিয়া জুত করিয়া বসিলাম। সমর-দা হঠাৎ ঝাকি দিয়া খাড়া হইয়া উঠিয়া বসিয়া প্রবণসী থাকে—সেওঁ আজি SN938 হাকিলেন, ‘তামাক’। এবং চিন্তাকুল মুখে জানালার বাহিরে তাকাইয়া রহিলেন । বুঝিলাম, একটা কিছু গল্প আসিতেছে--দাদার জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার এক টুকরা । একটু পরে মুখ ফিরাইয়া আমার দিকে ফিরিয়া বলিলেন, "তাই ত, আজকেই হেবোট এল না। শুনে কি বলত তা দেখতুম। ছোড়। আবার বস্তিসাহিত্য স্বষ্টি করছে ! আরে তুষ্ট বস্তির জানি কি ? লেখা ত সাহিত্য-জগতের বস্তি বই আর কিছু নয়।” আমি কচুমাচু করিয়া বলিলাম, “কিন্তু দা, আধুনিক সাহিত্যগুৰু কেদারেশ্বর ••* দাদা ধমকাইয়ু উঠিলেন, “আরে থোও ফেলে তোমার সাহিত্যগুরু। বোতল পার করতে পারলে, আর সতীসাধ্বী নহ মাত', নই বধূ রূপসীদের গুণগান করলেই এখন তোমাদের আধুনিক সাহিত্যের বাজার সরগরম হয়। বঞ্চি দেখেছে কেউ চোখে ?” ভাবিলাম, ভাল হইল না, গল্পট বুঝি ভেস্তাষ্টয়া গেল : নিসাড়ে চুপ মারিয়া গেলাম। তামাক আসিলে সমর-দ কিছুক্ষণ নীরবে ফরসির সহিত বাক্যালাপে তৃপ্ত হইয়াং বোধ করি আবার মুখ খুলিলেন। বলিলেন, “ভেবেছিলাম বলব না। তোমাদের মত অৰ্ব্বাচীনদের কাছে বেনাবনে মুক্তে ছড়িয়ে লাভ নেই। কিন্তু বধাটা এমন ধে, নিরস্তর বর্ষণে নিষ্কৰ্ম্মা লোকের স্বায়ুগুলোতে যেন ঝি fব ধরিয়ে দেয় । মনের উপর ভব্যতার শাসন যেন এলিয়ে পড়ে। ভুলে-যাওয়া অতীত মেঘের আড়াল থেকে খঞ্জন বাজিয়ে বিরহের গানে আকাশ ভরে তুলতে চায়! ভর বাক্ষর মাছ ভাদর শূন্ত মন্দির মোর।" বলিয়া দাদা আবার খানিক ক্ষণ চুপ করিলেন । বেশ বুঝিলাম যে বলিবার তাহার ইচ্ছা নাই, অথচ নিরস্তর অবসন্ন বারিপাতের মোহমন্ত্রে তাহার শিথিলগ্রন্থি মনের দুয়ার বাদল-বাতাসের ঝাপটে খুলিয়া গিয়াছে। দাদা এবার স্বরু করিলেন । আমরা তাহার সেই দীর্ঘ কাহিনীর সারাংশ মাত্র দিব । তাছা ছাড়া তাহার সেই প্রত্যক্ষ অমুভূতির স্বন্ধ বিশ্লেষণ র্তাহার মত করিয়া ব্যক্ত কর আমার কৰ্ম্ম নয়। দাদ যাহা বলিলেন তাহার আখ্যানভাগ এই –