পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক গীতিগুচ্ছ দিকে দিকে সঘন গগন মত্ত প্রলাপে, প্লাবন ঢালা শ্রাবণ ধারাপাতে সেদিন তিমির নিবিড় রাতে ॥ আমার স্বপ্ন স্বরূপ বাহির হয়ে এল, সেথায় বুঝি সঙ্গ পেল আমার সুদূর পারের স্বপ্ন দোসর সাথে সেদিন তিমির নিবিড় রাতে ॥ দেহের সীমা গেল পারায়ে ক্ষুব্ধ বনের মন্দ্ররবে গেল হারায়ে মিলে গেল কুঞ্জৰীথির সিক্ত যুদ্ধীর গন্ধে মত্ত হাওয়ার ছন্দে মেঘে মেঘে তড়িৎ শিখার ভুজঙ্গপ্রয়াতে সেদিন তিমির নিবিড় রাতে ॥ ওগো আমার চির অচেনা পরদেশী ক্ষণতরে এসেছিলে নির্জন নিকুঞ্জ-পথে কিসের আহবানে । যে কথা বলেছিলে ভাষা বুঝি নাই তার, আভাস তারি হৃদয়ে বাজিছে সদা যেন কাহার বাশির মনোমোহন সুরে । প্রভাতে একা বসে গেঁথেছিন্ন মালা, ছিল পড়ে তৃণতলে অশোকবনে । দিনশেষে ফিরে এসে পুই নি তারে, তুমিও কোথা গেছ টলে, বেলা গেল, হোলো না অার দেখা ॥ মেঘ ছায়ে সজল বায়ে মন আমার উতলা করে সারাবেলা, কার লুপ্ত হাসি সুপ্ত বেদনা হায় রে -