পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৮ প্রবণসী SNつ88 বারস্বার লেখা হ’ল । ডাকাতের সর্দারকে না-ডেকে এবারে নিজেদের মধ্যেই আরব-ইহুদী মিলতে পারলে রক্ষা পাবে। সেমিটিক জাতির একই ছাচে গড়া জু-আরবদের ইতিহাস, কতকালের এই মাটিতে মিলেছে তাদের শিকড় সভ্যতার জটিল গ্রন্থিবাধা হয়ে । জেরুজালেমের আকাশরেখায় গির্জে মসজিদ সীনাগগের চূড়া সারি বেঁধে ডাক দেয় দূরের অতিথিকে—অথচ লোকের মন কলহে শতছিন্ন হ’তে চলেছে। সম্প্রদায়িক ঔদ্ধত্য অতিক্রম ক’রে স্বাতন্ত্র্য এবং সজ্ঞান মৈত্রীব্যবস্থা যদি খোজে ইহুদী-আরব, পরজাতির সাধ্য কি তাদের ভিন্ন করবে ? অামাদের হিন্দু-মুসলমান সম্বন্ধেও এই কথাই বলতে হবে । কিন্তু শুভবুদ্ধি জাগাবে কে ? প্যালেষ্টাইনে আরবের ঔদার্ধ্য দেখাতে পারত ; কেননা উারাই সংখ্যাগরিষ্ট, চতুর্দিকে তাদেরই স্বধৰ্ম্মী রাজ্য, প্রতিবেশী সীরিয়াও স্বাধীন হ’তে চলেছে । ইহুদীরা বিরাট মুসলমান-সমাজের মধ্যে বিন্দুমাত্র। অথচ নিরস্ত্র এবং সংখ্যায় অল্প হয়েও তারাই মৈত্রীর চেষ্টা দেখিয়েছে। তার প্রধান কারণ প্যালেষ্টাইনের ইহুদীরা বহুলভাবে কমুনিষ্ট আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আরব ঝুকেছে ফাপিষ্টতন্ত্রের দিকে, এক ডাকাতের জায়গায় অঙ্ককে ডেকে ভাবছে বিপ্লব হতে রক্ষা পাবে। মোঙ্গ-এফেনভির লক্ষ্য যেমন ক’রে হোক নিজের স্বার্থসম্পত্তি রক্ষা করা, জনসাধারণের কথাট কিছু নয়। গোপনে চলছে পদসেবা ভূমধ্যসাগরে লম্বিত বুট-জুতোটাকে । শেষ পর্ষ্যস্ত পিঠে যা পাবে, তাতে আরবের মান বাড়বে ব’লে মনে হয় না । আজ নয় তো কাল। লীবিয়ার মুসলমান-প্রেমিকের উষ্ঠত মুঘল স্বাদের মুক্তির প্রতীক, তাদের কে বাচাবে জানি না। নাবলুস, জেনিন, রামাল্লা প্রভৃতি বিশিষ্ট আরব্য আখড়ায় গিয়েছিলাম, জেরুজালেম হাইফার আরব শিক্ষার্থী শিক্ষক সমাজনেতার সঙ্গে কৰা চলছে। স্বীকার করতে হচ্ছে এদের মধ্যে বিদ্বেষবুদ্ধির সূক্ষ্মতা এবং সামবোধের অভাব যেমনটা দেখেছি, তা জামার অভিজ্ঞতায় বিরল। নেতাদের ধৰ্ম্মান্ধতাবশত বেছুদিন ফেলাহিন সাম্প্রদায়িক বিষ মাথাচ্ছে স্কটির সঙ্গে, খায্যের চেয়ে নেশার পরিমাণ অধিক হওয়াতে শত্রুমিত্রনিৰ্বিচারে হনোবৃত্তি চালাচ্ছে, অবশেষে পড়ছে গিয়ে মেশিন-গানের মুখে। আজকের দিনে আরব-আন্দোলনের মৰ্ম্মে রয়েছে অভাব-নির্বাতনের চূড়ান্ত প্রেরণা। অথচ চোরাবালিতে হারাচ্ছে তাদের শক্তি। হায় রে, বুদ্ধির সঙ্গে না মিললে হৃদয়াবেগের মত শত্রু আর নেই। ভারতীয় আমি, ভূক্তভোগী ; যেখানে দুৰ্ব্বলতা—কারণ তার যাই হোক না—যেখানে দু:খ, স্বভাবতই সেই দিকে দরদ জাগতে বাধা, কিন্তু স্বদেশের অভিজ্ঞতা হতেই জানি, বাস্তববোধকে টিমে ক'রে দিয়ে অভিমান-আস্ফালনের মূল্য নেই। ইস্পীরিয়ালিজমকে পরাস্ত করবার অস্ত্র নেই সাম্প্রদায়িক দলনেতার হাতে। দেশের প্রতি মমত্ববোধ অজেয় আত্মশক্তি জাগায়, যখন মাটির টান মেলে গিয়ে সাম্যিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুশীলনে ; মাঠের চাষী, শহরের কৰ্ম্মী জানে তারা জাতিধৰ্ম্মের ছাপ-মার মজুর নয়, নূতন সমাজ গড়বার কর্তৃত্বে তাদের আহবান এসেছে । আরব শ্রমিক-নেতা দু-এক জনের চোখ খুলছে কিন্তু মুফতি-এফেনডির প্রিয়পাত্ত র্তার নন। - ইহুদীরা আরব শ্রমিকদের সংঘরচনায় সাহায্য করছে, হাইফায় সম্প্রতি ধৰ্ম্মঘটের সময়ে ইহুদী-আরব কী একজোট হয়েছিল। এই দিক থেকেই মুক্তি আসবে। ইতিমধ্যে দেশীবিদেশী উপরওয়ালার কত মার তাদের কপালে আছে কে বলবে । ইহুদীর সাম্যচেতনার কথা বলছিলাম। মনে রাখতে হবে জায়োনিজম্ মাটির কাছে ফিরে নূতন সভ্যতা গড়বার আদর্শ পেয়েছিল রাশিয়ায় টলষ্টয়-ফার্শ্বের কাছ থেকে, তার পরে সোভিয়েটের আমলে শুধু আদর্শ নয়, কৰ্ম্মপ্রণালীর অভিজ্ঞতা নিয়ে বহু রাশিয়ান শিক্ষক কৃষিকৰ্ম্মী এসেছেন প্যালেষ্টাইনে। বেশীর ভাগ ইহুদী-উপনিবেশ cनथलाभ उंग्निद्र शरउ । आहेन शब्रन्, डॉशानिष्ठा धडूडि (১) কমুনাল সেট্লমেন্টের ভিতরের ব্যবস্থায় সোভিয়েট কলেকটিভ, ফার্শ্বের সঙ্গে বিশেষ প্রভেদ নেই ; (২) (২) কো-অপারেটিভ এবং (৩) ইণ্ডিভিডুয়াল ফাৰ্ম্মিং-এর কেন্দ্রগুলিতেও সাম্যতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটে নি। এই তিন রকমের উপনিবেশের কোথাও জাতি ধৰ্ম্ম সামাজিক স্তরের ভেদ নেই ; বিদ্যালয়ে হাসপাতালে আরব প্রতিবেশীকে সমান ভাবে সেবা করবাবু চেষ্টাও সৰ্ব্বত্র। রাশিয়ায় আজ জায়োনিজ কে বল্‌ছে “কাউন্টার-রিভলিউশনরি”—সেখানে তারা তাদের