পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراسbج প্রবাসী yN9gg ইহার স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আসামীয়। কটন কলেজের ছাত্রীদের জন্ত সরকারী ছাত্রীনিবাস নাই। একটি ছাত্রীনিবাস খ্ৰীষ্টীয় মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত, অন্যটি ডাক্তার দাসের সহধৰ্ম্মিণী চালান। একদিন ইহার ছাত্রীনিবাস ও আর একদিন ইহার বালিকা -বিদ্যালয় দেখিবার সুযোগ পাইয়াছিলাম। বালিক-বিদ্যালয়টিতে ছাত্রী অনেক পড়ে। শিক্ষা দেন ১৬ জন । তাহীদের মধ্যে বোধ হয় ১ জন ছাড়া আর সকলেই শিক্ষয়িত্রী। এক দিন গৌহাটার শ্রীহট্টসম্মিলনীর বাধিক উৎসব দেখিলাম । গীতবাদ্যনৃত্য বক্তৃত জলযোগ প্রভৃতির স্বব্যবস্থা ছিল। কটন কলেজের সুপণ্ডিত fপ্রন্সিপ্যাল সতীশচন্দ্র রায় মহাশয় ইহাতে নেতৃত্ব করেন। গৌহাটীর জলের কল ব্রহ্মপুত্রের তীরে উচ্চ ও মুরম্য একটি স্থানে স্থিত। মিউনিসিপালিটার চেয়ারম্যান মহাশয় অনুগ্রহপূর্বক তাহার মোটর পাঠাইয়া আমার উহা দেখিবার স্থবিধা করিয়া দেন। ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলবী ওয়াজেদ আলী মহাশয় আগে হইতেই জলের কলের মুপারিন্টেণ্ডেণ্টকে আদেশ দিয়া রাখিয়াছিলেন। ইনি বাঙালীদের সভাসমিতি উৎসবাদিতে হৃদ্যতার সহিত যোগ দেন, " অক্ষ শিক্ষিত আসামীয় ভদ্রলোকদের মত ইনি বাংলা বুঝেন ও বলেন । বক্তৃতা করিবার প্রয়োজন হইলে আসামীয় ভাষায় বকৃত করেন । গৌহাটীর ব্রহ্মমন্দিরে এক দিন সন্ধ্যায় আমাকে উপাসনা করিতে হইয়াছিল । - শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র রায় মহাশয়ের উদ্যোগে স্থানীয় কতকগুলি আসামীয় বাঙালী ভদ্রলোকের সহিত পরিচিত হইবার স্থযোগ হয়। তিনি আমাকে এক দিন সৌজন্ত সহকারে কামরূপ অনুসন্ধান সমিতির মিউজিয়াম দেথান । ইহা বড় না হইলেও ইহাতে প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের গবেষকদের পক্ষে আবগুক অনেক জিনিষ আছে । অন্য সকল দ্রষ্টব্য স্থান ও প্রতিষ্ঠানও সতীশ বাবুর সাহায্যে দেখিতে পাইয়াছিলাম। অন্ত র্যাহারা মোটর দিয়া বা অন্য প্রকারে সাহায্য করিয়াছিলেন, তাহীদের নিকটও আমি কৃতজ্ঞ । ীিহট্ট দর্শন গৌহাটী যাইবার পূৰ্ব্বে গ্রীহট্টে একটু কাজ করিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়াছিলাম। ইহা অামার দ্বিতীয় বার শ্রীহট্ট দর্শন। এবার স্বরম সাহিত্য-সম্মিলনীর বার্ষিক অধিবেশনে গিয়াছিলাম। তাহার বৃত্তাস্ত দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে। আসামের “ ব্যবস্থাপক সভার অন্যতম সদস্ত শ্ৰীযুক্ত বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্তে ও সাহায্যে sضخه এবং তাহার বাড়ীর মহিলাদের আতিথ্যে অল্প সময়ের মধ্যে কিছু কাজ করিতে পা রিয়াছিলাম। র্তাহার নিকট হইতে আসামের বাঙালীদের অনেক অসুবিধার বিষয় অবগত হইয়াছি । শ্রীহট্ট মহিলা-সংঘ কয়েক বৎসর ধরিয়া বেশ কাজ করিতেছেন। এখানকার বিপিনচন্দ্র পাঠাগার একটি নূতন প্রতিষ্ঠান। শ্রীহট্টের ব্রহ্মমন্দিরে আমাকে উপাসন করিতে হইয়াছিল । ঢাকা পুনর্দশন ঢাকায় পূৰ্ব্ব-বাংলা ব্রাহ্মসম্মিলনীর অধিবেশন ১২ই হইতে ১৫ই অক্টোবর পর্ষ্যস্ত হয়। তদুপলক্ষ্যে উহার সভাপতিরূপে আমাকে ঢাকা যাইতে হইয়াছিল। এই অধিবেশনের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। বঙ্গের নানা স্থান হইতে প্রতিনিধিবর্গ ইহাতে যোগ দিয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন স্থানীয় ব্রাহ্মসমাজের লোকেরা এবং হিন্দু ও মুসলমান সমাজের অনেকে ইহাতে যোগ দিয়াছিলেন । বেজগা দর্শন ঢাকা হইতে কলিকাতা ফিরিবার পথে আমি বিক্রমপুরের অন্তর্গত বেজগ নামক গ্রামটি দর্শন করি । তারপাশ ষ্টীমার ষ্টেশন হইতে নৌকাযোগে বেজগ যাইতে হয়। তারপাশ পৌছিবার পূৰ্ব্বে ষ্টীমার হইতে তেলীরবাগ নামক পদ্মাতীরস্থ গ্রামে চিত্তরঞ্জন দাশ মহাশয়ের পৈত্রিক বাসভবনের ভগ্নাবশেষ দেখা যায়। ঠিক নদীর তীরে কতকগুলি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত শ্বেত স্তম্ভ দাড়াইয়া আছে । বাড়ীর আর সব অংশ নদী ভাঙিয়া লইয়া গিয়াছে । থামগুলির পশ্চাতে বৃহৎ একটি করগেটেড টিনে ছাওয়া ঘর দেখা যায়। আগামী বর্ষায় সম্ভবতঃ এ সকলের কোন চিহ্নই থাকিবে না । বিক্রমপুরের কোন গ্রাম ইতিপূৰ্ব্বে আমি দেখি নাই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পক্ষে ইহা নূতন অভিজ্ঞতা । ইটালীর ভেনিস শহরে ষাতায়াত জলপথে করিতে হয়। এই গ্রামটিতেও তেমনই এ-বাড়ী ও-বাড়ী এ-পাড়া ও-পাড়া যাতায়াত করিতে হইলে নৌকার সাহায্য লইতে হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের ভূতপূৰ্ব্ব স্বৰ্গত দেওয়ান প্রসন্নকুমার দাসগুপ্ত মহাশয়ের সহধৰ্ম্মিণীর ও পুত্রদিগের অতিথি ছিলাম । র্তাহার পুত্রের নৌকাযোগে গ্রাম দেখাইলেন, নৌকা যোগে গ্রামের বাজার দেখাইলেন। প্রায় সমস্ত বাড়ীই করগেটেড টিনে ছাওয়া । ইহঁদের বাড়ীটি পাকা । তাহার বিশেষত্ব এই, যে, ইহাতে বৈদ্যুতিক আলোক, বৈদ্যুতিক পাঞ্চ, নলকুপ, পম্প, কলিকাতার মত জলের কলযুক্ত স্নানাগার ও শৌচাগার আছে। ষে ভাইস্কামো যন্ত্রটির