পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ স্বর বয়স পাচ লক্ষ বিশ হাজার কোটি বৎসর অপেক্ষ জধিক হইতে পারে না । আমাদের সমস্ত নাক্ষত্র-জগতের বয়সের হিসাবও জ্যোতিৰ্ব্বিদগণ সম্পূর্ণ অন্ত উপায়ে নিৰ্বি করিয়াছেন। কোন নিদিষ্ট স্থানে আবদ্ধ অণুসকল যেমন ঘাত-প্রতিঘাতে শক্তি আদান-প্রদান করিতে করিতে ক্রমশ: একই রূপ শক্তিবিশিষ্ট হুইবার চেষ্টা করে তারাসকলও সেইরূপ করিতেছে। এই উপায়ে নির্ণীত তারাসকলের বয়স পাচ লক্ষ কোটি হইতে দশ লক্ষ কোটি বৎসরের মধ্যে । ইহা স্বর্ষ্যের পূৰ্ব্বনির্ণীত বয়সেরই সমর্থন করে। স্বতরাং পাচ হইতে দশ লক্ষ কোটি বৎসর পূৰ্ব্বে আবৰ্ত্তনশীল নীহারিকা হইতে আমাদের জগতের তারাসকল স্থষ্ট হয় । আমাদের জগতের জড়রাশি ইহার পূৰ্ব্বে নীহারিক অবস্থায় কতদিন ছিল তাহারও অভ্যন্ত স্থল হিসাব দেওয়া যাইতে পারে। এনড্রোমেডা নীহারিকার উজ্জ্বলতা ও ভার হইতে গণনা করা যায় যে প্রায় আশী লক্ষ কোটি বৎসর ইহা তেজ বিকীর্ণ করিতে করিতে নিঃশেষ হইয় পড়িবে। সুতরাং আমাদের জগতের নীহারিক। অবস্থার বক্স তারকাসমূহের বয়স অপেক্ষা বেশী হইলেও উহার সহিত তুলনীয়। মাউন্ট উইলসন মানমন্দিরের এক শত ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট দূরবীক্ষণযোগে যে বিশ লক্ষ নীহারিকার সন্ধান পাওয়া গিয়াছে তাহদের মধ্যে দূরতম নীহারিক মিথুন রাশিতে অবস্থিত ও ইহার দূরত্ব পনর কোটি আলোকবর্ষ। স্বতরাং যে-আলোকে আমরা তাহাকে দেখি তাহ পনর কোটি বৎসর পূৰ্ব্বে সাতাশি লক্ষ কোটি কোটি মাইল দূর হইতে ধাত্রা করিয়াছিল। বর্ণবিশ্লেষণ-যন্ত্রদ্বারা পৰ্য্যবেক্ষণ ও গণনার সাহায্যে আবিষ্কৃত এক পরম বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, ঐ প্রতিদুরন্থ নীহারিক বা নক্ষত্র-জগৎ মহাশূন্তের মধ্য দিয়া সেকেণ্ডে পনর হাজার মাইল বেগে ছুটিয়া পলাইতেছে। ষে "ারিকার দূরত্ব যত বেশী তাহার বেগও তত অধিক। নকটবর্তী নীহারিকাদের বেগ সেকেওে কয়েক শত মাইল । ५डबार ऐश श्रङ अश्यान कब्र शाब्र ८ष नौशब्रिकानकल গমাদের নিকট হইতে মৃত দূরে যাইতেছে ততই প্রবৃত্ত্ববেগ ইতেছে। তৃণখণ্ডের গতি দেখিয়া যেমন আমরা জলের শৰাই উপলব্ধি করি, সেইরূপ নীহারিকাসকলের গতি দেখিয়া ব্ৰহ্মাণ্ডের ক্রমবিকাশ N9RS ব্ৰহ্মাণ্ডের ক্রমবর্ধনশীলতা উপলব্ধি করিতে পারি। পৃথিবীর ধেরূপ কোনও সীমা না থাকিলেও পৃথিবীপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পরিমিত, আইনষ্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ অনুসারে নিখিল ব্ৰহ্মাও সীমাহীন হইলেও তাহ ষে স্থান অধিকার করিয়া আছে তাহার ঘনফল পরিমিত, অসীম নহে। নীহারিক৮ গণের গতি হইতে নির্ণীত হইয়াছে যে এক শত চল্লিশ কোটি বৎসর পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্মাণ্ডের পরিমাণ বর্তমান পরিমাণের অৰ্দ্ধেক ছিল। দুই শত আলী কোটি বৎসর পূৰ্ব্বে একচতুর্থাংশ ছিল। এইরূপে কিন্তু বরাবর হিসাব চলে না। গণিতাকুসারে দশ হাজার কোটি বৎসর অপেক্ষা বেশী সময় १द्रिब्राँ अकां७ বাড়িতেছে RÍ I Lemaitre-g3 RUNS আদিতে নিখিল ব্ৰহ্মাণ্ডের জড়পদার্থ একত্র জমাট বাধিয়া ডিম্বাকারে ছিল । আপেক্ষিকতাবাদিগণ বলেন, ব্ৰহ্মাও বদ্ধিত হইতে আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে বহু যুগ ধরিয়া সঙ্কুচিত হইয়াছিল। আর ইহাই যদি মানিয়া লণ্ডয়া বায় তবে পূৰ্ব্বে কতবার ব্ৰহ্মাণ্ডের সঙ্কোচন ও প্রসারণ হইয়াছে তাঁহাই বা কে বলিবে ? ६मि श्रडीौtउब्र भ१] निम्नां त्रांब्र७ शिक्षtझेब्र! माझे ऍझट्रय স্বাক্টর আদিতে পৌছাইব কি ? যদি জড় অনাদি না-হয় তবে কত কাল পূৰ্ব্বে তাহার স্বষ্টি হইয়াছিল ? একটা অস্পষ্ট উত্তর নিম্নলিখিত উপায়ে পাওয়া যায়। ব্ৰহ্মাণ্ডের ষে অংশ আমরা জানি ( অর্থাৎ চারি দিকে পনর কোটি আলোকবর্ষ পৰ্য্যস্ত স্থান ) তাহার প্রতি ঘনইঞ্চিতে গড়ে কত পরিমাণ জড় জাছে তাহা নির্ণীত হইয়াছে। যদি ধরা যায়, ব্ৰহ্মাণ্ডের অবশিষ্ট অংশেও গড়ে জড়রাশি ঐ ভাবে ছড়াইয়া আছে তবে ব্ৰহ্মাণ্ডের জড়-পরিমাণ সহজেই নির্ণয় করা যায়। যদি এই সমস্ত জড়জগৎ ধ্বংস হইয়া তেজে রূপান্তরিত হয় তবে তাহার ফলে আকাশে যে-পরিমাণ তাপাধিক্য হয় তাহাতে পৃথিবীপৃষ্ঠের উত্তাপ এক ডিগ্রির ছয় হাজার ভাগের এক ভাগ মাত্র বৃদ্ধি পায়। ক্রমাগত তাপ বিকীর্ণ করিয়া ব্ৰহ্মাণ্ডের জড়রাশি ক্ষয় পাইতেছে। অর্থাৎ যত অতীতে যাওয়া যায় ব্ৰহ্মাণ্ডের জড়পিও-পরিমাণ ততই অধিক • দেখি । ইহার কি কোনও শেষ নাই ? মনে করা যাউকৃ, এক সময়ে ব্ৰহ্মাণ্ডের জড়পিও বৰ্ত্তমানের তুলনায় দশ লক্ষ গুণ বেশ ছিল। ইহার ধ্বংস হইতে ধে উত্তাপ জয়ে তাহাতে