পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9-98 প্রবাসী SN988 অনুভব করিতে থাকি যে আমি কি অবিচার করিয়াছি একটি নিরপরাধ রমণীর প্রতি। তখন হইতে তোমার অমুসন্ধানে কত স্থান ঘুরিয়াছি, কেহ তোমার সন্ধান দিতে পারে নাই। এই গ্রামের এক চৌকিদারের নিকট গ্রামের লোকের খবর লইতে গিয়া গুনি, এক জন দর্জির ঘরে এক রূপসী রমণী আছে, যার স্বামী ছিল এক জন কমিশনার সাহেব। আজ আমার সন্ধানের শেষ হইয়াছে, আমি তোমার দর্শন পাইয়া ধন্য হইয়াছি। আমার একটি অনুরোধ তোমায় রাখিতে হইবে । আমি এই পাচ হাজার টাকার চেক্ তোমার নামে লিথিয়া জানিয়াছি, ইহা তোমায় গ্রহণ করিতে হইবে, এবং আরও পাচ হাজার টাকার চেক্‌ আমি দেশে পেীfছয়াই পাঠাইব, তাহাও গ্রহণ কfরবে বলিয়া প্রতিশ্রুতি দাও । স্তাণ্ডোয়ে দ্বীপে আমি তোমার মায়ের একথও জমি কিনিয়া রাখিয়া আসিয়াছি, এই টাকায় তুমি সেই জমির উপর একখানি বাড়ী নিৰ্মাণ করিয়া তোমরা স্বামী-স্ত্রীতে থাকিবে। বাকী পাচ হাজার টাকা হইতে কিছু ধান-জমি কিনিয়া চাষ-আবাদ করাইবে, তাহার দ্বারা তোমাদের জীবিক সচ্ছল ভাবে চলিয়া যাইবে। আমার সৰল অপরাধের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ এইটুকু করিয়া যাইবার অধিকার যদি তুমি আমাকে দাও তবে আমি বুদ্ধ বয়সে শাস্তিতে মরিতে পারিব।” সকল কথাবাৰ্ত্ত বৰ্ম্মী ভাষায় হওয়াতে মণ্ড-পে অত্যন্ত খুশী হইল। ভাড়াতাড়ি মা-সোয়ের হাত হইতে চেকখানি ধরিস্থ দেখিয়া বলিল, “চল, চল, এবার কখা শেষ হয়েছে ত "ি সাহেব একটু হাসিয়া বলিলেন, “মণ্ডপে, তোমার কাছে আমার এই অমুরোধ, স্ত্রীকে বিশ্বাস করে, কখনও অসম্মান ক'রে না।” মা-সোয়ে আর একবার সাহেবের হাতখানি কিছুক্ষণ ধরি, রাখিয়া'চোখের জলে पृे विनिषश्च अद्विशां शैब्रि शैरङ्गः গৃহাভিমুখে চলিয়া গেল। সাহেব গেটের বাহিরে দাড়াইয়া যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত তাহাজের দেখা গেল, অপলক-দৃষ্টিতে দূরের পানে চাহিয়া রহিলেন। আশেপাশের লোকেরা এই অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত দেখিয়া অতি ठूद्देण ! & মাস-ছয়েক পরে স্যাণ্ডোয়ে দ্বীপের জাহাজ-ঘাটে লোকের ভিড়, অর্কুট গোলমালে শোনা গেল ড-মিয়া-সোয়ের নামে বিলাত হইতে এক প্রকাও থামে করিয়া শিল-মোহর অঙ্কিত কি একটা কাগজ আসিয়াছে, সেটা লইয়া ড-মিয়া-সোয়ে রেজুন ৰাইতেছে। কোন ব্যাঙ্কে গেলে নাকি ঐ কাগজের বদলে তাহারা ভ-মিয়া-সোয়েকে অনেক হাজার টাকা দিবে। “কি কপাল নিয়েই মেয়েটা জন্মেছিল । সাহেবকে এম্নি বশই করেছিল যে পালিয়েও ফাকি দিতে পারল না।” জাহাজটি ধীরে ধীরে জেটা হইতে সরিয়া স্থার নীল জলের স্রোতে গা ভাসাইয়া দিল। তীরে মঙ-পে রেশমের লুীর উপর ব্লেজার কোট পরিস্থ গোলাপী রেশমের গাউণ্ড-বাউঙ বাধিয়া রেশমের রুমাল উড়াইয়া স্ত্রীকে ইসারা করিয়া বলিল, “শীঘ্র ফিরে এস কিন্তু।” ড-মিয়া-সোয়ে জাহাজের প্রথম শ্রেণীর প্রশস্ত ডেকে রেলিঙে ভর করিয়া দাড়াইয়া সজল নেত্রে আপন জন্মস্থান নিরাল দ্বীপটির সৌন্দৰ্য্যস্বধা পান করিতে করিতে চিরআকাঙ্ক্ষিত সমুদ্ৰ-যাত্রায় পাড়ি দিল। কিন্তু আজ সে একা—বড়ই এক ! তাহার জন্ম-মৃত্যুর সঙ্গীর প্রেম-বাহু যে আজ আর তাহাকে বেষ্টন করিয়া ধরিয়া অভয়বাণী শোনাইল না !