পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ আপাতদৃষ্টি \9ve్ఫ উল, গভীর হতাশা তাকে অস্থির করে তুললে।” কারণ তার চোখের সাম্নে সব সময়ই ভাসত নৌকার সেই মেয়েটির মুখ, মনে হ'ত মেন্থেটি যেন তার সামনে এসে নতজাকু হয়ে আছনয়পূর্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ক্রমে ক্রমে সে ছবি অদৃগু হয়ে যেত। মেয়েটির জবিরাম কাতরোক্তি সে সব সময়ই শুনতে পেত । ७ि वा ७३ कांउब्रक्षनि श्रृङ्ख्द्र वछ वक श्७ তখনই আবার সঙ্গে সঙ্গে তার করুণ মূৰ্ত্তি দেখা যেত। শেষে এমন হ’ল ষে তার চোখের সামনে সব সময়ই ভাসত বিবৰ্ণ, শীর্ণ মেয়েটির মান মুখচ্ছবি। বিশাল সবিস্ময় দুই চোখের দৃষ্টিতে সে তার দিকে তাকিয়ে থাকত । আজ সন্ধ্যায় সে নদীর ধারে বেড়াতে এসেছে। তার হাতে একটি ছড়ি, সেই ছড়িটা দিয়ে সে নদীতীরের নরম মাটির উপর একটির পর একটি ক্রুশ একে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে সে মাখা তুলে কি যেন শোনবার চেষ্টা করছে, তার পর আবার নত হয়ে কুশ আঁকছে। একটু বাদেই গীর্জার ঘন্টা বাজতে আরম্ভ করল। পরম সতর্কতার সঙ্গে সে শেষ ক্রুশটি আঁকল, ছড়িটা দূরে ফেলে দিল, তার পর নতজামু হয়ে বসে প্রার্থনা করতে লাগল। প্রার্থনা হয়ে গেলে সে ধীরে ধীরে নদীতে নেমে গেল। যখন বুক অবধি জল পৌঁছল তখন সে যুক্ত করে প্রণাম ক'রে সেই গভীর কালো জলের তলায় তলিয়ে গেল ; জলরাশি তাকে সাগ্রহে গ্রহণ করে নীচের দিকে ঠেলে নিয়ে গেল, তার পর আবার আগেকার মতই নিরানন্দ বিষ্ণভাবে গ্রামের পাশ দিয়ে, মাঠের ধার দিয়ে ফুলকুল করে প্রবাহিত হ’তে লাগল। নৌকাটা এবারে খুব কাছে এসে পড়েছে, আগের বছর স্বারা নৌকায় ছিল এবারেও তারাই রয়েছে। জাজকে তারা বিবাহোৎসব উপলক্ষ্যে এই নৌকাবিহারে বেরিয়েছে। বর বসেছে হাল ধরে জার বধু দাড়িয়ে আছে নৌকার মাঝখানে—তার মাথায় একটি লাল ওড়না আর গায়ে একটা ধূসর রঙের শাল। পালহীন মাস্তলের গায়ে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে সে মৃদ্ধস্বরে গান করছে। একবার সে সহাস্তে কর্ণধারের দিকে তাকাল, তার পর আকাশের দিকে চেয়ে আবার গান করতে লাগল। মাস্কলের গায়ে ভর দিয়ে ভাসমান মেষগুলির প্রতি তাকিয়ে যুদ্ধস্বরে সে গান করছে—আনন্দ-উৰেল, উদাসত্ত্বর স্বখের গান । e & • Jeus Peter Jacobson fifts “Two Worlds” at Rs *izञ्जग्न अभूमब्रवं । আপাত-দৃষ্টি stofocus Appearances wox" | শ্রীস্বরেন্দ্রনাথ মৈত্র সে দ্বর হয় নি তব মনের মতন ? এই স্থসজ্জিত কক্ষ এত মনোহর ? নিরানন্দ অন্ধকার রিক্ত অশোভন । হুর্বোজ্জল যেন সৰ্ব্ব মুখের আকর ! মনে হয়েছিল বুঝি ভিতরে তাহার ? মুখে তব প্রশংসা যে নাহি জার ধরে । আমি শুধু এই জানি, হৃদয়-স্থার তৰু মনে রেখো তুমি, মোরে এই ঘরে খুলেছিলে সেই ঘরে ; শপথ করিয়া শুনালে তোমার সেই নিদারুণ বাণী, সেই গৃহকোণে মোরে লইলে বরিয়া । এ প্রকোষ্ঠ জানে তাহ, আর আমি জানি । বারেক জিজ্ঞাসা করি" দেখিও সে স্বরে, গুধালে, স্বরম্য কক্ষ বলিবে তোমায় শুনিল সে বাণী তব কি পুলক ভরে । মুখোশ খসালে তুমি কেমনে হেথায় ।