পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ জাপান জমণ ·GONE জামরা ঘাটে নামতেই গাড়ীর দালাল এসে হাজির, শহর দেখাবে, গাড়ী ঠিক ক'রে দেবে। একটা ট্যালিকে দর-কলাকলি ক’রে নেওয়া গেল, সওয়া নয়ট থেকে পৌনে বারটা পৰ্য্যস্ত আড়াই ঘণ্টা আমাদের ঘোরাবে, ৫ ডলার নেবে। জানি না সত্যি ভাড়া এখানে কত। আমাদের সহযাত্রী হংকঙের ছাত্র সাহেবটি এবং কানেভিয়ান মহিলাটিও আমাদের দলে এলেন। অন্তদের গাড়ীতে আর তাদের স্থান হ'ল না ভালই হ’ল, আমাদের কিছু পয়সা বাঁচবে। বিনা পয়সায় পৃথিবীতে কোথাও চলা যায় না, কাজেই সৰ্ব্বত্রই সবার জাগে পয়সাকড়ির সদ্ধানে ছুটতে হয় টমাস কুকের জাপিসে। চিঠিপত্রও সেখানে কিছু পাবার আশা থাকে। সিঙ্গাপুরে তিন পাউণ্ডের চেক ভাঙিয়ে ২৫ ডলার ৪৭ সেন্ট পাওয়া গেল। সিঙ্গাপুরী ডলার আমেরিকান ডলারের মত অত মূল্যবান নয়, তবে টাকার চেয়ে দামী, ১u/ আনায় এক ডলার ধরা যেতে পারে যদি ৩ পাউণ্ডে ৩৯ টাকা হয়। আমাদের জাহাজের ফরাসী বালিকাটি রেশমী ফিতার ভয়ানক ভক্ত। আমার মেয়ের চেয়ে তার ফিতার সংখ্যা কিছু কম থাকাতে সে দুঃখিতও ছিল। কথা ছিল, এই কারণে তাকে কিছু ভাল রিবন উপহার দিতে হবে । অকস্মাৎ একটা উপরি ক্লারণও জুটে গেল। সিঙ্গাপুরে নামবার দিন দুই আগে অকস্মাৎ আমার একটা দামী সোনার ব্ৰোচ হারিয়ে গেল। প্রথমে আমাদের কেবিনবয়কে বললাম। সে ঘর তোলপাড় ক’রে খুজতে লাগল, পেল না। জাহাজের চাকরবাকররা চুরি করে কিনা জানি না, জামাদের মনে সন্দেহ আসে, কিন্তু বলতে ভরসা হয় না। যাই হোক, জিনিষটা ষে হারিয়েছে, তা স্থার্ডকে বললাম। সে যেন কিছুই হয় নি এমন মুখ ক'রে বললে, *আচ্ছা জামি একটা নোটিস টাঙিয়ে দিচ্ছি।” সহযাত্রী জাপানী ভদ্রলোক বললেন, “আপনার কোনই ভয় নেই, জাপানীরা অত্যন্ত অনেই, ষে পাবে সেই আপনাকে দিয়ে ধীৰে " তার কঙ্কা এবং আমার কড়া একটা হুজুগ পেলে বেঁচে বায়। দু-জনে ছুটে টর্চ স্থার্ডের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে হৈরের মত সারা জাহাৰে সুরমুর লাগিয়ে লি। ফরাসী*ौगिक चक्रवार शै९कब्र क'रब्र ऐं★ण, “८ठांबारबद्ध चाब्र भूजरठ शव न, जॉभि भूरज cश्रtब्रहि * चांभांब्र क्छ। বললেন, “সিঙ্গাপুরে নেমেই তোমাৰে পুরস্কার-স্বরূপ একটা জিনিষ কিনে দেওয়া হবে।” কাজেই আমরা দোকানে জিনিষ কিনতে ছুটলাম । এখানে দোকানেরও অভাব নেই, জিনিবেরও কমতি নেই, কিন্তু মনে করেছিলাম আমাদের ভারতীয় কিছু জিনিৰ কিম্ব, সেইটারই দেখলাম একান্ড অভাব। অনেক পাশী, গুজরাটী, সিদ্ধি, কচ্ছী সব মস্ত মস্ত দোকান সাজিয়েছে, রেশমে পশমে কাচে পাথরে ঝলমল করছে, অধিবাসীও ৫১,• • • ভারতীয় কিন্তু সমস্ত জিনিষই জাপানী কিংবা বিলাতী ও ফরাসী, অভাবপক্ষে চীন। একটা দোকানে শাড়ী-পরা মনুষ্যাকৃতি পুতুল দাড়িয়ে দেখে মনে করলাম নিশ্চম এখানে ভারতীয় শাড়ী আছে। ও হরি, সব জর্জেটের উপর ফরাসী পাড়-বসানো কাপড় । তখন ফুটপাথ ধরে চললাম, দেখি কোথাও কিছু পাওয়া যায়। ফুটপাথগুলির মাথার উপর আগাগোড়া ঢাকা । এক জায়গায় নগিন দাস' নামক এক ব্যক্তির দোকানে শিী স্বভার ১২ হাত সাদা মিলের শাড়ী খানকয়েক পাওয়া গেল। তিন খান শাড়ীর দাম ৭ ডলার অর্থাৎ ১১২ টাকা আন্দাজ । এই দোকানের পাড়ায় পা দিয়েই সৰ্ব্বপ্রথম মনে হয় আমরা বুঝি চীনদেশে এসেছি। প্রায় সব দোকানের সাইনবোর্ডই লম্বাভাবে কোলানো এবং চীনা অক্ষরে লেখা, আমাদের দেশের মত ইংরেজীতে লিখে আড়াআড়ি ভাবে টাঙানো নয়, অথচ দেশটা ইংরেজদের রাজ্য। মামুব ত চার ধারে প্রায় সবই চীনদেশীয়। এত চীনা দেখে দুঃখ হয় বটে, তবে একটু ভালও লাগে। পৃথিবীতে ইতিপূৰ্ব্বে খুব বেশী বেড়াই নি বলে প্রখম বার লম্বা পাড়ি দেবার সময় ইচ্ছা করে, নানা জায়গায় নানা নূতন জিনিষ দেখে চোখে একটু চমক লাগুক। কিন্তু এখন পৰ্য্যন্ত তা হয় নি বললেই চলে। বাস্তবিক আধুনিক যানবাহন ও শিক্ষার চোটে সমস্ত পৃথিবী এত এক রকম হয়ে গিয়েছে, ষে খুব নূতন দেখবার আশা কোথাও থাকে না যদি না সভ্যতার সীমানা ছাড়িয়ে ভিতর क्रिक हूं भांब्र शां★ । गङा शृषिरौ ७बर ठाब्र अखबारणब्र পৃথিবীতে বা নূতন আছে, তাও ছবির বই আর সিনেমার চোটে মানুষ অর্ধেকের বেশী দেখে নিয়েছে।