পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দামোদর ক্যান্যাল ঐমেঘনাদ সাহা, এফ. আর. এস, বৰ্দ্ধমান হইতে আবুল মনস্থর নামক এক জন মুসলমান ভদ্রলোক আমাকে দামোদর ক্যানাল সম্বন্ধে একখানি চিঠি লিথিয়াছেন। আমি মাঝে মাঝে বাংলার নদীনাল সম্বন্ধে fলখিয়া থাকি, বোধ হয় ভদ্রলোক সেই জন্য মনে করিয়াছেন যে আমি ইচ্ছা করিলে এই সম্বন্ধে কৃষকদিগকে সাহায্য করিতে পারি। ভদ্রলোক স্থানীয় অবস্থা সম্যক অবগত আছেন এবং কৃষকদের অভাব-অভিযোগ বিষয়ে অনেক খবর দিয়াছেন। র্তাহার চিঠিখানি প্রাণস্পশী এবং সাধারণের সমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার যোগ্য । বাংলার নদীনালা সম্বন্ধে আমি ১৯৩২ সন হইতে আন্দোলন আরম্ভ করি । তার পরে ‘সায়ান্স এও কালচার’ পত্রিকায় ডাঃ নলিনীকান্ত বম্ব ( পঞ্জাবের সেচ-বিভাগের রিসার্চ অফিসার ), শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র মজুমদার ( বঙ্গীয় সেচ-সমিতির সদস্ত ) প্রভৃতি অনেকেই বহু প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। আমাদের মূল বক্তব্য ছিল যে বাংলার নদীনালা দিয়া বৎসরে কত জলস্রোত প্রবাহিত হয়, দেশের উচ্চাবচত কিরূপ ইত্যাদি বিষয়ে গাৰ্ণমেণ্টের সেচ-বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের কোন ধারণা বা জ্ঞান নাই। কিরূপভাবে বর্তমানে খাল ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে কাটা হয়, তৎসম্বন্ধেও তাহাদের কোন सञान माझे । शङब्र१ि दह्वाग्ननांt°क ८कांन थॉल हेडriनि খননের পূৰ্ব্বে নদীবিজ্ঞান-সম্বন্ধীয় এক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠ, ७द९ नौtषोउ थtनtश्वब्र छऔ* श्eघ्ना ७कांख बांहनौञ्च । পূৰ্ব্বে ষে-সমস্ত খাল খনন হইয়াছে, তাহাতে এইরূপ ॐ*ाँशौ श्रवणश्डि मा श्Gब्रारङ वइ ८कांtी üांकांद्र अश्रदाग्न श्ब्रारळ् । * গবর্ণমেণ্ট আমাদের নদীবিজ্ঞান-সম্বন্ধীয় প্রস্তাব সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন আছেন। বাংলা দেশের নদী-নিয়ন্ত্রণ ও षीण-धंनह्नव्र छछ उँक्षिांद्रां गांथांब्र*ङ* श्रृंखांद झहे८ड दिलांउँौ ও পঞ্জাবী এঞ্জিনিয়ার আমদানী করেন। ইহারা পঞ্জাবের ব্যাপার জানেন। কিন্তু বাংলার নদীনালার সমস্ত সম্পূর্ণ পৃথক। পঞ্জাবের এঞ্জিনিয়াররা তাহা না বুঝিয়াই কাজ আরম্ভ করেন এবং সরকারের বন্ধ টাকা লোকসান করেন। আমি এরূপ দু-এক জন এঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম— আপনার নদীনালার গতিবিধি, জলপ্রবাহের দিক ও পরিমাণ এবং দেশের উচ্চাবচতা সম্বন্ধে সম্যক অবগত না হইয়া কাজ আরম্ভ করেন কেন ? তাহারা বলেন—আমরা কি করিব, মহাশয় । উপরওয়ালার তাগিদ লাগান যে কাজ দেখাইতে হইবে । মুতরাং যেন তেন প্রকারেণ কাজ করিতে श्च । ". আমরা সকলেই ইতিহাসে পড়িয়াছি যে মোহম্মদ তোগলক নামে এক পাগল বাদশাহ ছিলেন। তিনি চতুর্দশ শতাৰীতে নোট চালান, রাজধানী সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে অপসারণ ইত্যাদি অনেক কাজ করিবার চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। বাস্তবিক তিনি খুব বিধান ও উচ্চমনোবৃত্তিসম্পন্ন ছিলেন, কিন্তু কোন মতলব মাথায় আসিলে, সাধারণের উপর তাহার কি প্রতিক্রিয়া হইবে, অথবা বাস্তবিক তাহাকে কিরূপে কার্ধ্যে পরিণত করা হইবে, তৎসম্বন্ধে ভাবিবার তাহার অবসর ছিল ন গবর্ণমেণ্টের কাওকারখানা দেখিয়া আমার মনে হয় যে মোহম্মদ তোগলকের ভূত সকল সরকারী কৰ্ম্মচারীর মাথায়ই আশ্রয় করিয়া আছে । সেই ভূতে এখনও রোনাল্ডশে ড্রেজার, বৰ্দ্ধমান ড্রেজার, এণ্ডাসন ক্যানাল, বিজয় কাটু ইত্যাদি অপরূপ সমস্ত জিনিষ ভৈয়ারী করিতেছে । সমস্ত রাজকৰ্ম্মচারীই মনে করেন যে পাচ বৎসরে তিনি তাহার নাম চিরস্মরণীয় করি। যাইবেন । স্বতরাং বাংলা দেশের দুর্দশা ঘোচে না। কয়েক বৎসর ভাবিয়া-চিন্তিয়া কাজ করার কাহারও ধৈৰ্য্য নাই। যদি ব্যবস্থাপক-সভায় কেহ প্রস্তাব , জানেন