পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ অণরণ্যক ●ግግ শেষের দুই প্রকার জানোয়ার এ জঙ্গলে অত্যন্ত বেশী । আমি নিজে আর এক দিন জ্যোৎস্ন রাত্রে ঘোড়ায় করিয়া কুওীতে যাই শিকারের উদ্দেশুে-সঙ্গে তিন-চার জন সিপাহী ছিল- দু-তিনটি বন্দুকও ছিল। সে যা দৃশু দেখিয়াছিলাম সে রাত্রে-জীবনে ভুলিবার নয়। তাহা বুঝিতে হইলে কল্পনায় ছবি আঁকিয়া লইতে হইবে এক জনহীন জ্যোৎস্বাময়ী রাত্রি ও বিস্তীর্ণ বনপ্রাপ্তরের । আরও কল্পনা করিয়া লইতে হইবে সারা বনভূমি ব্যাপিয়া এক অস্তৃত নিস্তব্ধতার, অভিজ্ঞতা না থাকিলে যদিও সে নিস্তব্ধতা কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব । উষ্ণ বাতাস অৰ্দ্ধশুস্ক কাশডাটার গন্ধে নিবিড় হইয়া উঠিয়াছে, .লোকালয় হইতে বহু দূরে আসিয়াছি, দিকবিদিকের জ্ঞান হারাইয়া ফেলিয়াছি। কুওঁীতে প্রায় নিঃশব্দে জল খাইতেছে এক দিকে ছুটি নীলগাই, অন্ত দিকে দুটি হায়েনা, নীলগাই দুটি একবার হায়েনাদের দিকে চাহিতেছে, হায়েনারা একবার নীলগাই দুটির দিকে চাহিতেছে—আর দু-দলের মাঝখানে ছু-তিন মাস বয়সের একটি ছোট নীলগাইয়ের বাচ্চা । অমন করুণ দৃপ্ত কখনও দেখি নাই—দেখিয়া পিপাসাৰ্ত্ত বস্ত জম্ভদের নিরীহ শরীরে অতর্কিঞ্চে গুলি মারিবার প্রবৃত্তি হইল না। এদিকে বৈশাখণ্ড কাটিয়া গেল। কোথাও এক ফোট। জল নাই— আরও এক বিপদ দেখা দিল। এই স্ববিস্তীর্ণ বনপ্রাপ্তরের মাঝে মাঝে লোকে দিক-দিশা হারাইয়া আগেও পথ ভুলিয়া যাইত—এখন এই সব পথহার। পখিকদের জলাভাবে প্রাণ হারাইবার সমূহ আশঙ্কা দাড়াইল, কারণ ফুলকিয় বইহার হইতে গ্র্যান্ট সাহেবের বটগাছ পৰ্য্যস্ত বিশাল তৃণভূমির মধ্যে কোথাও এক বিন্দু জল নাই। এক-আধটা শুষ্কপ্রায় কুণ্ডী যেখানে আছে, অনভিজ্ঞ দিকৃত্ৰাপ্ত পখিকের পক্ষে সে সব খুজিয়া পাওয়া সহজ নয়। এক দিনের ঘটনা বলি । সেদিন বেলা চারটার সময় অভ্যস্ত গরমে কাজে মন বসাইতে না পারিয়া একখানা কি বই পড়িতেছি, এমন সময় রামবিরিজ সিং জাসিয়া এভেলা করিল, কাছারির পশ্চিম দিকে উচু ভাঙার ওপরে একজন কে অদ্ভুত ধরণের পাগলা লোক দেখা যাইতেছে—সে হাত পা নাড়িয়া দূর হইতে কি যেন বলিতেছে। বাহিরে গিয়া দেখিলাম সত্যিই দূরের ভাঙাটার উপরে কে একজন দাড়াইয়া—মনে হইল মাতালের মত টঙ্গিতে টলিতে এদিকেই আসিতেছে । काझांद्रिशक ८लांक छज्र श्हेंञ्च ८णभिरक ई! कबिब्रl 5ाश्ब्रिाँ चारछ cमथिञ्च चाभि झ-बन निश्रीशै श्राzादेञ्च निलाभ লোকটাকে এখানে আনিতে । লোকটাকে যখন আনা হইল দেখিলাম তাহার গায়ে কোনো জামা নাই—পরনে মাত্র একখানা ফসর্ণ ধূতি, চেহারা ভাল, রং গৌরবর্ণ। কিন্তু তাহার মুখের আকৃতি অতি ভীষণ, গালের দুই কশ বাহিয়া ফেনা বাহির হইতেছে, চোখ দুটি জর্বাস্থলের মত লাল, চোখে উন্মাদের মত দৃষ্টি । আমার ঘরের দাওয়ায় একটা বালতিতে জল ছিল—তাই দেখিয়া সে পাগলের মত ছুটিয়া বালতির দিকে গেল। মুনেশ্বর সিং চাকলাদার ব্যাপারটা বুৰিয়া তাড়াতাড়ি বালতি সরাইয়া লইল । তাহার পর তাহাকে বসাইয়া ইা করাইয়া দেখা গেল জিভ ফুলিয়া বীভৎস ব্যাপার হইয়াছে। অতি কষ্টে জিভটা মুখের এক পাশে সরাইয়া একটু একটু করিয়া তার মুখে জল দিতে দিতে আৰু ঘটা পরে লোকটু কথঞ্চিৎ স্বস্থ হইল। কাছারিতে লেবু ছিল, লেবুর রস ও গরম জল এক মাস তাহাকে খাইতে দিলাম। ক্রমে ঘণ্টাখানেক পরে সে সম্পূর্ণ মুম্ব হইয়া উঠিল। গুনিলাম তার বাড়ী পাটনা । গালার চাষ করিবার উদ্দেশে সে এ-অঞ্চলে কুলের জঙ্গলের অনুসন্ধান করিতে পূর্ণিয়া হইতে রওনা হইয়াছে আজ দুই দিন পূর্বে। তার পর কাল দুপুরের সময় আমাদের মহালে ঢুকিয়াছে, এবং একটু পরে দিকৃত্ৰাস্ত হইয়া পড়িয়াছে, কারণ এরকম একঘেয়ে একই ধরণের গাছে-ভরা জঙ্গলে দিক্ ভূল করা খুব সোজ, বিশেষতঃ বিদেশী লোকের পক্ষে। কালকার ভীষণ উত্তাপে ও গরম পশ্চিমে বাতাসের দমকার মধ্যে সারা দুপুর, সারা বৈকাল ঘুরিয়াছে—কোথাও এক ফোটা জল পায় নাই, একটা মামুষের সঙ্গে দেখা হয় নাই-রাত্রে অবসন্ন অবস্থায় এক গাছের তলায় গুইয়া ছিল—আজ সকাল হইতে আবার দ্বোরা স্বক করিয়াছে—মাথা ঠাণ্ড রাখিলে সুধা দেখিয়া দিক নির্ণয় করা হয়তো তার পক্ষে খুব কঠিন হটুত না-অন্ততঃ পূর্ণিায়ও ফিরিয়া যাইতে পারিত—কিন্তু ভয়ে দিশাহার হইয়া একবার এদিক একবার ওদিক দুটাছুটি করিয়াছে জাঙ্গ সারা ছুপুর,