পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, বৈবাহিক বৈচিত্ৰ্য \9* বেলা তখন পাচটা । মুখুঙ্গে-মহাশয় বলিলেন, "চক্রবর্তী-মশাই, আমি একটু বেরুতে চাই—বহুকাল পরে কলকাতা এসেছি, দু-এক জন বন্ধুর সঙ্গে দেখা না করে যাওয়াটা ভাল দেখায় না।” চক্ৰবৰ্ত্তী-মহাশয় বলিলেন, “হ্যা, ই্য, স্বচ্ছন্দে– আপনি স্বচ্ছন্দে দেখা করে আম্বন। আর দেখুন, ঐ সঙ্গে আমিও একটু ঘুরে আসি না ? চলুন আমাদের গাড়ীতে একসঙ্গেই বেরুন যাক, চৌরঙ্গীতে আমার একটু কাজ আছে ।” “না না, তা হ’লে আর একসঙ্গে গিয়ে কাজ নেই— আপনার অসুবিধা হবে, আমি বরঞ্চ ট্রামেই যাচ্ছি।”— মুখুজে-মহাশয় ব্যস্তভাবে কথাগুলি উচ্চারণ করিলেন । কিন্তু চক্রবর্তী-মহাশয় ছাড়িলেন না, উভয়ে একসঙ্গেই বাহির হইলেন। মুখুজে-মহাশয়ের নির্দেশে গাড়ী ভবানীপুর অভিমুখে চলিল। ভবানীপুরের একটা রাস্তায় কিছুক্ষণ ঘুরিয়া একটা বাড়ীর সম্মুখে গাড়ী থামাইতে বলিয়া মুখুঙ্গে-মহাশয় সেখানে নামিল্লেম্ব এবং বলিলেন, “আমি ঘণ্টা দুই পরেই ফিরছি।” চক্ৰবৰ্ত্তী-মহাশয় বলিলেন, “দেখবেন, দেরি করবেন না যেন, আমাদের আলোচনা ঢের বাকী আছে।” গাড়ী চলিয়া গেল, মুখুজে-মহাশয় ছুটন্ত গাড়ীর দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়া রহিলেন, এবং গাড়ী অদৃগু হইবামাত্র দ্রুত পদচালনা করিয়া রসা রোডে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। যে-বাড়ীর সম্মুখে গাড়ী খামিয়াছিল সে-বাড়ীর সঙ্গে তাহার যে কোনও সম্পর্ক ছিল সেরূপ বোধ হইল না। সেদিন সন্ধ্যা ছয়টায় চৌরঙ্গীর একটা রেষ্টব্যান্টে পাশাপাশি ছুইটি পর্দ-ঢাকা কুঠরিতে বসিয়া দুই জন ভদ্রলোক মনের জানন্দে রোষ্ট-চিকেন এবং অন্তান্ত নানারূপ মাংসের রান্না উপভোগ করিতেছিলেন এবং মাঝে মাঝে ‘বয়’ ‘বয়' বলিয়া হাকিতেছিলেন। কুঠরি দুইটির একটির নম্বর তিন, অপরটির চার। মাঝখানে মানুষ-সমান উচু পার্টিশন । 够 ७३ फूहे उजरणांक अङाख भांश्नथिञ्च, ७द९ शूरश् थांब्र প্রত্যহ মাংস খাইয়া থাকেন। শুধু তাহাই নহে, পথেঘাটে যখন যেখানে সুযোগ পান সেইখানেই লোভে পড়িয়া মাংসের স্বাদ গ্রহণ করেন। গৃহের রান্নার একঘেয়ে স্বাদ হইতে দূরে থাকিয়া মাঝে মাঝে ইহার এই ভাবে রসনাকে তৃপ্ত করেন। তিন নম্বর প্রথম উৎসাহে যতটা পারেন দ্রুত উদরন্থ করিয়া ধীরে ধীরে এক খও অস্থি চৰ্ব্বণ করিতেছিলেন, এমন সময় চার নম্বরের কণ্ঠস্বরে তাহার মন সচকিত হইয়া উঠিল । মনে হইল এ কণ্ঠস্বর যেন পরিচিত, কিন্তু কোথায়, কবে গুনিয়াছেন তাহা মনে পড়িল না। তিনি কৌতুহলবশবর্তী হইয়া মনে করিলেন ভদ্রলোককে একবার দেখা প্রয়োজন । তিনি হঠাৎ ঐখানেই আহার সমাপ্ত করিয়া ‘বিল দিবার জন্ত বয়কে ডাকিলেন। এই কণ্ঠস্বর এইবার চার নম্বরের ভদ্রলোকের কানে প্রবেশ করিয়া তাহাকে উতলা করিয়া তুলিল। তিনি সহসা আহার বন্ধ করিলেন। কার কণ্ঠস্বর ? অতিপরিচিত অথচ কিছুতেই মনে পড়ে না ! যুগল ভদ্রলোকের যুগপৎ কৌতুহল, অথচ কৌতুহল মিটাইবার উপায় মাত্র একটি। পার্টিশনের উপর জিয়ী লুকাইয়া দেখা ছাড়া উপায় নাই। দরজা ছিঢোকা अनवउ, अश्यांन बनि छूल श्ञ ! श्रउब्रां९८क़ब्रांरब्र मैफ़िॉहेबां একটু দেখিয়া লইলেই সন্দেহের অবসান ঘটিবে। তিন নম্বর চেয়ারে দাড়াইয়া অতি সস্তপণে পার্টিশনের উপর মাথা বাহির করিলেন। ঠিক সেই সময়ে চার নম্বরও চেয়ারে দাড়াইয়া ধীরে ধীরে পার্টিশনের উপর মাখা বাহির করিলেন। দুই মাথা নাকে নাকে ঠেকিয়া গেল। চার নম্বর ভীতিজনক শব্দ করিয়া চেয়ার উন্টাইয়া পড়িলেন । তিন নম্বর কঁাপিতে কঁাপিতে বসিয়া পড়িলেন। ম্যানেজার অকারণ ভয় পাইয়া উভয় ঘরেই তাড়াতাড়ি বিল পাঠাইয়া দিলেন। বিলের পাওনা মিটাইয়া মূখুজেभशंभम्र e sखङ्गदउँौं-भशंभग्न छूझे कू%ब्रि श्रङ निष्ठांख झ्झेब्र নীরবে পথে আসিয়া দাড়াইলেন । চক্রবর্তী-মহাশয়ের গাড়ী একটু দূরে ছিল, তিনি সেই দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন ; মুখুজে-মহাশয় মন্ত্ৰমুগ্ধবৎ তাহাকে অনুসরণ করিলেন এবং গাড়ীর ভিতরে নীরবে তাহার পাশে গিয়া বসিলেন। উভয়েরই হাতে এবং মুখে তখনও মাংসের ঝোল লাগিয়৷ রহিয়াছে।