পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ ठूयात्रtश्रद्ध छे°मौङ श्लाभ । मनौब ५वल एमछि एश्व झझेtङ যুম্নতর হইয়। এ পর্য্যস্ত আসিভেছিল, কল্লোলিনীর মৃদুগীতি এত দিন কর্ণে ধ্বনিত হইতেছিল । সহসা ষেন কোন ঐন্দ্রঞ্জালিকের মন্ত্র-প্রভাবে সে গীত নীরব হইল, নদীর তরল নীর অকস্মাং কঠিন নিস্তব্ধ তুষারে পরিণত হইল । ক্রমে দেখিলাম, স্থানে স্থানে প্রকাও উৰ্ম্মিমালা প্রস্তরীভূত হইয়া বুহিয়াছে। যেন ক্রীড়াশীল চঞ্চল তরঙ্গগুলিকে কে 'তিষ্ঠ" বলিয়া আচল করিয়া রাখিয়াছে। কোন মঠশিল্পী বেন সমগ্ৰ বিশ্বের স্ফটিক খনি নি:শেষ করিয়া এই বিশালক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ সমুদ্রের মূৰ্ত্তি রচনা করিয়া গিয়াছেন। দুষ্ট দিকে উচ্চ পৰ্ব্বতশ্রেণী ; বহু-দূর-প্রসারিত সেই পৰ্ব্বতের পাদমূল হইতে উত্তঙ্গ ভৃগুদেশ পৰ্য্যন্ত অগণ্য উন্নত বৃক্ষ নিরস্তর পুপবুষ্ট করিয়েছে । শিথর-তুষার-নিঃস্থত জলধারা বঙ্কিম গতিতে নিম্নস্থ উপত্যকায় পতিত হইতেছে । সম্মুখে নন্দাদেবী ও ত্ৰিশূল* এখন আর স্পষ্ট দেখা যাইতেছে না । মধ্যে ঘন কুজ কটক ; এই যবনিকা অতিক্রম কৰিলেই দৃষ্টি অবারিত হইবে। তুষার-নদীর উপর দিয়া উৰ্দ্ধে আরোহণ করিতে লাগিলাম । এই নদী ধবলগিরির উচ্চতম শৃঙ্গ হইতে আসিতেছে । আদিবার সময় পৰ্ব্ব তদেহ ভগ্ন করিমু প্রস্তরস্তুপ বহন করিয়া আনিতেছে। সেট প্রস্তবস্তুপ ষ্ট তস্তত: বিক্ষিপ্ত রঙ্গিয়াছে। অতি হুরারোহ স্ত,প ইষ্টতে স্ত,পান্তরে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। যত উদ্ধে উঠতেছি, বাস্তুর ততই ক্ষীণতর হইতেছে ; সেট ক্ষীণবায়ু দেবধূপের সৌরভে পরিপূর্ণ। ক্রমে শ্বাস প্রশ্বাস কষ্টসাধ্য হইয়া উঠিল, শরীর অবসন্ন ষ্টয়া আসিল ; অবশেষে স্থতচেতনপ্রায় হইয়ু নন্দাদেবীর পদতলে পতিত হইলাম । সঙ্গস শত শত শঙ্খনাদ কর্ণরন্ধে, প্রবেশ কৰিল। অৰ্দ্ধোশ্মীলিত নিয়ে দেখিলাম, সমস্ত পৰ্ব্বত ও বনস্থলীতে পূজার আয়োজন ইয়াছে । জলপ্রপাতগুলি যেন সুবৃহৎ কমণ্ডলুমুখ হইতে পতিত স্টাইছে ; সেই সঙ্গে পারিজাত বৃক্ষসকল স্বতঃ পুষ্প বর্ষণ করিতেছে। দূরে দিক্ আলোড়ন করিয়া শঙ্খধ্বনির স্বায়ু গম্ভীর ধ্বনি উঠতেছে। ইহা শঙ্খধ্বনি কি পতনশীল তুষারপৰ্ব্বতের বজনিনাদ, স্থির করিতে পারিলাম না । কতক্ষণ পরে সম্মুখে ঘাহা দেখিলাম, তাহাতে হৃদয় উচ্ছসিত দেহ পুলকিত হইয়া উঠিল। এতক্ষণ যে কুষ্কটিকা নন্দাদেবী ও প্রিল আচ্ছন্ন করিয়াছিল, তাহা উদ্ধে উত্থিত হইয়া শূন্তমাৰ্গ আশ্রয়

  • কুমায়ুনের উত্তরে দুই তুষার-শিখর দেখা যায়। একটির গন নদাদেবী, অপরটি ত্রিশূল নামে খ্যাত ।

ফুৰায়ক্ষেত্ৰজাত এক প্রকার সুগন্ধ গুল্মবিশেষ । ն ԳաֆԳ বিবিধ প্রসঙ্গ—জগদীশ চন্দ্র ও সুকুমার শিল্প $3\2){ করিয়াছে । নন্দাদেবীর শিরোপরি এক অতি বৃহৎ ভাস্বর জ্যোতিঃ লিরাজ করিতেছে ; তাই একাস্ত হুনিরীক্ষ্য । সেই জ্যোতিঃপুঞ্জ হইতে নির্গত ধূমরাশি দিগ দিগন্ত ব্যাপিয়া ব্লচিয়াছে। তবে এই কি মহাদেবের জটা ? এই জটা পৃথিবীরূপিণী নন্দাদেবীকে চন্দ্ৰতিপের স্থায় আবরণ করিয়া রাথিয়াছে । এই জটা হইতে হীরক কণার তুল্য তুষারকণাগুলি নন্দাদেবীর মস্তকে উজ্জ্বল মুকুট পরাইয়া দিয়াছে। এই কঠিন হীরককণাই ত্রিশূলার শাণিত করিতেছে । শিব ও রুদ্র । রক্ষক ও সংস্কারক । এখন ইহার অর্থ বুঝিতে পারিলাম । মানসচক্ষে উংস হইতে বারিকণার সাগরোদেশে যাত্র ও পুনরায় উৎসে প্রত্যাবর্তন স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম। এই মহাচক্ৰ প্রবাহিত স্রোতে স্বষ্টি ও প্রলয়ের রূপ পরস্পরের পার্শ্বে স্থাপিত দেখিলাম । জগদীশ চন্দ্র ও স্বকুমার শিল্প আগে বলিয়াছি, জগদীশ চন্দ্র যদি বৈজ্ঞানিক না হইয়া সাহিত্যস্থষ্টিতে মন দিতেন, তাহা হইলে বড় সাহিত্যিক হইতে পারিতেন । কবি-প্রতিভার অনুরূপ প্রতিভা তাহার ছিল । তিনি বৈজ্ঞানিক না হইয়া মুকুমার শিল্পের, ললিতকলার, অত্বশীলন করিলে, তাহাতেও কৃতী হইতে পারিতেন । বস্থবিজ্ঞানমন্দির, তাহার উদ্যান ও অন্যান্য অংশের পরিকল্পনায় তাহার শিল্পপ্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। বস্থ-বিজ্ঞানমন্দিরের প্রাচীরের গাত্রের চিত্র অঙ্কের অঙ্কিত, কিন্তু পরিকল্পনা তাহার। র্তাহার বাড়ীর বৈঠকখানায় প্রাচীরগাত্রে এবং ছাদের ভিতর পিঠের উপর অঙ্কিত ছবিগুলি অন্তের আঁক । কিন্তু কি আঁকিতে হুইবে, তাহ! তিনি বলিমু দিয়াছিলেন। একটি প্রাচীরের গাত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “মাতৃমূৰ্ত্তি" অঙ্কিত আছে। কথিত আছে, ম্যাক্সিম-কামান ও নানাবিধ আকাশযানের উদ্ভাবক বিখ্যাত যন্ত্রনির্ধাঙা সৰু হাঁর্যাম ম্যাদিম জগদীশ চন্দ্রের নানা স্বক্ষ যন্ত্রের কথা শুনিয় তাহার হাতখানি দেখিতে চান। তাহা দেখিয়া ও নাড়িয়া-চাড়িয়া বলেন, এরূপ স্বৰ্ম্ম অনুভবশক্তিসম্পন্ন হাত কেবল হিন্দুরই হইতে পারে। ষে প্রতিভা ও সূক্ষ্ম স্পর্শগুক্তি র্তাহাকে বিস্ময়কর নানা ধৰ্ম্ম-উদ্ভাবনে সমর্থ করিয়াছিল, তাহা তাহাৰে চাক