পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ বিবিধ প্রসঙ্গ—শাভিপুর সাহিত্য-পরিষদের বার্ষিক সভা ডাক্তার শ্ৰীমুরেন্দ্রনাথ সেন-সভাপতি, প্রবাসী বঙ্গ-সাহিত্য সম্মেলনের স্থায়ী সমিতি ইহার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখিয়া সম্বৎসর কাজ করিবার নিমিত্ত একটি কর্মীটি নিয়োগের বিষয় সম্মেলন বিবেচনা করিতে পারেন। ইহা একাস্ত কৰ্ত্তব্য মনে করি । বঙ্গের বাহিরে সকল প্রদেশে, বজেও, নানা পরিবর্তন ঘটতেছে। এই সকল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামাজিক ও শৈক্ষিক "কি কি পরিবর্জন করিলে আমরা টিকিয়া থাকিতে পারিব, শুধু টিকিয়া থাকিতে পারিব এমন নহে, অধিকন্তু সমাজের কল্যাণ করিতে পারিব, তাহা বিশেষ ভাবে চিস্তিতব্য। এ বিষয়ে আচাৰ্য্য রায় মহাশয়ের উপদেশ ও পরামর্শের ষে কত বেশী, তাহা বলা অনাবশুক। তিনি একাধারে শিক্ষা, পণ্যশিল্প ও ব্যবসাবাণিজ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, এবং মানবসেবাত্ৰত । একটি বিষয়ে আমাদের সাবধান থাকা কৰ্ত্তব্য । বঙ্গের বাহিরে বাঙালীদের অবস্থার অবনতির জন্ত অপর কাহাকেও দোষ দিয়া কোন লাচ্চ নাই। আত্মপরীক্ষা ও স্বাবলম্বনে অধিকতর মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রবাসী বাঙালীদের পরম্পর সহযোগিতা একান্ত অবিশুক ও বাঞ্ছনীয়। বঙ্গের ও বঙ্গের বাঙালীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পণ্যশিল্পে অধিক মনোযোগী হওয়া আবগুক, ইহা আমরা বরাবরই বলিয়া আসিতেছি। এ বিষয়ে প্রত্যেক বাঙালীর অন্ত বাঙালীর সহায় হওয়া উচিত। 籌 এবার আমরা প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনে উপস্থিত হইতে পারিব না। রেজুনে নিখিল রক্ষ-প্রবাসী বজাঁর 883 সাহিত্য-সম্মেলনের অধিবেশনে যাইতে হইবে। পাটনায় যে-সকল মহিলা ও তন্ত্র ব্যক্তি সমবেত হইবেন, তাহাদিগকে সাদর নমস্কার করিয়া তাহাদের উদ্যোগের সাফল্য কামনা করিতেছি। শান্তিপুর সাহিত্য-পরিষদের বার্ষিক সভা শাস্তিপুরের সাহিত্য-পরিষদের বার্ষিক সভার অধিবেশন উপলক্ষ্যে গত মাসে শাস্তিপুর গিয়াছিলাম। এই প্রসিদ্ধ স্থানটিকে এখানকার অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি গ্রাম বলিয়া থাকেন। কিন্তু বস্তুতঃ ইহা একটি ছোট শহর। এখানে ছেলেমেয়েদের এ শিক্ষার জন্ত কয়েকটি বিদ্যালয় আছে, সাধারণ লাইব্রেরি ও পাঠাগার আছে, তদ্ভিন্ন সাহিত্যপরিষদের লাইব্রেরি ও পাঠাগার আছে, এবং সিনেমাও আছে। টাউনহল আছে। এখানকার ব্রাহ্মসমাজ ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। মন্দিরটি পুরাতন। এখানে এক দিন প্রাতে উপাসনা করিয়াছিলাম। শান্তিপুর ষে মধ্যযুগে অদ্বৈত আচার্ধ্যের জন্মস্থান ও সাধনার ক্ষেত্র ছিল তাহা বঙ্গে স্ববিদিত। এই কারণে ইহা এখনও বৈষ্ণবদিগের একটি তীর্থস্থান। আধুনিক কালে ইহা ভক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর ও সাধু অঘোরনাথের জন্মস্থান বলিয়া পরিচিত। বিজয়কৃষ্ণ ষে ঘরটিতে লোকজনের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতেন, কেবল সেই ঘরটি আছে, র্তাহাজের বাড়ীর অন্ত সকল অংশ ভাঙিয়া পড়িয়াছে । শান্তিপুর সব অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান। কিন্তু এখন তাহাজের বংশের কেহ সেখানে থাকেন না । আমি সাহিত্য-পরিষদের বাধিক উৎসব উপলক্ষ্যে শান্তিপুর গিয়া পরিষদ সম্বন্ধে যাহা দেখিলাম, শুনিলাম, তাহাতে প্রীত ও উৎসাহিত হইয়াছি। মফঃসলে সাহিত্যপরিষদের নিজের বাড়ী অল্প জায়গাতেই আছে । শাস্তিপুরেও এখনও নাই বটে, কিন্তু তাহার কৰ্ম্মীরা একটি প্রশস্ত জায়গা কিনিয়াছেন এবং পাকা বাড়ী নিৰ্মাণ করাইবার নিমিত্ত টাকা তুলিতেছেন। শাস্তিপুরের কৃতী সস্তানেরা ধিনি যেখানেই থাকুন, এই কাজটির জন্ত তাহাদের মুক্তহস্ত হওয়া উচিত। পরিষদের বার্ষিক সভার অধিবেশন দু-দিন হইয়াছিল। প্রথম দিন গোড়া হইতেই খুব লোকসমাগম হইয়াছিল। দ্বিতীয় দিনও শেষ পৰ্যন্ত খুব লোক হইয়াছিল। সাহিত্যসম্মেলনের সভাপতি শ্ৰীযুক্ত বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত অভিভাষণ, ও অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি প্রযুক্ত রামপদ মুখোপাধ্যায়ের অভিভাষণ উৎকৃষ্ট হইয়াছিল। মফসলের অনেক জায়গায় সাহিত্য-সভায় প্রবন্ধপাঠ ও कविज्री श्रृंॉ* बां यांवृद्धि 'cयङ्कडि चब्रवब्रह्कब्राहे कब्रिब्रां