পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواR¢ প্রবাসী Soests

আরণ্য স্রোতস্বিনীতে ৰাধ দিয়ে স্বরম্য হ্রদ প্রস্তুত হয়েছে তা প্রমবিমুখ, শিক্ষিত যুবকদের সম্পূর্ণ উপযোগী। ট্র্যাক্টর দ্বারা চাষ করতে হ’লে অবশু গোড়ায় মূলধন প্রচুর থাকা চাই, এবং বিস্তীর্ণ জমির প্রয়োজন হয়, কিন্তু এ দুটি বাধা অনতিক্রমণীয় নয়। ধৌথভাবে কৃষিব্যবসা আরম্ভ করলে অর্থের অনটন হবে না । তাছাড়া সরকারী ও বেসরকারী সাহায্য ষাতে কৰ্ম্মী যুবকেরা পায় সে-ব্যবস্থা করাও দুঃসাধ্য त्रं । কাৰ্য্যতঃ ট্র্যাক্টর দ্বার চাষ কিরূপ ফলপ্রদ হতে পারে সে-সম্বন্ধে চক্ষুষ অভিজ্ঞতা লাভের স্বযোগ আমি সম্প্রতি পেয়েছিলাম। মানভূম জেলার একটি অপ্রসিদ্ধ গ্রামে এক প্রবাসী ও সম্রাস্তবংশীয় বাঙালী যুবক কি অসাধারণ নিষ্ঠ, অধ্যবসায় ও সাহসের সহিত ট্র্যাক্টর সাহায্যে কৃষিকাৰ্য্য চালাচ্ছেন তার প্রতি বাঙালী বেকার যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই আমার উদ্বেগু । পুরুলিয়া থেকে প্রায় মাইল-চল্লিশ দুরে হরিহরপুর একটি ছোট অথচ স্থদ্বগু গ্রাম। গ্রামটির জমিদার বাঙালী । এর নাম ঐরাখালমোহন বন্ধ্যোপাধ্যায়। ইনি পূৰ্ব্বে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন, এখন অবসর গ্রহণ করেছেন । পৈতৃক জমিদারী ইনি নিজের প্রতিভাবলে বহু গুণ বাড়িয়েছেন। নিজে যদিও তিনি উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী ছিলেন, তবু স্বকীয় জমিতে কৃষিব্যবসা করবার সখ তার চিরকালই ছিল। তাই তার কনিষ্ঠ পুত্র, ঐ মমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এঞ্জিনিয়ারীং শিক্ষা সমাপ্ত করলেন, তখন তাকে তিনি 5ोकब्रि धक्ष्५ कब्ररउ न रिव्र वुटिभ कृषिकार्द, कन्नएउ উৎসাহিত করেন। পিতার স্বপ্ন পুত্রের ঐকাস্তিক চেষ্টায় আজ বাঞ্চবে পরিণত হয়েছে । - অমিয়বাবু গোড় থেকেই জেনেছিলেন যে সেকেলে লাজল দিয়ে চাষ করা পণ্ডশ্রম মাত্র । অন্যান্ত দেশে কি ভাবে মোটর ট্র্যাক্টর দ্বারা চাষ চলছে সে-সম্বন্ধে তিনি অনেক অনুসন্ধান ক’রে একটি মোটর ট্র্যাক্টর ও অপরাপর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় করেন। নিজে এঞ্জিনিয়ার ব'লে তিনি সহজে ট্র্যাক্টর চালানো ও মেরামত করা শেখেন। হরিহরপুরের অধিবাসী সাধারণতঃ সাওতালজাতীয় ও অত্যন্ত দরিদ্র । অল্প মজুরী বা ধান পেলেই তারা আনন্দে সমস্ত দিন কাজ করে । তাদের সাহায্যে অমিয়বাবু জঙ্গল কেটে ও ছোট ছোট জোতঞ্জমি সম্মিলিত ক’রে বিস্তৃত চাষযোগ্য এক ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন। অতঃপর ট্র্যাক্টর স্বারা চাষ করা সহজ হ’ল । তার জমিতে এপন বিবিধ শস্ত, আখ এবং লাক্ষ উৎপন্ন হয়, এবং শুনলাম লাভের অঙ্কও কম নয়, যদিও অমিয়ুবাবু বললেন যে কাচা মালের দাম আজকাল অত্যস্ত কম । বল বাহুল্য, উপযুক্ত দাম পেলে ও উৎপন্ন শস্তের চাহিদা বাড়লে লাভ ষে বহুল পরিমাণে বৰ্দ্ধিত হবে তাও তিনি বলেছিলেন । এ-কথা জেনে আনন্দ ও গৰ্ব্ব হয়েছিল যে এদেশে অমিয়ুবাবুই বোধ হয় এক মাত্র শিক্ষিত জমিদার—যিনি নিজের হাতে ট্র্যাক্টর দ্বারা বৃহৎ কৃষিপ্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। দেশের জমিদার-বংশীয় যুবকেরা যদি তার দৃষ্টান্ত অমুকরণ করেন তাহ’লে দেশের ও দশের মঙ্গল হয়, তাদের জমিদারীর উন্নতিও সেই সঙ্গে সহজ হয়। যাই হোক, এক বাঙালী যুবক ষে-কৃষির দ্বারা বেকার-সমস্ত সমাধানের উপায় হাতে কলমে ক’রে দেখাচ্ছেন তা প্রত্যেক শিক্ষিত বাঙালীর জানা উচিত। মানভূম জেলার অস্তর্দেশে অবস্থিত বলে হরিহরপুর চমৎকার স্বাস্থ্যকর জায়গা । পুরুলিয়া থেকে মোটরে যেতে প্রায় ঘণ্টা-দুই লাগে । ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তা পাকা ৪ স্বন্দর। এখানে বলা উচিত ধে অমিয়বাৰু স্থানীয় ডিষ্ট্রির বোর্ডের অন্যতম নিৰ্ব্বাচিত সভ্য । বাংলার বাইরে বাঙালী যুবকের পক্ষে এরূপ সম্মানলাভ প্রকৃতপক্ষে কৃতিগ্ৰস্থচক ।