পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éశ్రీఫి প্রবাসী SN288 এই ষোগের সঙ্গে জারও একটি তত্বের অতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে, তাহা সাংখ্য । সাংখ্যের ভিত্তি যোগের অমৃদ্ধৃতির উপর। মহৎ, অহঙ্কার, ইন্দ্রিয় এবং তন্মাত্রের সত্তা যোগজ প্রত্যক্ষ হইতে জানা যায় এবং সৎকাৰ্য্যবাদ প্রভৃতি কয়েকটি বিশিষ্ট সাংখ্যমত যদিও অনুমানের স্বারা প্রতিষ্ঠাপিত হইয়াছে, তাহাদের বাস্তব মূল কিন্তু যোগজ অম্লভূতি । মনে রাখিতে হইবে যে পতঞ্জলির যোগসূত্র সাংখ্যপ্রবচনস্বত্র নামে খ্যাত । এই সাংখ্যমত পরবর্তী কালের উপনিষদে এবং মহাভারত প্রভৃতি স্মৃতিগ্রন্থে কিছু কিছু লওয়া হইয়াছে তাহা পণ্ডিতেরা জানেন । কিন্তু খাটি নিরীশ্বরবাদী সাংখ্য যে অবৈদিক, তাহা বেদান্ত সাহিত্য হইতে আমরা স্পষ্টই জানিতে পারি ব্ৰহ্মস্থত্র-কৰ্ত্তা বাদরায়ণ প্রথম চার অধিকরণে বলিলেন, "জগতের স্রষ্ট ব্রহ্ম, এবং উপনিষদের সমন্বয় করিলে এই কথাষ্ট পাওয়া যায়।” তাহার পরই পঞ্চম অধিকরণে এক আপত্তি উঠিতেছে। সাংখ্যবাদী বলিতেছেন, “কেন, ছান্দোগ্য উপনিষদের ষষ্ঠ প্রপাঠকে যখন বলা হইয়াছে যে সমস্ত জগৎ জল, অগ্নি এবং অল্প এই তিন তত্বের মিশ্রণে উদ্ভূত, তখন কি সাংখ্যের ত্রিগুণাত্মিক হুষ্টির সমর্থন হইতেছে ন! ?” সিদ্ধান্তী তাহাতে এই উত্তর দিতেছেন ধে “উপনিষদের ঐ স্থলে চৈতন্যগুণযুক্ত পুরুষকেই মূল কারণ বলা হইয়াছে, সাংখ্যের ন্যায় অচেতন প্রধান বা প্রকৃতিকে নহে—‘ঈক্ষত্তেনাশব্দম'- অতএব প্রধান কারণবাদ উপনিষদে সমধিত হইল না।” - এস্থলে প্রধান কারণবাদের জল্প “অশবা” ( অর্থাৎ অবৈদিক } এই নাম দেওয়া হইয়াছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম পাদের প্রথম ও তৃতীয় অধিকরণে সাংখ্য-পক্ষ হইতে বেদাস্তের বিরুদ্ধে কয়েকটি আপত্তি করা হইয়াছে, এবং তাঁহাদের খণ্ডনও করা হইয়াছে। চতুর্থ অধিকরণে মাত্র একটি স্বত্র "এতেন শিষ্ট্রীপরিগ্রহ অপি ব্যাখ্যাতাঃ” ( অর্থাৎ ইহার দ্বারা শিষ্টগণের অপরিগৃহীত মতও খণ্ডিত জানিবে ) । খুব সম্ভব এস্থলে বৈশেষিক প্রভৃতি মতের উল্লেখ করা বিন! কারণে ) আসিয়াছে, এইরূপ মনে করিতে হইবে। আত্মাকে অবশুই নিত্য বলিয়। মানিতে হইবে, এবং নিত্য মানিলেই কৃতহানি এবং অকৃতাভ্যাগম দোষ হইতে রক্ষা পাইবার জন্ত-- অর্থাৎ কৰ্ম্ম এবং ভোগের সামঞ্জস্ত করিবার জঙ্গ—আক্কার छप्रांख्द्र&श्नंe ईौकांद्र कब्रिड श्tद । হইয়াছে। কিন্তু তাহাজের সহিত এক শ্রেণীতে রাখায় ংখ্য যে শিষ্টদের গ্রহণের অধোগ্য, তাহারও ইঙ্গিত করা হইতেছে না কি ? এই পাদের তৃতীয় অধিকরণের “এতেন যোগ: প্রত্যুক্ত?” (অর্থাৎ ইহার দ্বারা যোগেরও খণ্ডন হইল ) এষ্ট সূত্রে ত অবগুই সাংখ্য ও যোগকে এক আসন দেওয়া হইতেছে । সাংখ্যশাস্ত্রের প্রবক্তার নাম আমরা পাই কপিল বা কপিল মুনি। আমরা এইরূপ অনুমান করিতে পারি যে “কপিল” মূলতঃ ব্যক্তিবিশেষের নাম ন; হইয়', ঋক-সংহিতার ১•১৩৬২ মস্ত্রে উল্লিখিত পিশঙ্গ অর্থাৎ কপিলবস্ত্রধারী মুনিগণকে বুঝাইত, এবং পরবর্তী ștts. Es zēts ar witfgws (eponymous) *foto? কল্পনা করা হয়, যাহার নাম আমরা অৰ্ব্বাচীন শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ (৫২) হইতে আরম্ভ করিয়া সাহিত্যে দেখিতে পাইতেছি। সাংখ্যশাস্ত্র ও যোগশাস্ত্র দুই ত অনেক যোগঞ্জ ঋদ্ধির উল্লেখ করে। অতএব অনার্ষ্য মুনিজের এবং ঋকসংহিতার ১০১৩৬ হুক্তে উক্ত মুনিদের নিকট হইতে সাংখ্য ও ৰোগশাস্ত্র উদ্ভূত হইয়াছে, ইহা কল্পনা করায় বাধা দেখিতেছি না। সাংখ্য-সম্প্রদায়ের বিষয় ইহা জানিতে পারি যে “কপিলে" প্রথম শিষ্যের নাম “আমুরি” । এই “জাসুরি” ( = অস্থর-পুত্ৰ ) নাম সন্দেহজনক নহে কি ? পরবর্তী হিন্দুধর্শ্বে ও হিন্দু সাহিত্যে মূলতঃ অবৈদিক সাংখ্য ও যোগের তত্বের খুবই উপযোগ করা হইয়াছে। 5-R-Rsfoto go »FKIfRTS "Sind Five Thousand Years Ago" s “Survival of the Pre-historic Civilisation of the Indus Valley” faqsww sa তীর্থঙ্কর ঋষভদেবের সহিত ও জৈনদের কারোৎসর্গ আসনের সহিত মোএঞ্জোড়ো সভ্যতার যোগাসনের তুলনা করিয়ছেন, তাহ অতি সারবান হইয়াছে। জৈন ও বৌদ্ধধর্থ অনাৰ্য্যবহুল এবং বৈদিক সভ্যতার বহিভূত মগধদেশে’ " ۔ --سمہم-یہ ۔۔ بسمبس۔۔۔۔۔--محس۔۔۔۔۔ا ۔ ( ১• ১ শতপথভ্রাক্ষণের বিদেঘ-স্বায়ুগণ সংবাদে আমর জানিতে পারি ষে সদানীরা নদীর পূৰ্ব্বদেশে প্রাচীন কালে ব্ৰাহ্মণগণ-বাস করিতেন না, কিন্তু ঐ গ্রন্থ সঙ্কলনের সময়ে অনেক ব্ৰাহ্মণ ৰঞ্জের স্বারা সে দেশ বাসযোগ্য করিয়া তখায় বা করিতেছিলেন ( ১৪।১।১৪-১৬ )। ইহা হইতে স্পষ্টই বুক ধ*ি যে মগধে জার্ধ্যসভ্যতার প্রসার অনেক বিলম্বে হইয়াছে ।