পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাম্ব চীন-জাপান প্রসঙ্গ ❖ግ¢ “মাঞ্চুকুয়ো”র কথা প্রথমে ধরা যাক। ছয় বৎসর পূৰ্ব্বে জাপান ৰখন মাঞ্চুরিয়াকে আয়ত্তাধীনে আনে তখন এই কথাই বলা হয়েছিল যে মাঞ্চুরিয়ার জনসাধারণকে মুক্তিদানই জাপানের উদ্দেশু। মাঞ্চুকুয়োতে জাপানকর্তৃক মাঞ্চুকুয়ে অঞ্চলে কাঠের পায়ের সাহায্যে বিচিত্র নৃত্যক্রীড়া প্রচলিত শিক্ষাবিধির প্রতি লক্ষ্য করলেই এই কথা কত দূর সার্থক তা বোঝা যাবে। পূৰ্ব্বে এখানে যে শিক্ষাতন্ত্র প্রচলিত ছিল তার যতই দোষ-ত্রুটি থাকুক দেশের প্রয়োজন এক রকম ক’রে পূর্ণ করে এসেছে। কিন্তু জাপান এ-কথা জানে ষে শিক্ষাবিধিকে সম্পূর্ণ অনুগত না করতে পারলে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। শিক্ষা-সংস্কার আরম্ভ হয়েছে পাঠ্যভালিকা-নিয়ন্ত্রণ দিয়ে। চীনের ইতিহাস বা ভূগোল, চীনের বীরপুরুষদের কথা, পাঠ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়েছে। অথচ জাপানের শৌর্ধাবীর্যাগাখী পাঠ্যের অস্তভূক্ত। তালিকার বহিস্কৃত কোন কিছু পড়াতে ই'ল শিক্ষককে প্রথমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা ক্রমশই ক্ষীণতর হয়ে আসছে, বেশী জোর দেওয়া হচ্ছে শ্রমশিক্ষা ও ব্যবসায়িক শিক্ষার উপরে । নানকিন রোড, ক্যান্টন স্পষ্টই বোঝা যায়, কর্তৃপক্ষের উদ্দুেগু, সাধারণের চিত্তবৃত্তির পরিপূর্ণ বিকাশের চিরনিরোধ, তাদের শারীরিক বা জার্থিক